প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৫ জুন ২০১৯
আপডেট: ১৩:৩৫, ১৫ জুন ২০১৯
আপডেট: ১৩:৩৫, ১৫ জুন ২০১৯
বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জের লোকালয় প্লাবিত
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের পুরাতন ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০টি পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট, আউশ খেত। বাঁধ মেরামত না হলে পূণরায় বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা ও নাজাতকোনা এলাকা সংলগ্ন ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাধ ভেঙেছিলো গেলো বন্যায়। কিন্তু স্থানীয়রা বাঁধ মেরামতে জমি না ছাড়ার কারণে সেটি মেরামত হয়নি। গত শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর থেকে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৪৫ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এতে প্রতিরক্ষা বাঁধের পুরাতন ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত ঘোড়ামারা ও নাজাতকোনা গ্রামদুটি প্লাবিত হয়। এতে গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, পানি প্রবেশ করে অনেক বাড়িঘর তলিয়ে যায়। পানির তোড়ে ঘোড়ামারা গ্রামের এলজিইডি’র পাকা সড়ত ৩ থেকে ৩ ফিট পানিতে নিমজ্জ্বিত হয়। রাস্তার কিছু স্থান ভেঙে গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ঘোড়ামারা গ্রামের কলেজ ছাত্রী রওশন আরা বেগম জানান, নদের ভাঙনে গ্রামের পনেরোটি পরিবার নি:স্ব হয়েছে। বাঁধ মেরামত না হওয়ায় পানির তোড়ে তাদের একমাত্র ঘরটি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। তারা এখন আশ্রয়হীন।
ঘোড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা সুভাশীস সমীর বলেন, ঢলের পানিতে আমাদের বাড়ির উঠান ডুবে গেছে। গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম কোণে গতবন্যায় নদে ভাঙন হয়েছিল কিন্তু একটি পরিবারের বাঁধায় সেখানে আজো বাঁধ মেরামত কাজ সম্ভব হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনও ব্যর্থ। মাত্র বর্ষার মৌসুম শুরু। ভাঙনস্থান মেরামত না হলে আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ড মৌলভীবাজার কার্যালয়সূত্র জানায়, উজানে বৃষ্ঠিপাত হওয়ায় হঠাৎ করেই পানি বৃদ্ধি পায়। ধলাই নদের পানি বিপদসীমার ১৪৫ এবং মনু নদের পানি বিপদসীমার ৩৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পানি নামতে শুরু করে। শনিবার সকালে পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কার্যালয়সূত্র জানায়, ঢলের পানিতে প্রায় কয়েক শ’একর জমি তলিয়ে গিয়েছিলো কিন্তু দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবেনা।
আদমপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দীন বলেন, আসলে এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বছর কাজে আসলেও কিছু মানুষের আপত্তির কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি।
কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, সরেজমিনে ভাঙনস্থান ঘুরে দেখেছেন। স্থানীয়রা জমি না দেয়ায় আগে বাঁধ মেরামত করা যায়নি। পানি কমলেই বাঁধ মেরামত করা হবে। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, ২০১৭ সালে বাঁধ মেরামতের জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয় সেখানে স্থানীয়দের আপত্তির কারণে ঠিকাদার কাজ করতে পারেনি। পরে বাধ্য হয়ে ঠিকাদার চলে আসেন। স্থানীয়দের সহযোগিতা পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ করা হবে।
এএ/আইএন
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
সর্বশেষ
জনপ্রিয়