আই নিউজ প্রতিবেদক
আপডেট: ১০:৫১, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
প্রবাসী রেমিট্যান্সে ৫℅ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত!
ছবি- GETTY IMAGES
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করতে ৫% রেমিট্যান্ড প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হুন্ডিতে না পাঠিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রতি ডলারে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন। এতে করে এক লক্ষ টাকা পাঠালে প্রবাসীদেরকে ব্যাংক দেবে ৫ হাজার টাকা বোনাস।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ডলার প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনা দিয়ে রেমিটেন্স আনতে ডলারের নতুন এই দর নির্ধারণ করেছে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। যদিও এই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা নিয়ে এরিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডিতে বেশি দামে প্রবাসীরা ডলার পাঠাতেন। সেখানে এক ডলারে ১১৫ টাকা পর্যন্ত পেতেন প্রবাসীরা। অন্যদিকে ব্যাংকে এক ডলারের ওপর আড়াই শতাংশ রেমিট্যান্স প্রণোদনা ধরে পাওয়া যেত ১১৩ টাকা ২৬ পয়সার কিছু বেশি। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় এখন থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলেই রেমিট্যান্সের এক ডলারে মিলবে ১১৬ টাকার কিছু বেশি। এর ফলে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হবে।
বাংলাদেশে আগে থেকেই রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিটি পরিবার প্রবাস থেকে প্রেরণ করা অর্থের ওপর সরকারের কাছ থেকে আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা পেয়ে আসছে। এখন তার সঙ্গে এই বাড়তি প্রণোদনা যুক্ত হবে।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, চলতি মাস অক্টোবরেও আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসছে না। অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে এসেছে ৭৮ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮ হাজার ৫৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে ১৮৬ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসবে।
অন্যদিকে সংকটে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিনিয়ত কমছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ প্রায় ১১ কোটি ডলার কমে ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
রেমিট্যান্স প্রণোদনা নিয়ে কী বলছেন বিশিষ্টজনেরা?
অর্থনীতিবিদদের মতে, আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স দেশে আনার জন্য এই ধরণের পদক্ষেপ এক ধরণের ‘জোড়াতালি সমাধান’ এবং এই ধরণের উদ্যোগ নিয়ে রেমিট্যান্সের হার কিছুটা বাড়ানো সম্ভব হলেও সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হবে না।
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন মনে করেন, বৈধ চ্যানেলে আসা ডলার ও হুন্ডির মাধ্যমে আসা ডলারের বিনিময় হারে বড় ধরণের পার্থক্য থাকার ফলে এই উদ্যোগ প্রবাসীদের মধ্যে খুব একটা উৎসাহ তৈরি করবে না।
তিনি বলেন, “ব্যাংক যদি আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়, তার পরেও ডলারের দাম হবে প্রায় ১১৬ টাকা। আর অপ্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলে এখনই ডলারের দাম ১১৯ থেকে ১২০ টাকার মত। তাহলে কেন মানুষ ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাবে?”
ব্যাংকগুলো তাদের সিএসআর ফান্ড বা সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে অর্থায়নের মাধ্যমে প্রবাসী আয় কেনার জন্য প্রণোদনা দেয়ার কথা বলেছে।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের মতে, ব্যাংকগুলো তাদের সিএসআর ফান্ডের পুরো অর্থ ব্যয় করলেও রেমিট্যান্স প্রবাহে খুব বেশি হেরফের হবে না।
সমস্যার সমাধান কীভাবে?
দেশের অনেক অর্থনীতিবিদরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা এ ব্যাপারে সরকারে অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন। ডলারের দাম নির্ধারণ না করে দিয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়াই এই সমস্যার সমাধান বলে মনে করেন অর্থ বিশেষজ্ঞরা।
ডলারের অভিন্ন বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করার জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের বিনিময় হার বেধে দিতে শুরু করেছে বাফেদা এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ।
আই নিউজ/এইচএ
- ডিভি লটারি আবেদনের নিয়ম
- ইউরোপ যাওয়ার আগে যা জানা প্রয়োজন
- লন্ডনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তথ্য ২০২৩
- গ্রিসে নিখোঁজের দেড় মাসেও খোঁজ মিলেনি হবিগঞ্জের ওয়াহিদ আলীর
- অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক ভিসা ২০২৪ আবেদন করবেন যেভাবে
- মৌলভীবাজারের জুনেদ পেলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সম্মাননা
- বিনা খরচে জার্মানি ওয়ার্ক ভিসা ২৬ হাজার কর্মী নিচ্ছে জার্মানি
- বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে: আমিরাতে তথ্যমন্ত্রী
- ভুয়া বিয়ের নিমন্ত্রণে কানাডায় যাওয়ার পথে আটক ৪২ বাংলাদেশি
- স্বচ্ছতা আনতে উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে ভাতা কার্ডের তালিকা তৈরি