একুশের চেতনা, স্বাধীনতার প্রেরণা
স্বাধীন বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ প্রতি বছর অমর একুশের শহীদ দিবসে মহান ভাষা আন্দোলনের সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করে। ১৯৫২-এর ভাষা শহীদদের পবিত্র রক্তস্রাতের সাথে মিশে আছে বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের গৌরবগাঁথা। ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলার ছাত্রসমাজ আত্মদান করে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। রক্তরাঙা অমর একুশে ফেব্রুয়ারি রক্তের প্লাবনের মধ্য দিয়ে আজ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গৌরবময় আসনে আসীন। শুধু বাঙালি নয়, বিশ্বের প্রতিটি জাতির মাতৃভাষার মর্যাদা, স্বাধিকার,স্বাধীনতা ও মানুষের মতো বাঁচার দাবির সংগ্রামের দুর্জয় অনুপ্রেরণা সৃষ্টির চির অনির্বাণ শিখার দীপ্তিতে দিগন্ত উদ্ভাসিত করেছে একুশে ফেব্রুয়ারি। একুশে ফেব্রুয়ারি এদেশের মানুষকে শিখিয়েছে আত্মত্যাগের মন্ত্র, বাঙালিকে করেছে মহীয়ান। জাতি হিসেবে আমরা আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সমন্বয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করেছি। মহান ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে এসেছে মহত্তর স্বাধীনতার চেতনা।
সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:১৩
`টিকা` টিপ্পনী
আমি গতকালকে টিকা নিয়ে এসেছি। সবাই জিজ্ঞেস করছে, ‘কেমন লাগছে?’ কিছু একটা চমকপ্রদ উত্তর দিতে পারলে ভাল লাগত। শরীরের ভেতর বেয়াদব-বেয়াক্কেল-বেতমিজ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক তৈরি করার বিশাল দজ্ঞযজ্ঞ শুরু হয়ে গেছে কিন্তু বাইরে থেকে তার কিছুই বুঝতে পারছি না। এমনকি হাতের যেখানে সুচ ফোটানো হয়েছে সেখানেও কোনো ব্যথা নেই। বাংলা ভাষায় ‘শরীর ম্যাজম্যাজ’ বলে একটা অসাধারণ কথা আছে—গতকাল সেই কথাটা বলা যায় কিনা চিন্তাভাবনা করেছি কিন্তু জোর দিয়ে বলতে পারিনি।
সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৫২
সুশাসন হলো সোনার বাংলা গঠনের মূল ভিত
গুড গর্ভন্যান্স (Good Governance) বা সুশাসনের জন্য দরকার স্বচ্ছতা ও জবানদিহিমূলক ব্যবস্থা ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রচলনের ফলে সরকার ব্যবস্থাসমূহকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব। এর ফলে নাগরিকের হয়রানি ও বিড়ম্বনার অবসান ঘটে এবং দেশে সুশাসনের পথ নিষ্কণ্টক হয়। শাসন ব্যবস্থায় ও প্রক্রিয়ায় ইলেক্ট্রনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই-গর্ভন্যান্স। ‘সুশাসন’ হলো ন্যায়নীতি অনুসারে উত্তমরূপে সুষ্ঠুভাবে ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেশ বা রাষ্ট্র শাসন। সুশাসন হলো একটি কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন। সময়ের প্রয়োজনে এবং শাসক ও শাসিতের সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনো দেশের শাসন পদ্ধতির বিবর্তন হয়ে থাকে। শাসিতের কাম্য শুধু শাসন নয়, সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক শাসন- যাকে আমরা সুশাসন বলতে পারি। কোনো দেশে সুশাসন আছে কি-না তা বোঝার জন্য প্রথমে দেখতে হবে সে দেশে শাসকের বা সরকারের জবাবদিহি আছে কি-না এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক স্বচ্ছতা আছে কি-না। সুশাসন একটি রাষ্ট্র ও সমাজব ব্যবস্থাকে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছে দেয়। সুশাসনকে এক প্রকার মানদণ্ডও বলা যায় যে মানদণ্ডের সাহায্যে একটি রাষ্ট্র বা সমাজের সামগ্রিক অবস্থা যাচাই করা যায়। যে রাষ্ট্র বা সমাজ যত বেশি সুশাসন দ্বারা পরিচালিত হয় সেই রাষ্ট্র বা সমাজ ততো বেশি অগ্রগতির দিকে ধাবিত হয়। এক কথায় বলা যায় সুশাসন হলো একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কার্যকরী ব্যবস্থা তবে ব্যবস্থাটি হবে উন্মুক্ত। স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক ও ন্যায্য।
বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:০৫
বার্মার একটা গণতান্ত্রিক রূপান্তর জরুরী
শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:০১
বাংলা বা ‘বেঙ্গল’ তো আমাদের
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবারের বিধানসভা নির্বাচন সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলছে। কয়েক দশকের বামফ্রন্ট শাসন হটিয়ে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেসকে যে কোনো প্রকারে ক্ষমতাচ্যুত করতে যেন বদ্ধপরিকর। তৃণমূল কংগ্রেসও বিনা রণে নাহি দেবে সূচাগ্র মেদিনী। এর ফলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দলবদল, বিক্ষোভ, সংঘাত প্রায় প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে বারংবার উচ্চারিত হচ্ছে 'বাংলা' নামটি; এর মধ্য দিয়ে তারা ভৌগোলিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে বোঝাচ্ছে। যেমন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী, রাজ্য সরকারের সদ্য পদত্যাগী মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন- বাংলাকে বিজেপির হাতে তুলে দেওয়াই তার লক্ষ্য। এর জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা ও ভারতের লোকসভা সদস্য এবং বিশেষভাবে উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ভাইপো' অভিষেক ব্যানার্জি বলেছেন- বাংলা কি কোনো বস্তু যে, বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু দু'জনের কেউই বুঝতে পারছেন না যে, যুযুধান দুই পক্ষ চাইলেও বাংলাকে কারও হাতে তুলে দিতে বা নিজের কাছে রাখতে পারবেন না। বাংলা তো তাদের নয়, বরং আমাদের, বর্তমান বাংলাদেশের। 'বাংলা' হিসেবে পশ্চিমবঙ্গকে অভিহিত করাও নেহাত আশার ছলনে ভোলা ছাড়া কিছু নয়।
বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:১৫
শুভ জন্মদিন, নির্মূল কমিটি
মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ১০:২৬
আমাদের আয়শা আপা
জানুয়ারির ২ তারিখ ভোরবেলা খবরটি দেখে একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। ভেবেছিলাম রাক্ষুসী ২০২০ সালটি আমাদের সব প্রিয়জনকে নিয়ে বুঝি শান্ত হয়েছে
বুধবার, ৬ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৩৪
হ্যাপি নিউ ইয়ার টোয়েন্টি টোয়েন্টি ওয়ান
বনফায়ারের আগুন হিস হিস করে জ্বলতে থাকে। বাগানবাড়িতে আলো আঁধারির রহস্যে একে একে এসে থামতে থাকে ঢাউস জুড়িগাড়ি; তার পেছনে পিন পিন শব্দ করে এসে দাঁড়ায় প্রোটোকলের স্লেইজ গাড়ি; তাতে শীতে জবু থবু দেহরক্ষীরা। ঢাউস জুড়িগাড়িগুলো থেকে একে নামতে থাকে অতিথি পেঙ্গুইন আর এস্কিমোরা। বাগানবাড়ির শান বাঁধানো উঠোন জুড়ে পরিসংখ্যানের আলপনা। দেয়ালে আলো আর আলেয়ার নয়নাভিরাম সংখ্যা শিল্প। নিরাপদ দূরত্বে মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো করে সাজানো সংরক্ষিত নৈশ আসনগুলো।
শুক্রবার, ১ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:০৭
অন্ধের দেশে দাসদের মধ্যে বসবাস
যখন একজন অভিজিৎ রায়কে ওরা হত্যা করে, তখন আপনার কণ্ঠ খুলে প্রতিবাদ করা প্রয়োজন। প্রয়োজন সেটা আপনার স্বার্থেই।
মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:১৫
২০২০, আমাদের মুক্তি দাও
শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০১
লাল-সবুজ পতাকার অসম্মান হতে দিও না
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তাঁর এই ভাষণ বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি রেডিও-টিভি চ্যানেল থেকে এক যোগে সম্প্রচারিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ-
বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:৩১
শহীদ বুদ্ধিজীবী : যাদের রক্ত আর অশ্রুতে ভেজা এ মাটি
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি আর স্বাধীনতার জন্য আমাদের চরম মূল্য দিতে হয়েছে। প্রায় নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে প্রাণদান করেছিলেন আমাদের লাখো পূর্বপুরুষ। তাদের মধ্যে যেসব কীর্তিমান ও বরেণ্য ব্যক্তি স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকে অন্তিম মুহুর্তে এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে খুন ও নিখোঁজ হন— ইতিহাসে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত।
সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৪১
মাথাপিছু আয় ২০৬৪ ডলার: অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের নেপথ্য গাথা
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বাংলাদেশের মানুষ শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে এবং নতুন উদ্যমে বাঁচার সংগ্রামে সম্মিলিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
রোববার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:০৯
ভারতীয় স্বীকৃতির ঐতিহাসিক সেই দিন
৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। বিকেল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটা। শীতকালের অল্প সময়ের বিকেলে পার হয়ে সন্ধ্যা একটু পরেই নামবে। কলকাতার এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতা করছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি।
শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৩৭
সীমা এবং সীমা লঙ্ঘন
গত কিছু দিন “বিতর্ক” শব্দটি পত্রপত্রিকায় খুব ঘন ঘন এসেছে, যদিও আমার মনে হয়েছে শব্দটি যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। কোনও একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক করতে হলে তার পক্ষে যে রকম যুক্তি থাকতে হয় ঠিক সে রকম বিপক্ষেও যুক্তি থাকতে হয়।
শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:৫৪
`পদ্মা সেতু` একটি ইতিহাসের নাম
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মূল পদ্মা সেতু ও নদীশাসনকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তখন স্বপ্ন বোনা শুরু করে ভয়াল পদ্মার দুই পাড়ের মানুষ। সেদিন তাঁদের বিশ্বাস হয় পদ্মার বুকে ব্রীজ হবে। মাওয়া-জাজিরা প্রান্তর সংযুক্ত হবে। তাঁদের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো আজ সকালে। সকাল সাড়ে দশটায় যখন ৪১ নম্বর স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয় তখন কোটি মানুষের চোখে ধরা দেয় পদ্মার বাস্তব অবকাঠামো।
বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৩০
ভাস্কর্য একটি দেশ, নগর ও সভ্যতার স্মারক
পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল ধর্মের জিগির তুলে। সে রাষ্ট্র কাঠামোর অভ্যন্তরে একটি দল ১৯৫৫ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত তাদের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ প্রত্যাহার করে নিয়ে সবাইকে চমকে দেয়। কার্যত ধর্মপরিচয়ে বিভক্ত উপমহাদেশে নতুন ধারার রাজনীতির বার্তা দেয়। এমন সাহসী সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই মূলত আওয়ামী লীগ সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক একটি দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৩০
ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে কি পার্থক্য?
বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:০৭
ম্রো পল্লি এবং পাঁচতারা হোটেল
আমাদের সবার ভেতরেই প্রকৃতির জন্য এক ধরনের ভালোবাসা আছে। আমরা সবাই মনে মনে স্বপ্ন দেখি কোনও একদিন একটা গহিন গ্রামে ফিরে যাবো। গাছের ছায়ায় পাখির কলকাকলি শুনতে শুনতে নদীতীরে বসে থাকবো, ভাটিয়ালি গান গাইতে গাইতে মাঝি পাল তুলে তার নৌকা বেয়ে যাবে আর আমরা মুগ্ধ হয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকবো। বাস্তবতার চাপে হয়তো আমরা সেটা করতে পারি না, কিন্তু তাই বলে আমাদের স্বপ্ন কখনও থেমে থাকে না।
শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৫৪
কোন কৌশলে মিয়ানমার?
যখন হাতিরা লড়াই করে, তখন ঘাসের ক্ষতি হয়, কিন্তু তারা যখন প্রেম করে, তখনও ঘাসই ক্ষতিগ্রস্ত হয়! উক্তিটি সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইয়ুর
শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০, ১৭:২৫
বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় এলএনজি ও বাংলাদেশ
সাসটেইনেবল এনার্জি বর্তমান বিশ্বে অন্যতম আলোচিত বিষয়, এর সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ। বর্তমান বিশ্ব চায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ মুক্ত সাসটেইনেবল এনার্জি, যা এসডিজি-৭ অর্জন করতে অন্যতম ভূমিকা পালন করবে।
শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০, ১৯:৫৮
আর কতকাল?
খবরের শিরোনামটি দেখে আমি শিউরে উঠেছিলাম—একজন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আমি ভাবলাম, না জানি কোন দেশে এরকম একটা ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে, আমাদের দেশে তো কখনও এরকম নিষ্ঠুরতা হয় না। খবরের ভেতরে চোখ বুলিয়ে আমি হতবুদ্ধি হয়ে গেলাম। এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি আমার দেশের ঘটনা, লালমনিরহাটে অক্টোবরের ২৯ তারিখে ঘটেছে। যতই খবর আসতে থাকলো ততই এটি আরও অবিশ্বাস্য এবং আরও ভয়ঙ্কর মনে হতে থাকলো। শহীদুননবী জুয়েল নামের যে মানুষটিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তিনি ধর্মপ্রাণ মানুষ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। কোরআন শরিফের অবমাননা করেছেন অপবাদ দিয়ে তাকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। খবরের যে অংশটি সবচেয়ে হৃদয়বিদারক সেটি হচ্ছে যখন তাকে অসংখ্য মানুষ মিলে আক্রমণ করেছে তখন তাকে উদ্ধার করে কোনও একটি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছিল, কিন্তু তারপরেও উন্মত্ত জনতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করা যায়নি, তারা সেখান থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করেছে। তাহলে কী মেনে নিতে হবে আমাদের দেশে আসলে কোনও মানুষের নিরাপত্তা নেই? একজন নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে একটা অপবাদ দিয়ে কিছু মানুষকে উন্মত্ত করে ফেলে যখন খুশি তাকে মেরে ফেলা যাবে? পুলিশ র্যাব গিয়েও তাকে বাঁচাতে পারবে না? ছেলেধরা অপবাদ দিয়ে আমরা কী এর আগে একজন নিরপরাধ মহিলাকেও হত্যা করার ঘটনা দেখিনি?
শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০, ১১:০৯
এই অন্যায়টা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও হয়
বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০, ১৪:০৭
পরশ্রীপুলক
না—বাংলা ভাষায় “পরশ্রীপুলক” বলে কোনও শব্দ নেই। তবে আমার খুব শখ “পরশ্রীকাতর”-এর বিপরীত শব্দ হিসেবে বাংলা ডিকশনারিতে “পরশ্রীপুলক” বা এ ধরনের কোনও একটা শব্দ যেন জায়গা করে নেয়! বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে পরশ্রীকাতর শব্দটি নিয়ে অনেক দুঃখ করেছেন। লিখেছেন, “পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয় তাকে ‘পরশ্রীকাতর’ বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ সকল ভাষায়ই পাবেন, সকল জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে, কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা।
শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৩:২৮
নয়া পৃথিবীর নয়া অর্থনীতি
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কৌশলে কৃষিই নেতৃত্ব দেবে। আগামী দিনে বিশ্বজুড়ে কৃষির শক্তিমত্তা আরও বাড়বে। বাংলাদেশ তো এই দৌড়ে আশপাশের সহযোগী দেশগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।
শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৩:২০
আমাদের গ্লানি, আমাদের কালিমা
বাংলা ভাষায় ধর্ষণ থেকে ভয়ঙ্কর কোনও শব্দ আছে কিনা আমার জানা নেই। একটা সময় ছিল যখন এই শব্দটি লিখতে আমার কলম সরতো না, ‘নির্যাতন’ বা এই ধরনের অন্য কোনও শব্দ ব্যবহার করে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করতাম। আমি নিজের জন্য একটা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছিলাম, নিজেকে বোঝাতাম, আমি সাধারণত বাচ্চাকাচ্চাদের জন্য লিখি বলে তারা আমার নাম দেখলেই সেই লেখাটা পড়ে ফেলার চেষ্টা করে। এত বাচ্চা বয়সে তাদের এরকম ভয়ঙ্কর একটা বিষয় জানানো মনে হয় ঠিক হবে না। এখন সেই যুক্তিটি আর কাজে আসবে না—খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, আলাপ-আলোচনা, জনসভা, মানববন্ধন, আন্দোলন সব জায়গায় সবচেয়ে বেশিরভাগ সময়ে সবচেয়ে বেশিবার উচ্চারিত শব্দটি হচ্ছে ‘ধর্ষণ’। শিশু থেকে বৃদ্ধ কারোরই এ শব্দটি শুনতে এবং এ বিষয়টি জানতে বাকি নেই।
শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১২:৪৯
সঠিকভাবে হাত ধুতে পারলেই বাঁচবে লক্ষ শিশুর প্রাণ
‘খাবার গ্রহণ করার আগে দেশের মাত্র ৪০ ভাগ মানুষ সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে থাকে। খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে হাত ধুতে মাত্র ৩৬ ভাগ মানুষ সাবান ব্যবহার করছে। মলত্যাগের পর হাত ধোয়ায় সাবান ব্যবহার করছে ৫৫ ভাগ’- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ন্যাশনাল হাইজেনিস সার্ভে-২০১৯’ প্রতিবেদন যখন এরকম হতাশাজনক পরিস্থিতির অবতারণা করছে তখন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস।
বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০, ২২:৪৪
আমি ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড ও ক্রস ফায়ার চাই না
রোববার, ১১ অক্টোবর ২০২০, ১৬:০৬
ক্রসফায়ারের ‘গণদাবি’ ও নাগরিক অসহিষ্ণুতা
সক্রেটিস বলেছিলেন রাষ্ট্র কার? শক্তিমানের না দুর্বলের? — রাষ্ট্র দুর্বলের। কারণ শক্তিমান নিজেই নিজেকে রক্ষা করতে পারে। দুর্বলের স্বার্থ রক্ষার জন্যই রাষ্ট্র। আর রাষ্ট্র মানে নীতিমালা। বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সমষ্টি। আইনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা জাল।
বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:৫৮
হাওয়াই মিঠাই আন্দোলনে সমাজ পরিবর্তন হবে না
‘গ্রেপ্তার চাই’, ‘বিচার চাই’, ‘ক্রসফায়ার চাই’ টাইপের একদিনের আন্দোলন করা সোজা। বিকেলে একটা জমায়েত ডাকলে এর আগে দুপুরেই খবর পাওয়া যায় যে গ্রেপ্তার হয়েছে, রিমান্ড হয়েছে। ডাকার আগেই আন্দোলন সফল। তারপর আর কী হয় কেউ জানে না।
মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০, ২১:১৩
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ
শিরোনাম