প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ১ জুন ২০১৯
আপডেট: ১৫:১১, ১ জুন ২০১৯
আপডেট: ১৫:১১, ১ জুন ২০১৯
পাল্টে গেল ফলাফল
বড়লেখা: গননা চলছে। ভোটের ফলাফলে নিশ্চিত বিজয়ী হচ্ছেন। না হল না। পাল্টে গেল ফলাফল। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অত্যন্ত কৌশলে পাল্টে দিয়েছেন ফলাফল। যার পরাজিত হবার কথা সেই বিজয়ী হয়ে গেল।
ফলাফল পাল্টে দেওয়ার এমন ঘটনাটি ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘটেছিল মৌলভীবাজারের বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের দেওয়া উপস্থিত ফলাফলে জয়ী আব্দুল মুতলিব। কিন্তু এই ফলাফল মেনে নিতে পারেননি দু’বারের ইউপি সদস্য নিশ্চিত জয়ের পথে থাকা মো. মানিক আহমদ। ন্যায় বিচারের আশায় দারস্থ হলেন আদালতের। অন্তত দেড় বছর পর আদালতের উপস্থিতিতে গননা করা হল ভোট। গননায় অভিযোগকারী মানিক আহমদের ভোট বেড়ে গেল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর থেকে বেশি। রায় পক্ষে এল। আশার আলো দেখতে পেলেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আপিল করলেন। আবার অপেক্ষার পালা। তবে মানিক দমে যাওয়ার পাত্র নন। পক্ষে এল আপিলের রায়ও। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আগের নির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুল মুতলিবকে বাদ দিয়ে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।
প্রায় তিন বছর এক মাস পর আদালতের রায় পক্ষে পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার দায়িত্ব পেয়েছেন বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়নের মো. মানিক আহমদ নামের এই ইউপি সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান মানিক আহমকে শপথ বাক্য পাঠ করান। আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দিন তালিমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের উপস্থিত ফলাফল কৌশলে পাল্টে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ফলাফল পাল্টে আব্দুল মুতলিব নামে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন থেকে আব্দুল মুতলিবের নামে গেজেট প্রকাশ হয়। এরপর শপথ নিয়ে তিনি এতদিন দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অন্যদিকে এই ফলাফলের বিরুদ্ধে মানিক আহমদ মৌলভীবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের উপস্থিতিতে পুনরায় ভোট গননা করা হয়। গননায় পূর্বের বিজয়ী প্রার্থী আব্দুল মুতলিবের থেকে মানিক আহমদের ভোট বেশি পাওয়া যায়। গননার ফলাফল অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি পূর্বের ফলাফল অবৈধ ঘোষণা করে অভিযোগকারী মানিক আহমদকে বৈধ ও আইনানুগভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে আদালত রায় দেন। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন প্রথম নির্বাচিত আব্দুল মুতলিব। আপিল মামলা নম্বর-১। আপিল মামলায়ও ভোট গনানা করে মানিক আহমদের ভোট বেশি হওয়ায় মানিক আহমদকে বৈধ ও আইনানুগভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে আগের দেওয়া রায় বহাল রাখেন আদালত। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে তালিমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে মানিক আহমদকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ২২ মে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। মানিক এর আগে দু’বার ইউপি সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
মানিক আহমদকে শপথ পাঠ করানোর বিষয় নিশ্চিত করে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চিঠি পেয়েই শপথ পাঠ করানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
সর্বশেষ
জনপ্রিয়