প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৯ মে ২০১৯
আপডেট: ১৪:২২, ২৯ মে ২০১৯
আপডেট: ১৪:২২, ২৯ মে ২০১৯
সিপিবি নেতা সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ আর নেই
আইনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ আর নেই। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন । তিনি নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তাঁকে গত ২০ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ২৭ মে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। সৈয়দ আবু জাফর আহমেদের মরদেহ বুধবার সকাল ১০টায় মুক্তি ভবনে সিপিবি কার্যালয়ে নেওয়া হবে।
দলীয় কার্যালয়ে তাঁর মরদেহ এক ঘণ্টা রাখা হবে। পরে সেখান থেকে তাঁর মরদেহ জন্মস্থান মৌলভীবাজারে নেওয়া হবে। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সিলেটের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কৃতী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ অন্যতম। তিনি ১৯৫৪ সালের ১১ জুলাই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সৈয়দ মনোয়ার আলী এবং মা সৈয়দা আমিরুন্নেসা খাতুন।
সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ ১৯৬৯ সালে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর ঢাকা সিটি ল কলেজে ভর্তি হন। পরে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ১৯৭৯ সালে তিনি জার্মানি যান।
সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি সিলেটের বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন।
১৯৭০ সালে তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে উভয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সিলেটে চা–শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১৯৭২ সালে সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ প্রথম কারাবরণ করেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর আবার ১৯৭৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি গ্রেপ্তার হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ফের তিনি গ্রেপ্তার হন এবং বিনা বিচারে দীর্ঘ এক বছর কারাগারে কাটান। এ ছাড়া এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ সমান সক্রিয় ছিলেন। গণতন্ত্রের ওই উত্তাল আন্দোলন-সংগ্রামে সোচ্চার ভূমিকার জন্য তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হন।
সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বিভিন্ন পেশাজীবী আন্দোলনেও শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন। খেতমজুর আন্দোলনে তাঁর অগ্রণী ভূমিকার কারণে খেতমজুর সমিতির সাংগঠনিক রাজনীতির শুরুর দিকেই তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রজীবন থেকে সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ। ১৯৯০ সাল থেকে মৌলভীবাজারের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক মনুবার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে সর্বস্তরের মানুষের কাছে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে।
এসএ/ইএন
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের
সর্বশেষ
জনপ্রিয়