আইনিউজ ডেস্ক
আপডেট: ১২:১৩, ৩০ মে ২০২১
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিলো আইনস্টাইনকে
আইনস্টাইনকে নিয়ে কতো মজার মজার উক্তি পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে। প্রায় সবাই পছন্দ করতেন এই হাসিখুশি নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীকে। তবে এই বিজ্ঞানী একটুর জন্য চলে আসছিলেন দেশ শাসনে, প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছিলেন তিনি। ভূমিকায় না থেকে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক এবার।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। এই প্রস্তাব তিনি না ফেরালে ইতিহাসে লেখা থাকত নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর জীবনের এক অন্য অধ্যায়।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হয় ইজরায়েলে। স্বাধীনতার পর প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন চেম ওয়েজমান। ইজরায়েলের জিওনিস্ট দলের সক্রিয় কর্মী হলেও, পেশাগত দিক থেকে একজন বায়োকেমিস্ট ছিলেন ওয়েজমান। বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ থাকার কারণেই আইনস্টাইনের অন্যতম অনুরাগী ছিলেন তিনি।
পাশাপাশি ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে আইনস্টাইনের অবস্থান এবং আইনস্টাইন নিজেও ইহুদি হওয়ার কারণে তাঁর বাড়তি শ্রদ্ধা ছিলই। ১৯৪৯ সালে একটি বক্তৃতায় ওয়েজমান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ইহুদি ব্যক্তিত্ব হিসাবে উল্লেখ করেন আইনস্টাইনকে। যা রীতিমতো সাড়াও ফেলে দিয়েছিল ইজরায়েলে।
১৯৫২ সালে ৯ নভেম্বর। ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনই মারা যান চেম ওয়েজমান। এর সপ্তাহ খানেক পরে ১৭ নভেম্বর আইনস্টাইনের কাছে এসে পৌঁছায় একটি চিঠি ইজরায়েলের দূতাবাস থেকে। সেই চিঠি মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতির দায়ভার গ্রহণের অনুরোধপত্র।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, দেশের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন এই প্রস্তাবটি দিয়েছেন। আইনস্টাইন যদি ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট হন, তাহলেও তার বিজ্ঞান সাধনায় কোনও অন্তরায় তৈরি হবে না। এবং তাঁর গবেষণার সমস্ত দায়ভারও ইজরায়েলই নেবে। তবে শর্ত একটাই। এজন্য আইনস্টাইনকে ইজরায়েলে এসে থাকতে হবে। এবং এদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হবে।
তবে শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন আইনস্টাইন। বিশ্বের অন্যতম ‘জিনিয়াস’-এর প্রত্যুত্তর ছিল, রাষ্ট্রপতি হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই তাঁর। সবিনয়েই তিনি জানান তাঁর বার্ধক্য, অনভিজ্ঞতা, এবং অপর্যাপ্ত দক্ষতা ইজরায়েলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বদলে কাঁটা হবে দাঁড়াবে উন্নয়নের। পাশাপাশি রাজনীতির থেকে সমীকরণেই যে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তাও জানান আইনস্টাইন।
ইসরায়েলের মানুষের তার প্রতি সম্মান একটুও কমেনি। সেদেশে রাস্তা তৈরি হয়েছে তার নামে। রয়েছে মোট চারটি স্মৃতিসৌধ। এমনকী, ১৯৬৮ সালে ইজরায়েলের নোটেও ছাপা হয়েছিল ভুবনজয়ী এ বিজ্ঞানীর নাম। শ্রেষ্ঠ ইহুদির যে সম্মান তাকে দিয়েছিলেন সেদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, সেই শিরোপাই তাকে যুগ যুগ ধরে পরিয়ে এসেছে ইজরায়েল।
আইনিউজ/এসডি
- জার্মানিতে গাঁজা খাওয়ার চাকরি, বেতন ৮৮ লক্ষ টাকা!
- কিভাবে আসলো চায়ে দুধ মিশিয়ে ‘দুধ-চা’ বানানোর আইডিয়া?
- পাকিস্তান পুলিশের শীর্ষপদে প্রথম হিন্দু নারী মনীষা
- চিড়িয়াখানায় সিংহের থাবায় প্রাণ গেলো যুবকের
- সাপের দংশন ও চিকিৎসা
- বাস্তবে কি জলপরী আছে?
- বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ইতিহাস
- ওড়িশা (ODISHA)ভারতের অন্যতম রাজ্য
- বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি বঙ্গোপসাগরেই কেন?
- বিভিন্ন দেশের সূর্যগ্রহণ দেখুন ছবিতে