Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ১৬ মার্চ ২০২২

আসামির স্বজনের সাথে ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস, ওসি প্রত্যাহার

ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান। সংগৃহীত ছবি

ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান। সংগৃহীত ছবি

মামলার অভিযোগপত্র থেকে এক আসামির নাম বাদ দেওয়া ও আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা হয়। কথামত কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত প্রদানে ফোনালাপ হয়। পাঁচ দফায় প্রায় ১৭ মিনিটের ফোনালাপ হয়।

গাইবান্ধার ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা মামলার আসামির এক স্বজনের সাথে ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হয় গাইবান্ধার ওসির। এ ঘটনায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতেই তাকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। 

আজ বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টায় গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তাকে ক্লোজ করা হয়েছে।

জানা যায়, গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানার বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাসুদসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়। অপর দুইজন আসামি হচ্ছেন-রুমেল হক ও খলিলুর রহমান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের ওসি এবং বর্তমানে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানের সঙ্গে মামলার আসামির এক স্বজনের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হয়।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে এক আসামির নাম বাদ দেওয়া ও আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা হয়। কথামত কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত প্রদানে ফোনালাপ হয়। পাঁচ দফায় প্রায় ১৭ মিনিটের ফোনালাপ হয়। এই ফোনালাপটি দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশের পর জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তারপরেই ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়।

অডিও রেকর্ডে শোনা যায় টাকা লেনদেনের কথোপকথন। তবে ওসি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, টাকা লেনদেন নিয়ে তার কারো সঙ্গে কথাবার্তা হয়নি। এছাড়া তিনি কোনো আসামিকে বাদ দেননি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত উপ-দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার (৪২) বাসা থেকে শহরের স্টেশন রোডের জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাসুদের বাসা গাইবান্ধা শহরের নারায়নপুর এলাকায়। মাসুদ রানা একজন দাদন ব্যবসায়ী। প্রায় দুইবছর আগে মাসুদ রানার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেন ব্যবসায়ী হাসান আলী। এই টাকা সুদ-আসলে ১৯ লাখে দাঁড়ায়। সুদের টাকা দিতে না পারায় গা ঢাকা দেয় হাসান আলী। খোঁজ পেয়ে গতবছরের ৬ মার্চ লালমনিরহাট থেকে হাসানকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে এসে নিজ বাড়িতে রাখেন মাসুদ। এরপর এক মাসের বেশি সময় হাসানকে নিজ বাসায় আটকে রেখেছিলেন মাসুদ।

এই মামলার প্রথমে তদন্ত করেন গাইবান্ধা সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) সেরাজুল ইসলাম। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের তৎকালীন ওসি ও বর্তমানে সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মানষ রঞ্জন দাস। সর্বশেষ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পান তৎকালীন গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের ওসি ও বর্তমানে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান।

আইনিউজ/এসডি

আইনিউজ ভিডিও

হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পরে গেলাম- বিএনপির নাসের রহমান

১৫ হাজার টাকার মধ্যে বাজারের সেরা ৫ ফোন

মাথায় ৭৩৫টি ডিম নিয়ে বিশ্বরেকর্ড

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়