পিকলু প্রিয়
পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
চন্দ্রমুখী আমি তোমাকে দেখতে চাই
চন্দ্রমুখী আমি তোমাকে দেখতে চাই।
আমি'তো তোমার সামনেই আছি প্রতিক।
এই ভাবে নয়, আমি তোমাকে দেখতে চাই।
আলোটা জ্বালাও।
আমি'তো অন্ধকারেই আলোর মত জ্বলছি প্রতিক!
আমি তোমাকে চাঁদের আলোয় দেখতে চাই চন্দ্রমুখী।
অবশেষে চন্দ্রমুখী আলো জ্বালিয়ে বললো দেখো..
তারপর চন্দ্রমুখী জামাকাপড় খুলতে শুরু করলো।
বললো দেখো তুমি কী দেখতে চাও?
তখনও চন্দ্রমুখী পুরোপুরি উলঙ্গ নয়।
বললাম পুরোপুরি উলঙ্গ হও..
দেখতে চাই তোমাকে।
ক্যানো! কোন দরকার'তো নেই, এমনিই ঝাঁপ দাও।
না, আমাকে যে দেখতেই হবে।
তুমি কী আগে কখনও লাল রঙের চামড়ার মাংসগর্ভ দেখো'নি?
কোন উত্তর না দিয়ে খুলতে থাকলাম চন্দ্রমুখী'কে।
চন্দ্রমুখী তখন মৃদকন্ঠে বললো এতটা ঘনিষ্ঠতা আমি চাই না,
ক্যানো তুমি এমনি করতে পারবে না?
না, আমাকে দেখতেই হবে তোমাকে।
চন্দ্রমুখী তখন নিঃশ্বাস বন্ধ করে রইলো আর আমি দেখতে শুরু করলাম।
বড় বড় চোখ করে, গভীর শ্বাস নিয়ে, মৃদু শব্দ করে, আবারও দেখতে থাকলাম।
তখন আমি ঢের পাই চন্দ্রমুখীর নিঃশ্বাস আরও দ্রুত ও ঘন হয়ে উঠতে থাকলো,
একটা হিংস্র, ক্ষুধার্ত কিন্তু সুন্দর জন্তুর মত দেখাতে থাকলাম আমি তাকে।
চন্দ্রমুখী..
“তুমি অসম্ভব সুন্দর, মার্জিত, গভীর, নির্মল এবং বন্য।“
“তুমি ওইখানে এইসব দেখতে পাচ্ছো পথিক"?
“হ্যাঁ, তার চেয়েও অনেক বেশী কিছু দেখতে পাচ্ছি।“
প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে শুধু তাকিয়েই রইলাম চন্দ্রমুখী হঠাৎ বলে উঠলো ম্যাপ দেখছে, নাকি চাঁদ দেখছো?
পৃথিবীর পথ দেখছি চন্দ্রমুখী।
যে পথ দিয়ে আমি পৃথিবীর বুকে এসেছি।
তখন চন্দ্রমুখী আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।
পথিক তোমার মুখের ভাব এত অকৃত্রিম ক্যানো!
তারমধ্যে চন্দ্রমুখী ভিজতে শুরু করলো, উত্তেজিত বোধ করলো।
আমাকে বললো আমার চোখ দিয়ে নাকি নিজেকে দেখতে পাচ্ছে!
নিজেকে একটা মহামূল্যবান ছবির মত সুন্দর লাগছে তার কাছে।
আমার মুখে ক্যানো কোন ভয় নেই, ঘেন্না নেই?
তার নাকি গর্ববোধ হতে লাগলো নিজের যোনিকে নিয়ে।
চন্দ্রমুখী তোমাকে দেখতে পেরে আমি নিজের কামের সাথে লড়াই করতে পেরেছি।
কামের ঊর্ধ্বে প্রেম'কে স্পর্শ করতে পেরেছি। জীব থেকে নিজেকে মানুষ ভাবতে পেরেছি।
তার থেকেও বেশি আনন্দ বোধ করছি তুমি তোমাকে চিনতে পেরেছো বলে।
কিছুক্ষণ আগে তোমার শরীরে যে অঙ্গটি তুমি কখনো দেখো'নি কিংবা কুসংস্কার এবং
সিষ্টেমের রাজনীতির হাফিমে দেখার প্রয়োজন বোধ করো'নি।
এখন তুমি তা নিয়ে গর্ববোধ করছো।
লেখক- পিকলু প্রিয় দোহা, কাতার প্রবাসী কবি ও ফ্রিলান্স সংবাদ কর্মী
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা