Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:২২, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

হিজাব না পরায় চুল কেটে দেওয়া শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত 

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে হিজাব না পরায় বিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার আলোচিত সেই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর উপজেলার সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই ঘটনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত রুমিয়া সরকার বিদ্যালয়টির বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ের শিক্ষক।

বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে বিজ্ঞান ক্লাস চলছিল। রুমিয়া সরকার ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় ধর্মী আচার-আচরণ নিয়ে কথা হয়। ক্লাসের ৯ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে হিজাব ছাড়া ছিল। শিক্ষিক রুমিয়া পর্দার আলোচনা করতে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। সে সময় শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেন তিনি।

সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, আমার একটাই হিজাব ছিল। ওই হিজাবটা ময়লা হয়ে যাওয়ায় ধুয়ে দিয়েছিলাম। এ জন্য পরে যেতে পারিনি। ম্যাডামকে অনেক অনুরোধ করে বলেও আমি রক্ষা পাইনি। ম্যাডাম আমাদের চুল কেটে দিল।

ভুক্তভোগীদের শিক্ষার্থীদের এক অভিভাবক মো. কহিনুর বলেন, ধর্মের বিষয়টি অন্তর থেকে করতে হয়। বাচ্চারা হিজাব না পরে ভুল করছে। এটি তাদের বুঝিয়ে বলতে পারতো। এটা না করে ৯টা বাচ্চার কারো ৪ আঙ্গুল,কারো ৬ আঙ্গুল করে চুল কেটে দিল। এটি অন্যায় করেছে। মেয়েরা খুব কান্নাকাটি করছে। স্কুলে আসতে চাচ্ছিল না। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ।

সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া মো. ফরিদ বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওই শিক্ষিক কাঁচি কোথায় পেলেন জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছেই ছিল।

আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি গোলাম মাহমুদ বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, তদন্ত কমিটি হয়েছে, জড়িত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমাদিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে ৯ জনের মধ্যে চার শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। হিজাব না পরায় চুল কাটার বিষয়টি জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ বিষয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাক,স্কুল কমিটির লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে স্কুলে বসেছিল। ধর্মীয় রীতিনীতিতে উৎসাহিত করতে ওই শিক্ষিক এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এমন একটি ঘটনা কাম্য নয়।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়