সীমান্ত দাস
আপডেট: ২০:৪৭, ৪ জুন ২০২১
কিভাবে আসলো চায়ে দুধ মিশিয়ে ‘দুধ-চা’ বানানোর আইডিয়া?
`ভাই চা এক কাপ না আধকাপ?` -`আরেহ ভাই গ্লাস ভরে নিয়ে আসো।` (ছবি: অনলাইন)
এক কাপ চা ছাড়া একটা দিনও কল্পনা করতে পারেন? না পারার কথাও না। বাঙালির সমগ্র জীবনজুড়ে রয়েছে চায়ের আধিপত্য। মাথা গরম হলে চা, রিলাক্স হলেও চা, কাজ বেশি হলে চা, কাজের ফাঁকে এক মূহুর্ত বিরতিতেও চা। দুইজন একসাথে কথা বলছি তখনও হাতে চায়ের কাপ, একা একা বসে আছি কিন্তু তখনও সাথে চা। একেবারে চা আমাদের জীবনে ঢুকে গেছে, ছায়ার মতো লেগে আছে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য পরিমানে চা-খোরদের উপস্থিতি, তারা চায়ের ফটোগ্রাফি করে, চা নিয়ে কবিতা লেখে- গান বানায়। চা জগে-মগে-বালতিতে করেও পান করতে চায়। হ্যাঁ ভাই, হাস্যকর লাগলেও চা খাদকদের কিছু গ্রুপ-পেইজে এমনই দেখা যাচ্ছে। 'একেবারে আদিখ্যেতা' বলে নাক সিটকানোর আগে আপনার জানা উচিত, এতে রয়েছে চায়ের প্রতি ভালোবাসাও। আসলেই তারা চা ভালোবাসে, একা, বন্ধুদের সাথে, অফিসে, পার্কে সবজায়গায়ই বাঙালিরা চা চায়।
তবে অনেকের পছন্দ কড়া করে চা, অনেকেই ভালোবাসেন দুধ চা। এর মধ্যে আরেক গ্রুপও আছেন, তারা চিনি খান না। তবে চায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভিন্নতা এনেছে দুধ চা। চায়ে দুধের পরিমান বাড়িয়ে কমিয়ে তৈরি করা হয় হরেক রকমের চা। এগুলোর মধ্যে সারাদেশে জনপ্রিয় 'মালাই চা' এর নাম উল্লেখযোগ্য। তবে আপনি জানেন কি কিভাবে আসলো দুধ চা?
দুধ চায়ের ইতিহাস
ভারতে প্রচুর পরিমাণে জন্মানো চায়ের উদ্ভিদটি ছিল ক্যামেলিয়া সিনেনসিস অসমিকা নামে একটি উপ-প্রজাতির উদ্ভিদ। গ্রিন টি'র চেয়ে আসাম টি বেশি স্বাদযুক্ত কালো রং-এর ছিল ।
সাধারণভাবে প্রাথমিক ইংলিশ ব্রেকফাস্টের অন্তর্ভুক্ত আসাম চা-এর রং কড়া ছিলো। তো ইংরেজ বিলাশবহুল সাহেবদের আবার কড়া কোনওকিছুই পছন্দ ছিলো না, সে চায়ের রঙই হোক বা কালো মানুষই হোক। তো সাহেবরা করলেন কি, ব্রেকফাস্টে পাওয়া আসাম চা দুধ সহকারে পান করা শুরু করলেন। তাতে চায়ের রঙও কিছু 'সাহেব সাহেব' ভাব এ এসে যায়। আর এই আবিষ্কারে খোদ সাহেবরা বেজায় খুশি।
বর্তমানে ব্রিটেনে সাধারণ ইংলিশ ব্রেকফাস্ট বা প্রাত:রাশের সাথে দেয়া চা দুধ সহকারে পান করা হয়। কিন্তু ইউরোপ মহাদেশের অন্যান্য স্থানে চায়ের সাথে দুধ খুব কমই পরিবেশন করা হয়।
তার কারণ মূলত, ইন্দোনেশিয়ার জাভা থেকে নেদারল্যান্ডসে চা যেতো - যা ছিল অনেক হালকা এবং তার সাথে দুধ যোগ করার প্রয়োজন হতো না-আর সে বিষয়টি ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানিতে এই চা জনপ্রিয় করে তুলেছিল।
আর এভাবেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে দুধ চা।
আইনিউজ/এসডি
- জার্মানিতে গাঁজা খাওয়ার চাকরি, বেতন ৮৮ লক্ষ টাকা!
- কিভাবে আসলো চায়ে দুধ মিশিয়ে ‘দুধ-চা’ বানানোর আইডিয়া?
- পাকিস্তান পুলিশের শীর্ষপদে প্রথম হিন্দু নারী মনীষা
- চিড়িয়াখানায় সিংহের থাবায় প্রাণ গেলো যুবকের
- সাপের দংশন ও চিকিৎসা
- বাস্তবে কি জলপরী আছে?
- বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ইতিহাস
- ওড়িশা (ODISHA)ভারতের অন্যতম রাজ্য
- বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি বঙ্গোপসাগরেই কেন?
- বিভিন্ন দেশের সূর্যগ্রহণ দেখুন ছবিতে