মো. হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী)
নীলফামারীর ধুম নদীর উপর নির্মিত বক্স কালভার্টের বেহাল দশা
কালভার্টটির দুই পাশ ধ্বসে গেছে। ছবি- আই নিউজ
নীলফামারীর ডিমলায় ধুম নদীর উপর নির্মিত বক্স কালভার্টটি বেহালদশায় রূপ নিয়েছে। কালভার্টটির দুই পাশ ধ্বসে গেছে। বক্স এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে এটি আর পূর্ণসংস্কার করা সম্ভব নয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে ধুম নদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বক্স কালভার্টটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে ইউনিয়ন পরিষদের সর্বস্তরের জনগন। কালভার্টটির এক পাশে খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডালিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ডালিয়া শিশু নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল-মদিনা মডেল মাদ্রাসা, গোডাউনের হাট, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়া নতুন বাজার, ডালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অপর দিকে কাকিনা, ছোটখাতাসহ আরো কয়েকটি গ্রাম। এলাকাবাসীর দাবি আর বক্স কালভার্ট নয়, নতুন করে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হোক সেখানে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পার্শ্বে ধুম-নদীর ওপর নির্মিত এই কালভার্টটি এখন পথচারীদের জন্য মরণফাঁদ। পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়।
ইউপি সদস্য নওশাদ আলী বলেন, গত কয়েক বছর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া অপরিকল্পিত ভাবে নদীটি খনন করেন। ফলে এই বক্স কালভার্টটি সহ আরো কয়েকটি ব্রীজ দুই দিকে ধ্বসে পড়ে। এত দীর্ঘ সময়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা এলজিইডি এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। ভারী যানবাহন যাতায়াত করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কালভার্ট সংলগ্ন স'মিলের কর্মচারী এরশাদ, ছালাম বলেন, ওই কালভার্টের উপর দিয়ে আমরা নিয়মিত যাতায়াত করি। কালভার্টের দুই পাশ ধ্বসে যাওয়ায় যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ডালিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র পরিমল চক্রবর্তী বলেন, অটোবাইকে অথবা ভ্যান গাড়ীতে চড়ে আমরা ভয়ে ভয়ে কালভার্টটি পার হয়ে স্কুলে যাই। অনেক সময় ভ্যান যেতে চায় না তাই হেঁটেও যেতে হয়।
খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, গোডাউনের হাট, কাকিনা, জরিনার বাজার, ডালিয়া নতুন বাজারসহ অত্যন্ত ১০/১২ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এসব গ্রামের হাজারও মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি ভেঙ্গে নতুন একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী ইউনিয়ন বাসির । এ নিয়ে উপজেলায় মাসিক উন্নয়ন সভায় একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলাম বলেন, ধুম নদীর ওই জায়গায় ব্রীজ নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করি চলতি অর্থবছরে কালভার্টটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজের কাজ শুরু করতে পারব।
আই নিউজ/এইচএ
- বরিশালে সন্ধ্যা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো হাঙর
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ ফলাফল : নৌকা ৮৭৭৫৩, হাতপাখা ৩৪৩৪৫
- গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রাপ্ত ফলাফল
- প্রেমের টানে বরিশালে, ‘দেশি প্রেমিকের’ হাতে মার খেয়ে পালালেন ভারতীয় প্রেমকান্ত
- বাড়িতে ফোন দিয়ে জানলেন তিনি বাঘের থাবায় মারা গেছেন, চলছে দাফনের প্রস্তুতি
- কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ লক্ষ টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজতে এলাকায় মাইকিং
- চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা
- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা স্বপ্ন-সোহাগী ঠাকুরগাঁওয়ের গর্ব
- দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মারা গেছেন
- নির্বাচন ফলাফল লাইভ ২০২৪ | BD election result 2024