Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১২ এপ্রিল ২০২৫,   চৈত্র ২৯ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৩:১৬, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আপডেট: ০৩:১৮, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ল্যান্ডিংয়ে ব্যর্থ চন্দ্রযান-২, পনেরো মিনিটের দুশ্চিন্তাই সত্যি হলো ভারতের

চাঁদের মাটি থেকে যখন ২.১ কিলোমিটার ওপরে ছিল বিক্রম, তখন থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। যে পনেরো মিনিটের দুশ্চিন্তা প্রতি মুহূর্তে গ্রাস করছিল বিজ্ঞানীদের, তাই সত্যি হলো?

ল্যান্ডিংয়ের সময় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রমের গতিবেগ ছিল ৬ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, যেখানে প্রয়োজনীয় গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদের পাথরের আঘাত লেগেই নষ্ট হয়ে যায় ল্যান্ডার। যার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পৃথিবীর সঙ্গে বিক্রমের যোগাযোগ। কিন্তু আসলে কী ঘটেছে, তা নিয়ে এখনো পর্যালোচনা চলছে।

এত দিন যাবৎ তিল তিল করে গড়ে তোলা খরচ সাপেক্ষ স্বপ্ন, ল্যান্ডারের সঙ্গে এক লহমায় ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পুরো ভারত।

আশার কথা হলো, অর্বিটার, অর্থাৎ মূল মহাকাশযান, এখনো অক্ষত। হয়তো অক্ষত আছে ল্যান্ডারের ভেতরে থাকা রোভার প্রজ্ঞানও। তবে সমস্যার কথা হলো, প্রজ্ঞান চাঁদের বুকে নামলেও তার একমাত্র যোগাযোগ সূত্র হলো বিক্রম, যে বার্তা পাঠাবে অর্বিটারকে, অর্বিটার সেই বার্তা চালান করবে পৃথিবীতে। অতএব ল্যান্ডার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তবে ভেঙে যাবে বার্তা শৃঙ্খল।

ইসরোর মিশন কন্ট্রোল সেন্টার থেকে ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মৃদু হাসিমুখেই সান্ত্বনা বাক্য আওড়ালেন, কিন্তু তাতে কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না। তিনি হাল ছাড়েননি, কিন্তু তার কথায় হতাশা কাটল না ইসরোর বিজ্ঞানীদের। যাদের হাতে গত ১০ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে উঠেছিল চন্দ্রযান-২, তার ল্যান্ডার বিক্রম, এবং রোভার প্রজ্ঞান।

অবতরণের নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট অতিক্রম হওয়ার পর ল্যান্ডার বিক্রমের অবস্থান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে গম্ভীর মুখে আপডেট দিয়ে যান ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিভন। তারপরই নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। বিজ্ঞানীদের মন শক্ত করতে তিনি বলেন, জীবনে চড়াই উৎরাই এসেই থাকে। আপনারা কেন নিজেদের ছোট করছেন? আপনারা দেশের গর্ব।

আইিনউজ/এসিব

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়