আই নিউজ ডেস্ক
আরেকটি পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনি পুনর্নির্মাণ করছেন ব্যারিস্টার সুমন
ছবি- সংগৃহীত
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পরিত্যক্ত আরেকটি যাত্রী ছাউনিকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলতে পুনর্নির্মাণ করছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সোমবার (২৫ মার্চ) উপজেলার সুরমা চা-বাগান এলাকায় পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনিটির কাজ শুরু করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সফরে ব্যারিস্টার সুমন বর্তমানে আমেরিকা অবস্থান করলেও তার নির্বাচনী এলাকায় একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে।
সকালে ব্যারিস্টার সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনির ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবির সাথে একটি নতুন ডিজাইন করা একটি ছবিও পোস্ট করেন। ওই ছবির আদলে নতুন রূপে পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনির কাজ হবে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আরেকটি ছাউনিকে দৃষ্টিনন্দন করতে আবারও কাজ শুরু করলেন ব্যারিস্টার সুমন।
জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের যান চলাচলের সময় দীর্ঘদিন আগে মাধবপুর উপজেলার চা বাগান অধ্যুষিত সুরমা চা-বাগান মোড়ে স্থানীয় সরকারি বিভাগ একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ সড়কে দূরপাল্লার যান চলাচল না করলেও চুনারুঘাট মাধবপুরের লোকজন এবং সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও চা বাগানকে ঘিরে পর্যটকদের চলাচল বেড়েছে।
দুই উপজেলায় চুনারুঘাট-মাধবপুরে রামগঙ্গা ও সুরমা চা-বাগানে মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকা যাত্রী ছাউনিটি সম্প্রতি নজরে আসে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের। তিনি লাইভে এসে ঘোষণা দেন এটিকে পর্যটনকেন্দ্রে রূপান্তরের। ঘোষণার পর দিনই কাজ শুরু হয় রামগঙ্গা ছাউনিটির। এটি আর্কিটেক্ট দ্বারা পরিকল্পনা করে মাত্র এক সপ্তাহে নির্মাণকাজ শেষ হয়। চারুকলার শিক্ষার্থীদের দিয়ে আঁকা হয় চা শ্রমিকদের জীবনচিত্র। চা পাতা চয়ন এবং তাদের জীবনচিত্র আঁকা শেষ হলে তিনি এটি উদ্বোধন করেন।
এবার শুরু করেন তারই নির্বাচনী এলাকা মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা-বাগানের ছাউনিটির। বর্তমানে এটির কাজ শুরু হয়েছে।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার নির্বাচনী এই দুই উপজেলা (চুনারুঘাট ও মাধবপুরকে) পর্যটনের নগরীতে রূপান্তর করতে চাই। ইতিমধ্যে আপনার দেখেছেন চুনারুঘাট উপজেলার রামগঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনির কাজ শেষ করেছি। পরিত্যক্ত এ যাত্রী ছাউনিটি আমার নজরে আসার পর মনে হলো এখানে অনেক পর্যটক আসে। এটা খারাপ দেখা যায়, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই প্রথমেই চুনারুঘাট থেকে মাধবপুর পর্যন্ত যাত্রী ছাউনিগুলোকে পর্যটনের উপযুক্ত করে তুলব। সেই হিসেবে এটিকে আর্কিটেক্ট দ্বারা পরিকল্পনা করে আমার নিজ অর্থায়নে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে এটি নির্মাণ করেছি। দেখলাম প্রতিদিনই পর্যটকরা আসেন ছবি তুলেন। এটা দেখে মনে সুখ পাই। বর্তমানে এখন মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা-বাগানের আরেকটি পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনির কাজ শুরু করেছি। আশা করি কিছু দিনের ভেতরে এটিও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’