নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১৮:৪৫, ১৬ মার্চ ২০২২
‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’কে দাম্পত্য কলহ বলে সংবাদ সম্মেলনে আসামি
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফিরোজ আহমদ।
কক্সবাজারে আদালত পাড়া থেকে নারীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফিরোজ আহমদ ধর্ষণের ঘটনাকে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নিজেকে ওই নারীর স্বামী দাবি করে সেদিন এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দাম্পত্য কলহের জেরে তার সাথে ওই নারীর কক্সবাজার পৌরসভা এলাকায় ধস্তাধস্তি হয়, যা বিভিন্ন মিডিয়ায় ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ বলে মিথ্যা তথ্য প্রচারিত হয়েছে।’
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের বাহারছরা পুরাতন সাইমন হোটেল এলাকার রান্নাঘর রেস্তোরাঁয় তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান আসামি ফিরোজ এসব দাবি করেন।
ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে ফিরোজ বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপের স্বার্থ হাসিলের জন্য চারজন যুবককে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন ঐ নারী। তাঁকে ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি। ওইদিন কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে তাকে প্রকাশ্যে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন রুনা। তিনি তার শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া করে হেনস্থা করলে পথচারীরা তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
ফিরোজ বলেন, ‘স্ত্রী সেখানে গিয়েও হেনস্থা করলে বাধ্য হয়ে তাকে নিয়ে পাশেই মামা বাড়িতে ঢুকে পড়ি। ওই সময় মামী আমার স্ত্রীকে থামানোর চেষ্টা করেন। ওই ঘটনাকে রুনা প্রতিপক্ষের লোকজনের যোগসাজশে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণে’র ঘটনা সাজিয়ে থানায় এজাহার দেন।’
ফিরোজের দাবি, এজাহারে যে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ‘ধর্ষণ মামলার আসামি’ বানানোর অপচেষ্টা করেছেন তাদের তিনজনের ঘটনার সাথে কোনও সম্পর্কই নেই। আসামি তালিকায় থাকা ইসলামপুর ইউনিয়নের ফকিরাবাজার এলাকার মোহাম্মদ শরীফ আগামী নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার ইমেজ নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে তাকে আসামি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অপর দুই আসামি সহোদর রাসেল উদ্দিন ও নুরুল ইসলামও এ ঘটনায় সম্পৃক্ত নয়। বরং তারা ঘটনার সময় নিজেদের বাড়ি থেকে একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বের হন। পথিমধ্যে রাস্তায় আমাদের স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া দেখে আমাদের দু’জনকেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তারা তাদের কাজে চলে যান।’
‘আর আমার স্ত্রীকে আমি কেনো ধর্ষণ করবো?’ এ প্রশ্নও রাখেন ফিরোজ।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজের দাবি সম্পর্কে ঐ নারী বলেন, ‘আমি ফিরোজের বিবাহিত বউ নই। প্রশাসনকে বোকা বানাতে সবরকম মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে ফিরোজ। থানা-পুলিশের সাথে দহরম-মহরম সম্পর্কের জেরে সে পুরো এলাকার অপরাধ ও অপরাধী নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় সে যেটা চাই, তা-ই হয়। আমি আগের স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর সে আমাকে রক্ষিতা হিসেবে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় আমার জীবনে একের পর এক অঘটন ঘটাচ্ছে।’
এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়েই সংবাদ সম্মেলন স্থলে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু এর পূর্বেই আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর মঙ্গলবার দিনগত রাতে মামলার আইও দুটি টিম নিয়ে আসামিদের গ্রামের বাড়ি ঈদগাঁওতে রাতভর অভিযান চালায়। কিন্তু তারা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি।’ এরপরও তাদের লোকেশন শনাক্তের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আইনিউজ/এসডি
আইনিউজ ভিডিও
হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পরে গেলাম- বিএনপির নাসের রহমান
১৫ হাজার টাকার মধ্যে বাজারের সেরা ৫ ফোন
মাথায় ৭৩৫টি ডিম নিয়ে বিশ্বরেকর্ড
- বরিশালে সন্ধ্যা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো হাঙর
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ ফলাফল : নৌকা ৮৭৭৫৩, হাতপাখা ৩৪৩৪৫
- গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রাপ্ত ফলাফল
- বাড়িতে ফোন দিয়ে জানলেন তিনি বাঘের থাবায় মারা গেছেন, চলছে দাফনের প্রস্তুতি
- প্রেমের টানে বরিশালে, ‘দেশি প্রেমিকের’ হাতে মার খেয়ে পালালেন ভারতীয় প্রেমকান্ত
- কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ লক্ষ টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজতে এলাকায় মাইকিং
- চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা
- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা স্বপ্ন-সোহাগী ঠাকুরগাঁওয়ের গর্ব
- দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মারা গেছেন
- নির্বাচন ফলাফল লাইভ ২০২৪ | BD election result 2024