হবিগঞ্জে সিনএজি চালক হ ত্যা র কথা স্বীকার করলেন আসামী 

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় নৃ শং স ভা বে খু ন হওয়া ইজিবাইক (টমটম) চালক আতাউর রহমান এর হ ত্যা র রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে পুলিশ। এ হ ত্যা মামলার প্রধান আসামী হাবিবুর রহমান রামিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীনের আদালতে হ ত্যা র দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারি গ্রামে অটোচালক আতাউরের মৃ ত দে হ একই গ্রামের চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরীর বাড়ির পিছনে পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। 

নিহত আতাউর রহমান বালিয়ারি গ্রামের মৃত আব্দুল খালের পুত্র। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ ঘন্টার মাঝে প্রধান আসামী মো. হাবিবুর রহমান রামিমকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যমতে লুণ্ঠিত অটোরিক্সা, ইজিবাই বিক্রির নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং  আসামীর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশে পুকুর থেকে হ ত্যা য় ব্যবহৃত ২টি ছু রি ও ১টি দা উদ্ধার করা হয়। পরে রোববার দুপুর ২টায় বালিয়ারি গ্রামের উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরীর বাড়ির পিছনে পুরাতন পুকুর সেচ দিয়ে প্রধান আসামি হাবিবুর রহমান রামিমকে সঙ্গে নিয়ে ওই পুকুর থেকে আতাউর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। 

• প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্রি, মাধবপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আটক 

আসামী রামিম একই গ্রামের আজিজুর রহমান ওরফে মলাই মিয়ার ছেলে। রামিম পরে পুলিশের নিকট হ ত্যা র দায় স্বীকার করলে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আদালতে পাঠানো হলে সে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, প্রধান আসামি রামিমের দেয়া তথ্য মতে এরআগে আমরা হ ত্যা য় ব্যবহ্নত ছু রি ও দা উদ্ধার করেছি। রোববার তারই দেয়া তথ্য মতে ভিকটিম আতাউরের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। সে পুলিশের নিকট ঘটনার দায় স্বীকার করার পর আদালতে বিচারকের নিকটও জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।

আই নিউজ/এইচএ