নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ২১:৪১, ৭ জানুয়ারি ২০২৪
ইতিহাস সৃষ্টি করে নির্বাচনে বিজয়ী ব্যারিস্টার সুমন
ব্যারিস্টার সুমন
সোস্যাল মিডিয়ায় আলোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন (ঈগল) বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। তিনি হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে বিমান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর (নৌকা) সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মাহবুব আলীর চরম ভরাডুবি হয়েছে এই আসনে। বিপুল ভোটে বিজয়ী হন ব্যারিস্টার সুমন।
বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় এই রিপোর্ট তৈরি করার সময় স্থানীয়ভাবে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী জানা যায়- ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী টানা দুবারের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী পেয়েছেন৬৯ হাজার ৪৩০ ভোট। এ আসনের সুমনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৪৩০ ভোট। এতে ৯৯ হাজার ১৩৯ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।
স্থানীয় নির্বাচক বিশ্লেষকরা বলেন- মাহবুব আলীর চরম ভরাডুবি হয়েছে এই আসনে। বিপুল ভোটে বিজয়ী হন ব্যারিস্টার সুমন।
এদিকে আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় চুনারুঘাটের হাজী ইয়াছিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ব্যারিস্টার সুমন। এ সময় তিনি বলেন, সারাদেশের মধ্যে মনে হয় আমিই সবচেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি।
ভোট প্রদান শেষে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি খুব টেনশনে ছিলাম। এ কয়দিন খুব ঠান্ডা ছিল, কুয়াশা ছিল। তবে আজকে সকাল থেকেই সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে। তাই আমাদের এলাকাও আজকের দিনে আলোকিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সারাদেশে আমিই বোধহয় বেশি সাড়া পেয়েছি। একে অভূতপূর্ব বলা যায়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ঘাম কখনও প্রতারণা করে না। আমি যে পরিমাণ ঘাম ফেলেছি, সেটিই আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জে মোট ৯টি উপজেলা ও ৬টি পৌরসভা রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ লাখ ১ হাজার ৬৬০ জন। পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৯ জন, মহিলা ৮ লাখ ৪২ হাজার ৩৮ জন ও হিজরা ১৩ জন। মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৬৩৫টি। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ৬১টি কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে।
কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের তদারকি টিম ছিলো মোট ৮টি, ৯টি স্পেশাল স্ট্রাইটিং ফোর্স, পুলিশ সদস্য ১ হাজার ৮৭৫ জন। আনসার ছিলো ৯টি টিম। র্যাবের ৮টি টহল টিম মাঠে কাজ করেছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ৯ জন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২৯ জন। বিজিবি ছিলো ১৭ প্লাটুন। তদন্ত কমিটি আছে ৪টি।
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’