Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১৮, ২ জুলাই ২০২২

পাগলা মসজিদের দানবক্সে ১৬ বস্তা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার

পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা-গয়না হিসেব করা হচ্ছে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা-গয়না হিসেব করা হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক এবার ৩ মাস ২০ দিন পর খোলা হয়েছে। এতে আটটি সিন্দুক থেকে মোট সাড়ে ১৬ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

শনিবার (২ জুন) সকাল আটটায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি সিন্দুক খোলা হয়। সেগুলো গণনার কাজ চলছে।

এক প্রতিবেদনে দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো জানায়, এর আগে সর্বশেষ ১২ মার্চ সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ১৫ বস্তা টাকা হয়েছিল। সেগুলো গণনা করে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫, যা এযাবৎকালে একবার সিন্দুক খুলে টাকা পাওয়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড। এবার সাড়ে ১৬ বস্তা টাকা হওয়ায় গতবারের চেয়ে টাকার পরিমাণ বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উবায়দুর রহমান ও মাহবুব হাসান, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারক করছেন। টাকা গণনার কাজে সহযোগিতা করছে মাদ্রাসার শতাধিক খুদে শিক্ষার্থী।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি গড়ে ওঠে। কথিত আছে, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। সে জন্য দূরদূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে দান করে থাকেন। মানুষ টাকাপয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার দান করেন। এ ছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, মসজিদটিকে ঘিরে চলছে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়। বর্তমানে পাগলা মসজিদকে একটি অন্যতম আধুনিক ইসলামিক স্থাপত্য হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়