প্রবাস ডেস্ক
ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থী দেশের তালিকায় শীর্ষ ছয়ে বাংলাদেশ

ইউরোপীয় দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে ২০২১ সালে অন্তত ৬ লাখ ৪৮ হাজার ব্যক্তি আবেদন করেছেন, যা আগের বছরের চেয়ে ৩৩% বেশি। ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থী দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদশের অবস্থান ছয়ে। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জুন) সকালে ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয়প্রার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইইউএএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৩৮৫ পৃষ্ঠার আশ্রয়প্রার্থীবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১ লাখ ১৭ হাজার আশ্রয়প্রার্থীর আবদন নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে সিরিয়া। শীর্ষ ছয় দেশের তালিকায় সিরিয়ার পরের অবস্থানগুলোয় রয়েছে—আফগানিস্তান (১ লাখ ২ হাজার), ইরাক (৩০ হাজার), পাকিস্তান ও তুরস্ক (২৫ হাজার) এবং বাংলাদেশ (২০ হাজার ১১০)।
ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ষষ্ঠ।
ইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থী তথা আবেদনকারী ৬ লাখ ৪৮ হাজার জনের মধ্যে ৭০% পুরুষ। মোট আবেদনকারীদের মধ্যে অর্ধেকই ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী। ২৯% আবেদনকারী ১৯ বছরের কম বয়সী। দুই–তৃতীয়াংশ সঙ্গীহীন কিশোরের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
সঙ্গীহীন কিশোর–কিশোরীদের আবেদনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। গত বছর বাংলাদেশ থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৪০ জন। এ তালিকায় বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে শুধু আফগানিস্তান (১২ হাজার ৫৭৫) ও সিরিয়া (৩ হাজার ৮৬০)।
ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়া দেশগুলোর তালিকায়ও বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে ওপরের দিকেই। ১৫ হাজার ৯৩৫ জন প্রত্যাখ্যাত আবেদনকারী নিয়ে এ তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে পাঁচে। এছাড়া, সিরিয়া, পাকিস্তান, কলম্বিয়া, নাইজেরিয়ার প্রত্যাখ্যাত আবেদনকারীর সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ হাজার ৯৮৫, ২০ হাজার ৮৭৫, ২০ হাজার ৪৫০ ও ১৬ হাজার ৯১০ জন।
বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ ৩৫ হাজার আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজারই শরণার্থীর মর্যাদা পেয়েছেন। ৬৪ হাজার আবেদনকারীকে সম্পূরক সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন ফ্রান্স (১ লাখ ৯১ হাজার), স্পেন (৬৫ হাজার) ও ইতালিতে (৫৩ হাজার)।
২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরে ১১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর সময়ে ২০২০ সালে সংখ্যাটি ছিল ১১ হাজার ৫৭০ জন। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত চার বছরে আবেদনের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৫ হাজার, ১৮ হাজার ৮৬৫, ১৩ হাজার ৭৪০, ১৫ হাজার ৮৪৫ এবং ১১ হাজার ৫৭০ জন।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আবেদনকারীর হার মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের দিকে তা ছিল উঠতির দিকে। বিশেষ করে আফগানিস্তান ও সিরিয়ার মানুষের আবেদনের হার বেড়ে যাওয়ায় এই সংখ্যা আচমকা বৃদ্ধি পায়।
আইনিউজ/এসডি
- ডিভি লটারি আবেদনের নিয়ম
- ইউরোপ যাওয়ার আগে যা জানা প্রয়োজন
- লন্ডনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তথ্য ২০২৩
- গ্রিসে নিখোঁজের দেড় মাসেও খোঁজ মিলেনি হবিগঞ্জের ওয়াহিদ আলীর
- অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক ভিসা ২০২৪ আবেদন করবেন যেভাবে
- বিনা খরচে জার্মানি ওয়ার্ক ভিসা ২৬ হাজার কর্মী নিচ্ছে জার্মানি
- বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে: আমিরাতে তথ্যমন্ত্রী
- মৌলভীবাজারের জুনেদ পেলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সম্মাননা
- ভুয়া বিয়ের নিমন্ত্রণে কানাডায় যাওয়ার পথে আটক ৪২ বাংলাদেশি
- স্বচ্ছতা আনতে উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে ভাতা কার্ডের তালিকা তৈরি