Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ২৫ আগস্ট ২০২৩

এ বছর মাল্টায় পৌঁছানো শরণার্থীদের ৬৫ শতাংশই বাংলাদেশি

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য মতে, চলতি বছর ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টায় অন্তত ২৩১ জন অভিবাসন প্রত্যাশী পৌঁছেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই রয়েছেন ১৪৯ জন। 

এ বিষয়ে আজ শুক্রবার টাইমস অব মাল্টার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর মাল্টায় ৭৫ জন শরণার্থী গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। আর ২০২১ সালে ৪৫৮ জন এবং ২০২০ সালে ২ হাজার ৪৫ সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এসব শরণার্থীর ৮৪ শতাংশই লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগরে যাত্রা শুরু করেছিলেন। বাকিরা তিউনিসিয়া থেকে। 

হিসেব করে দেখা গেছে, চলতি বছর মাল্টায় পা রাখা শরণার্থীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই বাংলাদেশি (১৪৯ জন)। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে সিরিয়ান ছিল ২১ জন, গিনি থেকে গেছেন ১৯ জন, ক্যামেরুন থেকে গেছেন ১৭ জন, মিসরিয় ১৩ জন, সুদান থেকে পাঁচজন এবং ফিলিস্তিন ও দক্ষিণ সুদান থেকে গেছেন তিনজন করে। এ ছাড়া মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার কারণে নিবন্ধন বইয়ে একজন কোনো তথ্যই দিতে পারেননি। 

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যমতে, গত বছরও মাল্টায় যাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশিরাই ছিলেন সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৫১ শতাংশ। অন্যদের মধ্যে সিরিয়ান ছিল ২৮ শতাংশ এবং মিসরীয় ছিল ৮ শতাংশ। 

চলতি বছর যারা মাল্টায় যাওয়া ২৩১ জনের মধ্যে ১৯৫ জনই প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ। এ ছাড়া বাকিদের মধ্যে ১৬ জন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী এবং ২০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু। শিশুদের মধ্যে দুজন প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গী হিসেবে আছে। 

গত ৩ জুলাই এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল, মাল্টায় যেসব শরণার্থী বর্তমানে অবস্থান করছেন তাঁদের মধ্যে ২২৭ জন একটি খোলা অভ্যর্থনা কেন্দ্রে বসবাস করছিলেন। এ ছাড়া আরও অন্তত ২১০ জন কমিউনিটি আকারে বাস করছেন। খোলা অভ্যর্থনা কেন্দ্র যারা বসবাস করছিলেন তাঁদের ৬৯ শতাংশই (১৫৬ জন) পুরুষ এবং এই কেন্দ্রের ৯২ শতাংশই হাল ফার ট্যান্ট ভিলেজে অস্থায়ীভাবে বাস করছিলেন। 

আরেকটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে ২৮২ জন শরণার্থীদের দেশটিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছে। মূলত বাংলাদেশ, সুদান এবং সিরিয়া থেকে যাওয়া মানুষেরাই আশ্রয় গ্রহণের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন।

আইনিউজ/ইউএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়