প্রকাশিত: ১৬:৩৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৯
আপডেট: ১৬:৩৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৯
আপডেট: ১৬:৩৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৯
কিরগিজস্তানকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
এক ম্যাচ হাতে রেখে আগে থেকেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ও কিরগিজস্তানের। তাই ম্যাচটা ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সেটি হতে বাংলাদেশের দরকার ছিল কমপক্ষে ড্র। কিন্তু ড্রতে কী আর মন ভরে মেয়েদের! শেষ পর্যন্ত কিরগিজদের ২-১ গোলে হারিয়ে বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই উঠেছেন মৌসুমী-কৃষ্ণারা। বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে গোল করেছেন সানজীদা আক্তার ও কৃষ্ণা রানী সরকার।
পুরো ম্যাচেই একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে খেলেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। স্কোর লাইনটা দিতে পারছে না ম্যাচের সঠিক চিত্র। বাংলাদেশ যদি ৫-৬ গোলেও জয় পেত, অবাক হওয়ার কিছুই ছিল না। ৩-৪-৩ ফরমেশনে শুরু করা বাংলাদেশকে দেখে বেশির ভাগ সময় মনে হচ্ছিল তারা ২-২-৬ ফরমেশনে খেলছে। শেষ বাঁশি পর্যন্ত আক্রমণ ও প্রতিপক্ষের ওপর প্রেসিংটা চালিয়ে গেছে দল। কিন্তু অসংখ্য গোল মিসের খেসারতটা বাংলাদেশ দিয়েছে স্কোরলাইন বড় করতে না পেরে। গোল মিস, অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলা, ব্যক্তিগত ঝলক দেখাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলা ছিল বাংলাদেশের খেলার বড় অংশজুড়ে।
শুরুটা ছিল রোমাঞ্চ জাগিয়ে। ২৯ সেকেন্ডেই গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় হাজার দশেক দর্শক প্রত্যাশায় উন্মুখ হয়েছিলেন আরও গোল দেখার। কিন্তু সেটি হয়নি। আক্রমণে আক্রমণে কিরগিজস্তানের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে ফেলে বাংলাদেশ। কৃষ্ণা, সানজীদা, মারিয়ারা নিজেদের নৈপুণ্যের সেরাটাই দিয়েছেন। কিন্তু ওই গোল করাটা বাদ দিয়ে। কিক-অফ থেকে বাম প্রান্তে বলটা ফেলেছিলেন সেন্টারব্যাক আঁখি খাতুন। কিরগিজ রাইটব্যাক কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন। দ্রুত থ্রো-ইন করে কৃষ্ণার পায়ে বল দেন শামসুন্নাহার। সেখান থেকে কৃষ্ণার নেওয়া ক্রস কিরগিজ গোলরক্ষক গালকিনা ইরিনার হাত ফসকে বের হয়ে যায়। ফলোআপ থেকে এসে টোকা দিয়ে গোল করেন সানজীদা।
এর পরের গল্পটা আফসোসেরই। ৩৭ মিনিটে বদলি মার্জিয়ার শট ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে যায়। ৪৪ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে মার্জিয়ার ক্রস গোলমুখে ফাঁকায় পেয়ে সানজীদা বাইরে মারেন। বিরতিতে যাওয়ার আগে মারিয়া মান্দার থ্রু থেকে বক্সের মধ্যে বল ধরে মার্জিয়া কিরগিজস্তানের দুই সেন্টারব্যাককে ইনসাইড -আউটসাইড ডজে বোকা বানিয়েও বাইরে মারেন। এরই মাঝে ৫৯ মিনিটে ২-০ করেন কৃষ্ণা। রাইট উইঙ্গার সানজীদা ডান প্রান্ত দিয়ে তেড়েফুঁড়ে ঢুকে ক্রস করলে কিরগিজ গোলরক্ষকের হাত ফসকে বের হয়ে যায়। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণা দেখেশুনে জালে জড়াতে কোনো ভুলই করেননি। ৪ মিনিট পরেই অনায়াসে ৩-০ করতে পারতেন কৃষ্ণাই। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড।
৬৮ মিনিটে গোলরক্ষক রুপনার ভুলে ব্যবধান কমায় কিরগিজস্তান। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে আখমাতকুলুভার শট রুপনার হাত ফসকে জালে জড়িয়ে যায়। কিন্তু এর পরেও বেশ কয়েকবার গোল ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু শেষ হয়নি। ব্যবধান বাড়েনি।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে শেষ মুখোমুখিতে এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই ২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব- ১৬ বাছাইপর্বে ১০ গোল হজম করেছিল কিরগিজস্তান। আজ তেমন কিছু না হলেও ব্যবধানটা বড় করতে না পারার আক্ষেপটা থাকছেই।
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
সর্বশেষ
জনপ্রিয়