ছাত্রলীগের ওপর লাঠিচার্জ : আরও ৫ পুলিশকে প্রত্যাহার

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় আরও ৫ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে

বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় আরও ৫ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও, জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

বরগুনা জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যাহারকৃত কর্মকর্তারা হলেন- বরগুনা সদর থানার এএসআই মো. সাগর, পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. রবিউল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল কেএম সানিকে প্রত্যাহার করে ভোলা জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডিবি পুলিশের এএসআই মো. ইসমাইল ও কনস্টেবল রুহুল আমিনকে প্রত্যাহার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন মানবাধিকার প্রধান মিশেল বাচেলেট

এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রত্যাহার করে প্রথমে বরিশাল রেঞ্জে ও পরে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।

সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এ ব্যাপারে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান অবশ্য বলছেন, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল মাত্র। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আইনিউজ/এইচএ

আইনিউজে আরও পড়ুন-