সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী
কোরবানির ঈদের হাট কাঁপাতে প্রস্তুত জুড়ীর বিগবস, টাইগার ও বুলেট
বাহারি নামের বিগবস, বাদশা, টাইগার, বুলেট ও রক নামের পাঁচটি গরু।
কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র ৮ দিন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজার ধরতে নানা বাহারি নামে গরু মোটাতাজা করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন খামারিরা। এরই মধ্যে অনেক খামারে শুরু হয়ে গেছে আগাম বেচাবিক্রি। খামারিরা জানিয়েছেন, এবার অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা ভালো দামে গরু বিক্রির আশা করছেন তারা।
লাভজনক হওয়ায় দেশে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গরুর খামার। প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছে খামার ব্যবসায়। সফলতা পাচ্ছেন অনেকেই। এমনই এক সফল খামারি হচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার মেসার্স সিয়াম এগ্রো ফার্মের সত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম ছেনু। তাঁর বাবা মৃত বজলু মিয়ার হাতে গড়া খামারটির বয়স এখন শত বছরের উপরে। ছেনুর বাবার মৃত্যুর পর ছেলেরা খামারের হাল ধরেন।
এ খামারে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৬৫ টি গরু রয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে ক্রেতাদের মন জয় করতে এ খামারে গড়ে তোলা হয়েছে বাহারি নামের বিগবস, বাদশা, টাইগার, বুলেট ও রক নামের পাঁচটি গরু। এসব গরু দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভীর করছে এ খামারে।
সরেজমিনে মেসার্স সিয়াম এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ ঘাস, খড়, ভুষি আর পানি খাইয়ে একদম প্রাকৃতিক পরিবেশে পরম আদর যত্নে লালনপালন করা হচ্ছে এ খামারের গরুগুলোকে। এছাড়া আলাদাভাবে বিশেষ যত্ন সহকারে লালন পালন করা হচ্ছে বাহারি নামের ওই পাঁচটি গরু-কে।
মেসার্স সিয়াম এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম ছেনু জানান, মূলত কোরবানির বাজার ধরতে অনেক আগে থেকেই দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন তিনি। ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশ না করলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারের ঈদে ভালো মুনাফা পাবেন বলে আশা করছেন। এ পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে ৬৫ টি গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যতিক্রমী পাঁচটি গরুর আচরণকে কেন্দ্র করে নানা বাহারী নামে ডাকা হচ্ছে এদের।
জুড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমা পদ দে জানান, প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় দিনকে দিন বাড়ছে কোরবানির পশুর চাহিদা। সেই সঙ্গে বেড়েছে এর সংখ্যা। উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক খামার রয়েছে। চাহিদার কথা ভেবে দেশি ও বিদেশি জাতের ছোট-বড় গরু রয়েছে এসব খামারে। তিনি বলেন, প্রতিটি খামারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে, যাতে করে কেউ অসৎ উপায়ে গরু মোটাতাজা না করতে পারে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. মো. আশরাফুল আলম খান জানান, চাহিদামতো জেলায় ৯৬ হাজার ৭২৮টি গবাদিপশু লালনপালন করে প্রস্তত করা হয়েছে। এ বছর বাইরের দেশ থেকে কোনো পশু না ঢুকলে খামারিরা ভালো দামে গবাদিপশু বিক্রি করতে পারবেন।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’