Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

আই নিউজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

টোকিওতে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপিত

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা পর্বে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিভ্রান্ত, পথভ্রষ্ট মানবজাতির জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে পৃথিবীতে এসেছেন। তিনি ছিলেন ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বাসী। রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ আরব সমাজের অনাচার-অত্যাচার দূর করতে মহানবী (সাঃ) প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘হিলফুল ফুযুল’ এর উল্লেখ করে বলেন, জাহেলিয়াতের মতো না হলেও এখনও সমাজে অন্যায়, অবিচার ও মানুষে-মানুষে বৈষম্য বিদ্যমান। তাই ‘হিলফুল ফুযুল’ বাংলাদেশসহ বিশ্বের যুব সমাজের জন্য একটি আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

রাষ্ট্রদূত বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জাতিতে-জাতিতে, ধর্ম-গোত্রের মধ্যে সংঘাত বন্ধে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মুসলমান আর কুরাইশদের মাঝে ‘হুদাইবিয়ার সন্ধি’র ঘটনা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হুদাইবিয়ার সন্ধি’র অনুসরণে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্বের চলমান যুদ্ধবিগ্রহসহ জাতিতে জাতিতে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে বিদায় হজ্বের ভাষণে তিনি বলেছিলেন, আরবের জন্য অনারবের উপর, অনারবের জন্য আরবের উপর, লালের জন্য কালোর উপর এবং কালোর জন্য লালের উপর কোনরূপ প্রাধান্য নেই আল্লাহভীরুতা ব্যতীত। তিনি বিদায় হজ্বের ভাষণকে মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারী উল্লেখ করে বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এর চেয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আর হতে পারে না।  

তিনি মহানবীর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন এবং নবীর আদর্শে জীবন গড়ার ও কাজ করার প্রত্যয় ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

পরে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে দুরুদ পাঠ এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে নবীজী ও তাঁর পরিবারসহ, সকল নবী-রাসুল এবং সমগ্র বিশ্বের মুসলমান যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের জন্য দোয়া করা হয়। 

এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহিদদের মাগফিরাতের কামনা করা হয়। 

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়