Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

প্রবাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

লরিচাপায় পিষ্ট কার। ছবি- সংগৃহীত

লরিচাপায় পিষ্ট কার। ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয় বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর মারা গেছে। এরমাঝে সর্বশেষ আহত আনিসুর রহমান মিলন (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে আসার কথা ছিল মনের। তাকে এগিয়ে দিতে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথেই ওইদিন লরিচাপায় মারা এই প্রবাসী যোদ্ধারা।

নিহত মিলন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের রামানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বাহার মিয়ার ছেলে।

মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া। তিনি বলেন, আমি সাউথ আফ্রিকায় কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি। সব মরদেহ একসঙ্গে আনার চেষ্টা করছি আমরা।

নিহত প্রবাসী মিলনের ভাই রিমন মিয়াজী বলেন, আমার ভাই মিলন প্রায় ১৩ বছর ধরে আফ্রিকায় থাকেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি।

মিলনের বাবা বাহার মিয়া বলেন, ১৫ দিন আগে আমাদের এক আত্মীয়ের মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে বিয়ে হয়েছিল মিলনের। প্রায় ১৩ বছর পর ছুটি নিয়ে দেশে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো সে। নিহত অন্যরা সেদিন মিলনকে এগিয়ে দিতে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

গত শুক্রবার কেপটাউনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেদিন লরিচাপায় নিহত হন পাঁচ বাংলাদেশি। এর চারদিন পর মারা গেলেন মিলন।

নিহত অন্যরা হলেন— ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিরলী গ্রামের শরিয়ত উল্যাহর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫), দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর গ্রামের মিলনের নতুন বাড়ির আবদুল মান্নান মিলনের ছেলে দীন মোহাম্মদ রাজু (৩৩), একই উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর তমিজ উদ্দিন ভূঞা বাড়ির মৃত সিরাজ উল্যার ছেলে মোস্তফা কামাল পোপেল (৩৫) এবং সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুরের বাসিন্দা আবুল হোসেন (৪৫) ও নাজিম হোসেন (১০)। এদের মাঝে আবুল হোসেন ও নাজিম সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

আই নিউজ/এইচএ 


আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি দেখতে Watch on YouTube অপশনে ক্লিক করুন

শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত মানুষের মৃত্যু

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়