বাজারে ওঠছে শীতকালীন শাকসবজি, চাহিদা ব্যাপক

এবছর শীতকালেও খানসামা উপজেলার বাজারগুলোতে জমে ওঠেছে শীতকালীন শাকসবজি সমাহার। বছরের সব সময় শাকসবজি পাওয়া গেলেও শীতকাল শাকসবজিতে আসে নতুন স্বাদ। তাই শীতকালের এই শাকসবজির চাহিদাও বাজারে ব্যাপক।

শীতের সময় হাট বাজারে বেশি দেখা যায়,শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, টমেটো,  লাউ,  মটরশুঁটি, ধনিয়াপাতাসহ অনেক কিছু। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতকালীন সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ও ভিটামিন।

হাট বাজারগুলোতে শাকশবজি নিয়ে খোলা জায়গায় বসে  বিক্রি করেন বিক্রেতারা।  শাক-সবজির বেচা কেনার ধুম বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যায়। এসময় বাজারে আসে টাটকা সবজি। দোকান গুলোতে দেখা যায় উপচে পড়া ভীড়। তবে এবার বাজার একটু বেশি।

সবজি বিক্রেতা রাজ্জাক বলেন, এ বছর শাকসবজির দাম একটু বেশি যেমন,শিম ৫০ টাকা,ফুলকপি ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, মুলা ২০টাকা, বেগুন ২০/২৫ টাকা,লাউ ২০/৩৫ টাকা, পোটল ২৫ টাকা,মরিচ ৩০ টাকা কেজি, পালংশাক ২০ টাকা আঁটি, লাল শাক ১৫ টাকা দামে বিক্রি করছি। ফলে ব্যবসাও তেমন লাভজনক হচ্ছে না।

ক্রেতা সাদেকুল বলেন, দাম বেশি হলেও কিছু করার নেই। শাক সবজি শরীরের চাহিদা মোতাবেক পুষ্টি উপাদান করে, বিশেষ করে ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদা পূরণ করে। দাম বেশি হলেও করার কিছুই নেই।

সবজি চাষী মকবুল হোসেন বলেন, শীতের সময় যদিও শাক সবজি ব্যাপক চাষাবাদ হয়। তবে অনেকে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।

• খানসামায় হেমন্তে ধান তোলছেন জমিহীন দরিদ্র্যরাও

তিনি আরো বলেন, শীতের সময় শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করে । এতে ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। উৎপাদন খরচও একটু বেড়ে যায়।

খানসামা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শীতকালে  কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা কৃষকদের কারিগরি সহায়তাসহ বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিচ্ছেন।শাক সবজিতে কখন কি কীটনাশক প্রয়োজন ও কোন কীটনাশক প্রয়োগ করলে মানুষের ক্ষতি হবে না।

আইনিউজ/এইচএ