Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

বিকাশ বিশ্বাস

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ৩ অক্টোবর ২০২৪
আপডেট: ১৭:৫২, ৩ অক্টোবর ২০২৪

নবদুর্গা পূজা

বাংলাদেশের একমাত্র আগাম দূর্গাপূজা শুরু

দুর্গার ৯টি রুপের মধ্যে (প্রথম রুপ) শৈলপুত্রী রুপের পূজা করছেন পুরোহিত। ছবি: আই নিউজ

দুর্গার ৯টি রুপের মধ্যে (প্রথম রুপ) শৈলপুত্রী রুপের পূজা করছেন পুরোহিত। ছবি: আই নিউজ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের আগাম দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর দুর্গা পূজার ছয়দিন আগ থেকেই এই মন্দিরে দুর্গার নয়টি রুপে আগাম দুর্গাপূজা শুরু হয়। প্রতিদিন একটি করে দেবী দুর্গার নয়টি রুপের পূজা করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ইছামতী চা বাগানের মঙ্গলচন্ডি মন্দিরে দেবী দুর্গার ৯টি রুপের মধ্যে (প্রথম রুপ) শৈলপুত্রী রুপের পূজা করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে দেবীর বাকি রুপের পূজা করা হবে।

পূজার দ্বিতীয় দিন দেবী ব্রহ্মচারিণী, তৃতীয় দিন দেবী চন্দ্রঘন্টা, চতুর্থ দিন দেবী কুম্মান্ডা, পঞ্চম দিন দেবী স্কন্দমাতা, ষষ্ঠ দিন দেবী কাত্যায়নী, সপ্তম দিন দেবী কালরাত্রি, অষ্টম দিন দেবী মহাগৌরী ও দেবী সিদ্ধিদাত্রী পূজিত হবেন। এরকম পর্যায়ক্রমে ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার হতে ১২ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত চলবে দেবীর নয়টি রুপের পূজা। আগামী ১২ অক্টোবর হবে দেবীর বিসর্জন।

হিন্দু পুরাণ অনুসারে দেবী পার্বতীর নয়টি ভিন্ন রুপ। দেবী পার্বতীর দুর্গার রুপের নয়টি রুপকে বোঝানো হয় ৷ নয় রুপ হল যথাক্রমে- শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী।

পূজার প্রথম দিন মঙ্গলচন্ডি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, ‘সারাদেশের হাজার হাজার পূূজা মন্ডপে কারিগররা যেখানে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সেখানে এই জায়গায় ঢাক, কাসা, শঙ্খে ও উলুধ্বনিতে মোহিত হচ্ছে পূজা মন্ডপ। দেশের মঙ্গল কামনায় দেবীর চরণে অঞ্জলি দিয়েছেন ভক্তরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা আগাম দুর্গা পূজা দেখতে এসেছেন।’

পূজা দেখতে আসা মিতু ভৌমিক বলেন, ‘মাকে যেনো প্রতি বছর দেখতে পাই। সারাদেশে এখনো পূজা শুরু হয় নি। এখানে দুর্গা পূজা শুরু হয়ে গেছে। আমরা পরিবারের লোকজন সবাই পূজা দেখতে চলে এসেছি। মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি আমরা যেন সবাইকে নিয়ে ভালো থাকি।’

মঙ্গলচন্ডি সেবাশ্রম নবরুপে নবদূর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঝিনুক বৈদ্য বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও আমরা পূজার আয়োজন করেছি। মূলত জগত থেকে সকল দুঃখ দূর্দশা এবং অসুর শক্তিকে পরাজিত করার জন্য মা দূর্গা প্রতিবছর আবির্ভূত হন। এবারও মহালয়ার মধ্যে দিয়ে মা দুর্গা পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন। এই নয়দিন, নবমী পর্যন্ত মা দুর্গা পৃথিবীতে বিভিন্ন রুপে অবস্থান করেন। এই নয়টি রুপেরই পূজা মূলত এই মঙ্গল চন্ডি মন্দিরে করা হয়ে থাকে।’

মঙ্গল চন্ডী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত দাশ বলেন, ‘এই বছর ১৪তম বছর নবদূর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের একমাত্র নবদূর্গা পূজা এই মন্দিরে হয়ে থাকে। আমরা ১৪ বছর যাবত এই পূজা করে আসছি। মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে প্রার্থনা করি যাতে মা পৃথিবীর শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেন, এবং দেশের মানুষ যেবো ভালো থাকে। এই মন্দিরে হাজার হাজার দর্শক সমাগম ঘটে। আমরা আশাকরি কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপন করতে পারব।’

বাংলাদেশের আগাম দুর্গা পূজা হিসেবে গত ১৪ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই মন্দিরে।

আই নিউজ/আরএ

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়