Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিলুপ্তির পথে জালিবেতের আসবাবপত্র

জালিবেত গাছ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। - ছবি : সংগৃহীত

জালিবেত গাছ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। - ছবি : সংগৃহীত

জালিবেত গাছ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। গ্রামে নেই জালিবেত আর শহরে নেই বেতের তৈরি সোফা, মুড়া, চেয়ার-টেবিল, দোলনা,বেঞ্চসহ জালিবেত দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন আসবাবপত্র। 

সিলেট বিভাগের প্রায় সকল এলাকায় এক সময়ে জালিবেতের তৈরি আসবাবপত্র সৌখিন মানুষেরা ব্যবহার করতেন। প্রতিটি এলাকায় প্রচুর পরিমাণ জালিবেতও পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন আর পর্যাপ্ত জালিবেত কোথাও পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিকভাবে ঝোপঝাড়ে জন্মানো কাটা ওয়ালা লম্বা লতার মতো এই গাছ সিলেটি ভাষায় জালিবেত নামে পরিচিত। জলিবেতের ইংরেজি নাম র‍্যাটান। অঞ্চল ভেদে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামেই এই লতা আকৃতির বেতের পরিচিতি রয়েছে।

সিলেট অঞ্চলে ছন-বাঁশের ঘর তৈরিতে জালিবেতের ব্যবহার ছিলো প্রচুর। জালিবেত ছাড়া বাঁশের ঘর তৈরি করা কল্পনাই করা যেতোনা। কৃষি কাজেও জালি বেত ব্যবহৃত হতো। আগে স্কুল,মাদ্রাসা, কলেজেও বেত বা বেত্র দিয়ে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শাসন করতেন। বেত্রাঘাত করা হতো শিক্ষার্থীদের উপর।

সরকারি পরিত্যাক্ত-অনাবাদি ভুমিতে জালিবেত প্রচুর পরিমাণে জন্মাতো। গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আশ-পাশ ও ঝোপঝাড়ে জালিবেতের গুটা থেকেই জালিবেতের ঝোপের সৃষ্টি হতো। বেতের গুটা ও এক প্রকার সুস্বাদু ফল। বেতগুটা এখন অতি মুল্যে হাট বাজারে বিক্রি হয়।

বেতের আগার নরম অংশটুকু সিলেট অঞ্চলে সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হতো। বর্তমানে ঝোপঝাড়ে জন্ম নেয়া ওই লতাজাতের বেত দুস্পাপ্য হয়ে পড়েছে। জালিবেত দিয়ে খাট- পালং, মুড়া চেয়ার,দোলনা, টেবিল, সোফা সহ বিভিন্ন প্রকার পারিবারিক সামগ্রী তৈরি ও বিক্রি করা অনেকের পুরনো পেশা ছিলো। তারা শিল্প হিসেবে এর সাথে জড়িয়ে জীবন -জীবিকার উপায় বেচে নিয়েছিলো। গ্রামে -গ্রামেএখন আর এসব দেখতে পাওয়া যায়নি।

আগে ছাতকের যেখানে -সেখানে ছিলো বেতের বাগান। বর্তমানে ছাতক সহ সিলেট অঞ্চলে জালিবেত হচ্ছে একটি মুল্যবান বস্তু। ঘর- বাড়ির কাজে এখনো প্রচুর জালিবেতের ব্যবহার হচ্ছে। জালিবেত ও বেত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।

ছাতকের বিট-ফরেষ্ট কর্মকর্তা নীতিশ চক্রবর্ত্তী জানান, সরকারি জমিতে আগে প্রচুর পরিমাণ বেত জন্মাতো।বর্তমানে অনেক জমি আবাদ হয়ে গেছে যার ফলে বেত কমে গেছে এবং বেত শিল্পে ভাটা পড়েছে। বেত প্রাকৃতিকভাবেই ঝোপ- ঝাড়ে জন্মাতো এখন ঝোপ-ঝাড় ও কমে গেছে। তবে বেত মূল্যবান যুগ-যুগ ধরে মানুষের উপকারে আসছে এমন বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।

আইনিউজ/এসকেএস

দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি

ঘুরে আসুন মৌলভীবাজারের পাথারিয়া পাহাড় | মৌলভীবাজারের দর্শনীয় স্থান | Patharia Pahar | Eye News

হানিফ সংকেত যেভাবে কিংবদন্তি উপস্থাপক হলেন | Biography | hanif sanket life documentary | EYE NEWS

ছাত্রলীগের জন্য পুলিশে চাকরির ‘তদবিরে’র সুযোগ চান এমপি জোহরা আলাউদ্দিন ।। Bangladesh Police Constable ।। ‍Student League ।। EYE NEWS

হারানো বিড়াল লিওকে খুঁজে পেলেন জার্মান নারী জুলিয়া ।। German woman Julia finds lost cat Leo

মৌলভীবাজারে যন্ত্রসঙ্গীত উৎসবে সুরের মুর্ছনায় মাতলেন দর্শক ।। Instrumental music festival ।। EYE NEWS

আশ্চর্য এন্টার্কটিকা মহাদেশের অজানা তথ্য | Antarctica continent countries | facts। Eye News

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়