নিজস্ব প্রতিবেদক
এই সময়ে গাছের যত্ন
গাছের যত্ন-আত্তি যে শুধু গরমেই করতে হয়, এমন নয়। সারা বছর কম-বেশি পরিচর্যা প্রয়োজন। তবে অত্যধিক গরমে কিছু কিছু গাছের ক্ষেত্রে খানিকটা বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে। তবে কথাগুলো শুধু আমাদের ঘর বা বারান্দা-ছাদের গাছগুলোর জন্য বেশি প্রযোজ্য।
আমাদের চারপাশের প্রকৃতিতে আপনাআপনি বেড়ে ওঠা গাছগুলো শীত-গ্রীষ্মে নিজেদের মতো করেই নিজেকে মানিয়ে নেয়। ওদের সুবিধা হলো, ওরা প্রকৃতির শতভাগ সান্নিধ্যে থাকে। আর টবের গাছগুলো থাকে অনেকটা সীমাবদ্ধতার মধ্যে। এখানে মাটি, পানি, আলো-বাতাস সব কিছুই সীমিত। বাগানের গাছগুলো প্রতিদিন পানি না পেলেও কোনো না কোনোভাবে হয়তো বেঁচে যাবে, কিন্তু টবের গাছগুলো বাঁচবে না।
গরমে ছাদ কিংবা বারান্দার গাছগুলো বেশ ঝুঁকির মধ্যে থাকে। অতিরিক্ত তাপে পানি শুকিয়ে মরেও যেতে পারে। এ কারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় সকাল থেকে দুই-এক ঘণ্টা রোদ লাগার পর গাছগুলোর জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
নিয়মিত পানি সেচ দেওয়া চাই। এ মৌসুমে সকাল-বিকেল দুই বেলা সেচ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। তবে চড়া রোদের সময় গাছে পানি দেওয়া যাবে না। আবার গাছের গোড়ায় সরাসরি পানি না দিয়ে একটু দূরে দিতে হবে। গাছের গোড়ায় সরাসরি তীক্ষ ধারায় পানি পড়লে গাছের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকাও ক্ষতিকর।
গরমের সময় সবচেয়ে বেশি নজরদারি করতে হয় টব বা বস্তায় রোপণ করা মৌসুমি শাকসবজিগুলোর ওপর। এই মৌসুমে চাষ করা শাকসবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে—বরবটি, করলা, শসা, ক্যাপসিকাম, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, ঢ্যাঁড়স, পুঁইশাক, পাটশাক, পুঁদিনা ও থানকুনি। আশপাশের বিভিন্ন নার্সারিতেও এসব গাছের চারা এখন মোটামুটি সহজলভ্য।
এ ধরনের শাকসবজির জন্য খুব বেশি গভীরতার মাটি বা বেড প্রয়োজন হয় না। যদি বেড করার কোনো সুযোগ না থাকে, তাহলে বড় মাপের টবে থাকা গাছের গোড়াতেই বুনে দিতে পারেন এসব শাকসবজি। ভালো ফলন পেতে হলে দুই বেলা সেচ করা প্রয়োজন। পরিচর্যা করতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যেই ফলন পাওয়া সম্ভব।
গ্রীষ্মকালীন শাকসবজিতে পোকামাকড়ের আক্রমণটা একটু বেশিই থাকে। সুতরাং কীটনাশক ব্যবহার জরুরি। রাসায়নিক কীটনাশকের চেয়ে প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত কীটনাশক ব্যবহার করা ভালো। নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন কীটনাশক। ১০০ গ্রাম শুকনো মরিচের গুঁড়া ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে একরাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন। তারপর অল্প পরিমাণ গুঁড়া সাবান মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে একটু ফেনা করে নিলেই স্প্রে করা যাবে। রোদ থাকা অবস্থায় স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। গাছের পরিমাণ কম হলে আনুপাতিকহারে মরিচের গুঁড়া এবং পানির পরিমাণও কমবে।
এ সময় গাছের পুষ্টির জন্য অল্প পরিমাণে প্রাকৃতিক সারও ব্যবহার করা যেতে পারে। ইদানীং বিভিন্ন নার্সারিতে সারযুক্ত মাটিও পাওয়া যায়। সব কিছুর সমন্বয়ে তৈরি হবে একটি আদর্শ বাগান।
আইনিউজ/এসডিপি
- এলাচ চাষ করবেন যেভাবে
- প্লাস্টিক বোতলে সহজেই চাষ করুন পুঁই শাক
- কমলগঞ্জে,
আমন ধানে মাজরা পোকার আক্রমণ, চিন্তায় আছেন কৃষকরা - বঙ্গবন্ধু ব্রি ধান ১০০ চাষে সময় কম লাগে, খরচ বাঁচে
- ঔষধি গুণধর কালো মোরগের চাষ হচ্ছে বাংলাদেশেও
- বাড়ির টবে ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি
- বাড়ির ছাদে ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি
- দেশের বাজারে সারের দাম বেড়েছে আরও ৬ টাকা
- মাটি ছাড়া শুধু পানি দিয়ে ঘাস চাষ
- ভাদ্র মাসে চাষ করতে পারেন যেসব সবজি