Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

আই নিউজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:২৫, ২২ জুলাই ২০২৩
আপডেট: ১১:৩২, ২২ জুলাই ২০২৩

যুক্তরাজ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ

যুক্তরাজ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনছে নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋসি সুনাক প্রশাসনের আরোপিত নতুন একটি আইন। যে আইনের ফলে এখন থেকে অবৈধভাবে কেউ যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে বা অভিবাসনের আবেদন করলে তাদেরকে কোনোভাবেই আশ্রয় দেবে না বৃটিশ প্রশাসন। 

গেল কয়েকবছর ধরেই অভিবাসন সমস্যার নাগাল টেনে ধরার চেষ্টা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। ইউরোপগামী অভিবাসীদের একটি বৃহৎ অংশ প্রতিবছর যুক্তরাজ্যে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেন। এবার যেন সেই সমস্যা সমাধানেরই উদ্যোগ জোরেশোরে হাতে নিয়ে বৃটিশ সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘোষণা দিয়েছিলেন, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর আইন করবেন তিনি।

সুনাকের সেই ঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার দেশটির সংসদে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয়। এরপর তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় রাজপ্রাসাদে। সেখানেও অনুমোদন পাওয়ার এখন এটি আইনে পরিণত হয়েছে।

যেকারণে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ 
ঋষি সুনাকের সরকার যে নয়া আইনটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ হিসেবে ধরার প্রধান কারণ- এখন থেকে দেশটিতে কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকা বা অন্য কোনো অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করলে— কোনোভাবেই আশ্রয় পাবেন না। 

তাছাড়া, অবৈধভাবে প্রবেশ করার পর যদি কেউ ধরা পড়েন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে তৃতীয় কোনো দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়া কেউ যদি একবার অবৈধ উপায়ে এসে ধরা পড়েন তাহলে তিনি আর কখনো যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।

আইনের মাধ্যমে অবৈধদের ধরা ও ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সরকারের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ফলে খুব ‘বিশেষ কোনো কারণ’ না থাকলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে সরকারি সংস্থাগুলো বাধ্য থাকবে।

এ আইনের মূল উদ্দেশ্য— ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা বন্ধ করা
বৃটিশ সরকারের নতুন এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো সাগর পথের ছোট নৌকাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা বন্ধ করা। যদিও আইনটির বিরোধীতা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তারা বলছে, এটি যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার অঙ্গীকারের পরিপন্থি।

অবশ্য যুক্তরাজ্য নতুন আইনটি করার ক্ষেত্রে কিছু যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। তারা জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০২২ সালেই ৪৫ হাজার আশ্রয় প্রত্যাশী যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে এবং দিন দিন এটি বেড়ে যাচ্ছে।

সরকার আরও জানিয়েছে, এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের থাকার জন্য তাদের প্রতি বছর প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এছাড়া এসব অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীরা নৌকাতে চড়ার জন্য অপরাধী চক্রকে অর্থ প্রদান করছে। যার মাধ্যমে চক্রগুলো আর্থিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে।

অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের চেষ্টা 
সংবাদ সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বৃটিশ প্রশাসন চাচ্ছে, অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় স্থানান্তর করতে। তবে এক্ষেত্রে আইনি বাধার মুখে পড়েছে তারা।

এদিকে বিতর্কিত নতুন আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেও এটি এখন থেকেই কার্যকর শুরু হবে না। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ধীরে ধীরে আইনটি প্রয়োগ করা শুরু হবে। কারণ এটি এখনই কার্যকর করার মতো প্রস্তুতি বা সক্ষমতা সরকারের নেই।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়