Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৫ ১৪৩২

মো. হাবিব (ডিমলা) নীলফামারী

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ৩ নভেম্বর ২০২৪
আপডেট: ১২:৪৯, ৩ নভেম্বর ২০২৪

যে কারণে ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

আলু বীজের দাম বেশি ও উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন কপি চাষে। ছবি- আই নিউজ

আলু বীজের দাম বেশি ও উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন কপি চাষে। ছবি- আই নিউজ

কপি চাষের উপযোগী জমি ও পরিবেশ এবং স্বল্প সময়ে লাভজনক আবাদ হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন ডিমলার কৃষকরা। কয়েক বছর ধরে উপজেলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামে হাতে গোনা কয়েকজন কৃষক ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করে আসছেন। 

গত বছরও তারা বিভিন্ন জাতের কপি চাষ করে দ্বিগুন লাভ পেয়েছেন। সে অনুযায়ী আগাম ব্রি-জাতের ধান কেটে কপি চাষ করেছেন এ বছরেও। কেউ জমিতে লাগিয়েছেন ফুলকপি আবার কেউ বাঁধা কপি। বর্তমানে প্রতি কেজি কপি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আলু বীজের দাম বেশি ও উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন কপি চাষে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা কপির পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পাড় করেছেন। অনেকে জমি চাষ করে রোপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার অনেকেই ইতিমধ্যে কপি রোপন করে ফেলেছেন। 

উপজেলার দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক লালন মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। পর্যায়ক্রমে ধান কাটার পর আরো কিছু জমিতে রোপন করবে। তিনি জানান, বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশ) জমিতে চার হাজার কপির চারা রোপন করতে হয়। চারা থেকে জমিতে রোপনের পর প্রতিটি চারায় তার খরচ হবে ১০ টাকা, সে হিসেবে বিঘা প্রতি খরচ হবে চল্লিশ হাজার টাকা। আবাহাওয়া ভালো থাকলে এবং সঠিক বাজার মুল্য যদি পাই তাহলে আমার এক বিঘা জমির কপি বিক্রি হবে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। 

একই গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর ইসলাম জানান, কপি চাষ লাভজনক হলেও শুরুতে দরকার হয় বড় অংকের টাকা, জৈব ও রাসায়নিক সার, পরিচর্যার জন্য দরকার হয় দক্ষ শ্রমিক তবে দক্ষ শ্রমিক কমে পাওয়া যায়। পাওয়া গেলেও মজুরী বেশি।

কৃষক সোহেল ইসলাম জানান, স্বল্প সময়ে কপির আবাদটি হওয়ায় কপি বিক্রি করে নগদ অর্থ পাওয়া যায়, কপি তুলে ঐ জমিতে আলু, বাদাম বা ভুট্টা রোপন করা যায়। কপি চাষিদের মতে কপি চাষ হচ্ছে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার মত। 
ঐ এলাকায় কপি চাষ করেছেন কৃষক আলী নেওয়াজ, কৃষক শাহিনুর, কৃষক দুলাল, কৃষক হবি সহ আরো অনেক কৃষক।

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা একটি অর্থনীতি ভিত্তিক কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানে কপি, ধান, ভুট্টা , আলু, মরিচ, পাট, গম, বাদাম সহ বিভিন্ন শাক সবজী আবাদে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে এখানকার কৃষি পণ্য।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আলী বান্না বলেন, বর্তমানে সবজীর চাহিদা ও বাজার মুল্য বেশি, স্বল্প সময়ে কপি জমি থেকে উৎপাদন করা যায় তাই কপি চাষে আগ্রহ হচ্ছেন অনেক কৃষক। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা যারা মাঠে আছেন কৃষি বিভাগ থেকে কপি চাষে কৃষকদের কপি চাষে উদ্যত ও পরামর্শ  প্রদান করা হচ্ছে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সারাবাংলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়