আই নিউজ প্রতিবেদক
অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসা নতুন নিয়ম সম্পর্কে কিছু তথ্য
অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসা নতুন নিয়ম সম্পর্কে কিছু তথ্য
ইউরোপের দেশ অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দিতে অনেকেই ভিসিট ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। অনেকে আবেদন করবেন ভাবছেন। আবার কেউ কেউ এখনো এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন। তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসা সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য জানাব। যা আপনার উপকারে আসতে পারে।
শুরুতেই বলে রাখি অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসার ক্ষেত্রে কিছু নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যদি কেউ না জেনে থাকেন তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যেতে পারে। এমনকি ভিসা নাও পেতে পারেন। তাই, কেন কী কারণে আপনাদের ভিসা বাতিল হতে পারে সেটাই জানাব এই প্রতিবেদনে।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসার চাহিদা ব্যাপক। অনেকেই কানাডা, লন্ডন, আমেরিকাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভিসা না পেয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ামুখী হচ্ছেন। ফলে অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসা এখন আবারও আলোচনায়। অনেক বাংলাদেশিও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় সেটেলড হতে চাইছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ভিসার জন্য আবেদনও পড়ছে অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
তবে, অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসার জন্য যারা আবেদন করছেন তাদেরকে কিছু ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কেননা, এসব কারণে আপনার ভিসাটি বাতিল হতে পারে।
বর্তমানে ভিসিট ভিসার জন্য আবেদন করার পর ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশন থেকে ভিসার আবেদনকারীকে কল করা হতে পারে। এই সময় সাধারণত ভিসিট ভিসি পাওয়ার সময় আপনি যে ধরনের কাগজপত্র জমা দেন সেই কাগজপত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন করতে পারে তারা। কেননা, অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশন ভিসিট ভিসা নিয়ে আপনার অস্ট্রেলিয়া যাত্রার কারণ বুঝতে চাইবে। এক্ষেত্রে, আপনার জমাকৃত কাগজপত্রের তথ্য এবং আপনার সাথে কলে যোগাযোগ করে পাওয়া তথ্যের মিল না থাকলে ভিসা বাতিল হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া ভিসিট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারভিউতেও অংশ নিতে হতে পারে ভিসার আবেদনকারীকে। ইন্টারভিউতেও জমাকৃত কাগজপত্র সম্পর্কিত নানা প্রশ্ন আসতে পারে। এর উত্তরে একটু হেরফের পাওয়া গেলে ভিসা বাতিল হতে পারে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর টাকা পয়সা সম্পর্কিত তথ্য, ব্যাংক একাউন্টের তথ্য ইত্যাদি খুব ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তাই আবেদনের সময় এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকলে ভিসা পেতে সহজ হয়।
অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে আরও যে একটি ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে ট্যাক্স সংক্রান্ত নথিপত্রের স্বচ্ছতা। কেননা, ইউরোপের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিসার ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনকারীর ট্যাক্সের নথিপত্র খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। আবেদনকারীর যদি ট্যাক্স সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকে তাহলে অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসা না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আবেদনকারীর বিগত তিন-চার বছরের ট্যাক্স রিটার্ন ইত্যাদির মতো কাগজ তারা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তাই ট্যাক্সের নথিপত্র সঠিকভাবে উত্থাপন করতে হবে।
এতক্ষণ অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে যে যে বিষয়ে খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে তা অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন নতুন নিয়ম করে চালু করেছে। ফলে, আশা করি যা এরিমধ্যে এসব বিষয়ে জানতেন না। তাদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসিট ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে এ তথ্যগুলো কাজে আসবে।
আই নিউজ/এইচএ
- ডিভি লটারি আবেদনের নিয়ম
- ইউরোপ যাওয়ার আগে যা জানা প্রয়োজন
- লন্ডনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তথ্য ২০২৩
- গ্রিসে নিখোঁজের দেড় মাসেও খোঁজ মিলেনি হবিগঞ্জের ওয়াহিদ আলীর
- অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক ভিসা ২০২৪ আবেদন করবেন যেভাবে
- বিনা খরচে জার্মানি ওয়ার্ক ভিসা ২৬ হাজার কর্মী নিচ্ছে জার্মানি
- বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে: আমিরাতে তথ্যমন্ত্রী
- মৌলভীবাজারের জুনেদ পেলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সম্মাননা
- ভুয়া বিয়ের নিমন্ত্রণে কানাডায় যাওয়ার পথে আটক ৪২ বাংলাদেশি
- স্বচ্ছতা আনতে উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে ভাতা কার্ডের তালিকা তৈরি