Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) 

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আপডেট: ১৮:২৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

ড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন তলিয়ে যাওয়া এলাকায় সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণে প্রতিবাদে বিক্ষোভ।

ড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন তলিয়ে যাওয়া এলাকায় সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণে প্রতিবাদে বিক্ষোভ।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন তলিয়ে যাওয়া এলাকায় সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, প্রতিবাদসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে খনি সংলগ্ন পাতরাপাড়া মোড়ে কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রামের সহস্র নারী ও পুরু গ্রামবাসী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ, প্রতিবাদসহ ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন মনতাসির আফসানী সাগর, পাতরাপাড়া গ্রামের রেজওয়ান হোসেন বাপ্পি, আসাদ সরকার, গোলাম কিবরিয়া, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

মনতাসির আফসানী সাগর বলেন, কয়লাখনি সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর চাষাবাদের জমিতে আকস্মিকভাবে ঘেরাবেড়া দিয়ে সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীকে কউই কোনো কিছু জানায়নি। এলাকাবাসী এখন পর্যন্ত তাদের ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিপূরণ পাননি। এখন পর্যন্ত মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ ঘরবাড়ীর ফাটলের কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ না দিয়েই সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণ কাজ শুরু করা হচ্ছে। ২০০৯ সালের ১ মে তারিখে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর সঙ্গে কয়লাখনি কর্তৃপক্ষের সম্পাদিত ১০দফা চুক্তি এখনও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হয়নি। উপরোন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের কোনো কথাই কর্ণপাত করছেন না খনি কর্তৃপক্ষ। সমঝোতা চুক্তির ১০ দফা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত এলাকায় কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না। দাবি আদায়ের জন্য আগামীতে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) মহাব্যবস্থাপক (জিএম-সার্ফেস অপারেশন) এটিএম নূরুজ্জামান বলেন, সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করার বিষয়টি সরকারের কাজ। কেউ যদি সরকারি কাজ করতে না দেয় তবে সে বিষয়ে সরকার দেখবে। খনির কয়লা উত্তোলনের জন্য পূর্বে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তাদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ওইসব জায়গা খনি কিনে নিয়েছে। বর্তমানে কয়লা উত্তোলনের কারণে কারো কোনো ক্ষতি হয়ে থাকলে সেটি সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক ক্ষতিপূরণ প্রদানের অবশ্যই উদ্যোগ নেবে খনি কর্তৃপক্ষ। 

তিনি আরও বলেন, খনি বাস্তবায়নকারি চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে, কয়লা উত্তোলনের কারণে কারো কোনো ক্ষতি হলে সেটি তদন্তপূর্বক খনি কর্তৃপক্ষকে জানাতে। এখন পর্যন্ত এ ধরণের কোনো ঘটনার বিষয়য়ে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়