Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

রাজু দত্ত, কমলগঞ্জ ( মৌলভীবাজার)

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ২১ নভেম্বর ২০২৩

মৌলভীবাজার ৪ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী 

মৌলভীবাজার-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ। ছবি- আই নিউজ

মৌলভীবাজার-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ। ছবি- আই নিউজ

মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও কমলগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-৪ আসন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তামুক্ত থেকে নির্বাচনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে দলটির একাধিক প্রার্থী নৌকার লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। তবে তৃণমূলের মনোযোগ এখনো টানা ৬ বারের এমপি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের দিকেই।  

অভিজ্ঞ এই পার্লামেন্টারিয়ানকে এলাকাবাসী হুইপ সাব বলেই ডাকেন। দলীয় প্রতীক নৌকা ও ব্যক্তি ইমেজে প্রতিটি নির্বাচনী বৈতরণী পার হন খুব সহজে। সেজন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও তাকে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ, সরকারদলীয় হুইপ, চিফ হুইপের দায়িত্বে দেন।

এ ছাড়া জাতীয় সংসদের সরকারি অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সভাপতিসহ বর্তমানে অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দায়িত্ব সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। পার্লামেন্টের একাধিক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব পালন করেন।

তার নির্বাচনী এলাকায় বিগতদিনের মতো এখনো সরকারি, বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, সাদী, মৃত মানুষের জানাজা, পূজাপার্বণ, বিভিন্ন উৎসবে ও নানান অনুষ্ঠানাদিতে অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে মোকাবিলায় রাজপথে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সরব ভূমিকায় আছেন। একই সঙ্গে দুই উপজেলার দলের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। 

উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ দীর্ঘদিন এ আসনে এমপি থাকার সুবাদে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে একেবারে মিশে আছেন। শহর কিংবা গ্রামের মানুষজনকে তিনি এক নামে চেনেন। বলতে গেলে তার কণ্ঠস্থ। এ আসনের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে তার সমতুল্য বর্ষীয়ান এমন নেতা এ দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগে এখনো হয়ে ওঠেনি। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তাকে গুরু দায়িত্ব দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। তাই এ মুহূর্তে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে নতুন করে ভাবছেন না তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কারণ, এ মুহূর্তে বিরোধী দলকে মাঠে সামাল দিয়ে তার মতো যোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বকে মনোনয়ন দেয়া প্রয়োজন। উপাধ্যক্ষ শহীদ এ আসনের দু’টি উপজেলার যেমনি উন্নয়ন করেছেন, তেমনি দলীয় নেতাকর্মীদের ছায়াতলে আগলে রেখেছেন।

তবে, বরাবরের মতো এবারো তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের তালিকায় একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন। এসব মনোনয়নপ্রত্যাশীরা শহরে ও বাজারগুলোতে বিভিন্ন উৎসবে বিল বোর্ড ফেস্টুন আর ব্যানার টাঙিয়ে জানান দিয়েছেন। এরমধ্যে তার কলেজে শিক্ষকতা জীবনের ছাত্রও রয়েছেন। শেষমেশ এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি কে হবেন এ আলোচনাই সর্বত্র এখন তুঙ্গে। দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে আছে ব্যাপক কৌতূহলও।

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে, এ আসনে টানা ৬ বারের এমপি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। মূলত দলীয় মনোনয়ন তাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। তিনি এবারো দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তিনি ছাড়াও দলের মনোনয়ন চান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য থেকে বাদপড়া কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা নবারুণ দাশ রিপন ও উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদের ছাত্র কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এসএম আজাদুর রহমান।

এদের মধ্যে কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এমপি’র অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ়  ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তিনিই প্রথম পছন্দ। নির্বাচনী এলাকায় তার বহুমাত্রিক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে নিজের অবস্থান অত্যন্ত সুসংহত। সংসদ শেষে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তিনি এলাকায় এসে বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও গ্রামগঞ্জে গণসংযোগ করে নির্বাচনী মাঠ এলাকায় সরব রাখছেন। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মানুষের খোঁজখবর রাখছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন নিয়মিত। সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পাওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের পালে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

নির্বাচনের আগে-ভাগে আব্দুস শহীদকে দলের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটিতে স্থান দেয়াসহ সংসদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে দায়িত্ব দেয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। এতে তিনিই দলের মনোনয়ন পাবেন বলে সকলেই মনে করছেন’। নির্বাচনের আগমুহূর্তে দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতার পক্ষে এই গুরুদায়িত্ব প্রদানকে অনেকটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও  নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষজন।

দীর্ঘদিন ধরে একটানা এমপি থাকায় তার নির্বাচনী এলাকাকে সাজিয়েছেন নিজের মতো করে। বলতে গেলে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের উন্নয়নের হাতেখড়ি তার হাত ধরে। এ উন্নয়নের ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। 

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্বারিকা পাল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। দলীয় ফরম তুলে তিনি নির্বাচনী এলাকায় বিলবোর্ড লাগিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জানান দিচ্ছেন।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়