মো. রওশান উজ্জামান রনি
আপডেট: ১৮:২২, ৯ অক্টোবর ২০২৪
ওড়িশা (ODISHA)ভারতের অন্যতম রাজ্য
ওড়িশা (ODISHA) | ছবি লিখক
ওড়িশা অতি আশ্চর্যময় স্থাপত্য প্রাণবন্ত শিল্প,সঙ্গীত, নৃত্য এবং বৈচিত্র্যময়, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ভারতের এক অন্যতম উজ্জ্বল রাজ্য। যেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর। যেখানে অবস্থান করছে বিশ্বের বৃহত্তম লোনা জলের চিললা হ্রদ। আমরা কথা বলছি, ভারতের প্রাচীনতম শহর এবং প্রাচীনতম স্থাপত্য শৈলীর ভূমি উড়িষ্যা রাজ্য সম্পর্কে।
যেখানে জন্মগ্রহণ করেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেয় মহান ব্যক্তিবর্গ। ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ভারতের অন্যতম সেরা গোপনীয়তার স্থান ওড়িশা রাজ্য সম্পর্কে। ভারতের পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত ভারতের একটি অন্যতম রাজ্য হল ওড়িশা। অবস্থানগত দিক থেকে রাজ্যটির উত্তর সীমান্তে রয়েছে ঝাড়খণ্ড রাজ্য, দক্ষিণে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য, উত্তর পূর্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্বে রয়েছে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম সীমান্তে রয়েছে ছত্তিশগড় রাজ্য।
আয়তনের দিক থেকে ভারতের নবম বৃহত্তম রাজ্য ওড়িশার মোট আয়তন ১৫৫৭০৭ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে মোট প্রায় ৪,৮০,০০,০০০ মানুষের বসবাসকারী উড়িষ্যা জনসংখ্যার বিচারে ভারতের ১১ তম জনবহুল রাজ্য। জনঘনত্ব অর্থাৎ প্রতি বর্গকিলোমিটারে উড়িষ্যা রাজ্যে ২৭০ জন মানুষ বসবাস করে। প্রতি ১০০০ জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা নয়শ ৯৭৯ জন। উড়িষ্যা রাজ্যের রাজধানী হল ভুবনেশ্বর। তিনটি বিভাগের অন্তর্গত উড়িষ্যা রাজ্যটিতে অঙ্গুল, কটক, বালাসোর, পুরী, কালাহান্দি ইত্যাদি মোট ৩০ টি প্রশাসনিক জেলা রয়েছে। রাজ্যের রাজধানীর পাশাপাশি গগনেশ্বর শহরটি হল উড়িষ্যার বৃহত্তম শহর। এছাড়াও অন্যান্য প্রধান শহরগুলি হল কটক, রৌরকেলা, ব্রহ্মপুর, পুরি, সম্বলপুর ইত্যাদি।
ওড়িশা রাজ্যটির নামকরণে উরিষ্যা নামের উৎপত্তি প্রাকৃত শব্দ ও উদ্র বিভাস বা উদ্র দেশ থেকে হয়েছে বলে মনে করা হয়। প্রাচীনকালে উরিষ্যা রাজ্যটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। যেমন কলিঙ্গ, উৎকল বা উদ্র দেশ। আসলে উড়িষ্যার ইতিহাস ২০০০ বছরেরও বেশি পুরনো। মহাভারত, বায়ু, পুরাণ এবং মহা গোবিন্দ সূত্রের মত প্রাচীন গ্রন্থেও প্রাচীন উড়িষ্যা অর্থাৎ কলিঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায়। উড়িষ্যা সম্রাট খারভেলা থেকে সমুদ্রগুপ্ত এবং সোমবংশীয় রাজবংশের রাজাদের মতো রাজাদের দ্বারা পরিবর্তন করতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৫৬৮ খ্রিষ্টাব্দে উড়িষ্যা মুঘলদের শাসনে স্থানান্তরিত হয় এবং পরবর্তীকালে উড়িষ্যা মুঘল ও মারাঠাদের অধীনে আসে। অবশেষে আঠারোশো তিন খ্রিষ্টাব্দে উড়িষ্যা ব্রিটিশদের অধীনস্থ হয় এবং সে সময় উড়িষ্যা বৃহত্তর বাংলার একটি অংশ হিসাবে গঠিত হয়। এরপর বৃহত্তর বাংলা থেকে বিভক্ত হয়ে বিহার ও উড়িশা একসঙ্গে বিহার উড়িশা প্রদেশ তৈরি করে। অবশেষে ১লা এপ্রিল ১৯৩৬ সালে ওড়িশা একটি পৃথক প্রদেশে পরিণত হয় এবং রাজধানী হয় কটক। এরপর ভারত স্বাধীনতার পর ভুবনেশ্বর শহরটি ওড়িশার রাজধানী হিসাবে গঠিত হয়। ১৯৪৯ সালে উড়িশা রাজ্যটি তার বর্তমান রূপ লাভ করে। নামকরণের দিক থেকে ২০১১ সালে সরকারিভাবে ওড়িশা রাজ্যের নাম উরিষ্যা থেকে ওড়িশাতে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে ওড়িশা রাজ্য জুড়ে প্রতি বছর পয়লা এপ্রিল দিনটি ওড়িশা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ভুপ্রাকৃতিক নানান বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ ওড়িশা রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। রাজ্যের পূর্বে ৪৫০ কিলোমিটার উপকূলরেখা জুড়ে অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগর। ভূতাত্ত্বিকভাবে উড়িষ্যা রাজ্যটিতে রয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম শিলাগুলির একটি। কেন্দুঝার জেলার চম্পুয়াতে পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম শিলার অবস্থান পাওয়া গিয়েছে। যার বয়স চারশ ৪২৪ কোটি বছর। এক জাতীয়তা ধারাবাহিকতা এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ওড়িশাকে পাঁচটি প্রধান রূপগত অঞ্চলে বিভক্ত করা যায়। যথা উৎকল সমভূমি বা পূর্বের উপকূলীয় সমভূমি, কেন্দ্রীয় মালভূমি, কেন্দ্রীয় পার্বত্য ও উচ্চভূমি অঞ্চল, পশ্চিমের ঘূর্ণায়মান উচ্চভূমি এবং প্রধান বন্যা সমভূমি। ওড়িশার প্রায় তিন চতুর্থাংশ ভূমি পর্বতমালায় আচ্ছাদিত এবং নদী দ্বারা তাদের মধ্যে গভীর ও প্রশস্ত উপত্যকা তৈরি হয়েছে। কোরাপুট জেলায় অবস্থিত ১৬৭২ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট দেওমালি হল ওড়িশার সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ।
ওড়িশার পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্ট জলপ্রপাতগুলো দেশের অন্যতম সুন্দর জলপ্রপাত। ময়ূরভঞ্জ জেলায় অবস্থিত বরহিপানি জলপ্রপাত ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জলপ্রপাত। এছাড়াও জোরান্ডা জলপ্রপাত, বড় ঘাঘরা জলপ্রপাত, খণ্ডধর জলপ্রপাত ইত্যাদি ওড়িশা রাজ্যের অন্যতম সুন্দর জলপ্রপাত। ওড়িশার উপকূলীয় সমতলের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত চিলকা হ্রদটি হল বিশ্বের বৃহত্তম লোনা জলের লেকুন। এছাড়াও কটকের কাছে অবস্থিত অংশুপা হ্রদটি ওড়িশার বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ। ওড়িশার রাজ্যটি ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ নদী দ্বারা নিষ্কাশিত হয়েছে, যেমন সুবর্ণরেখা, বুধবার ভাঙ্গা, বৈতরণী, ব্রাহ্মণী, মহানদীর এবং রসিকুলা নদী। এদের মধ্যে মহানদী হল উড়িষ্যার বৃহত্তম নদী।
বৈচিত্র্যময় নানান উদ্ভিদ এবং বন্যপ্রাণীর প্রাচুর্যে ভরা ওড়িশার প্রায় এক তৃতীয়াংশ এলাকা বনভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত, যা রাজ্যের মোট ভূমির প্রায় ৩৭.৩৪%। শাল, সেগুন, বাঁশ ইত্যাদি উদ্ভিদগুলি উড়িশায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। উড়িশা রাজ্যটিতে অসংখ্য বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যান রয়েছে। তাদের মধ্যে সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান এবং ভিতরকণিকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হল ওড়িশার অন্যতম জীব বৈচিত্র সমৃদ্ধ অঞ্চল। বেঙ্গল টাইগার, চিতল হরিণ, ভারতীয় হাতি, ভারতীয় বানর, কুমির ইত্যাদি ওড়িশার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী।
ওড়িশা রাজ্যের জলবায়ু গ্রীষ্মমন্ডলীয় মৌসুমী জলবায়ুর অন্তর্গত। উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থান করায় ওড়িশার আবহাওয়া বঙ্গোপসাগর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। এ রাজ্যের জলবায়ুতে তিনটি প্রধান ঋতু রয়েছে, যথা গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শীত। রাজ্য জুড়ে গ্রীষ্মকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতকালীন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হয়ে থাকে। রাজ্যে গর বৃষ্টিপাত হয় ১৫শ মিমি, যা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর দ্বারা সংঘটিত হয়। তাছাড়া ওড়িশা রাজ্যটিকে প্রতিনিয়ত বঙ্গোপসাগর থেকে উৎপন্ন নানান বিধ্বংসী ঝড়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। যার ফলস্বরূপ ওড়িশার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ওড়িশা রাজ্যের অর্থনীতি ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি। এ রাজ্যের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিভিত্তিক। তবে বর্তমানে রাজ্যটি শিল্প এবং পরিষেবা ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে রূপান্তরিত হচ্ছে। এ ছাড়াও খনিজ ও ধাতু ভিত্তিক শিল্পের ক্ষেত্রেও ওড়িশা মূল রাজ্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ওড়িশার অর্থনীতিতে কৃষি অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া ওড়িশার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই কৃষিকাজে নিয়োজিত। তবে এখানকার বেশিরভাগ জমি অনুর্বর বা একাধিক বার্ষিক ফসলের জন্য অনুপযুক্ত। রাজ্যের মোট এলাকার প্রায় পঁয়তাল্লিশ শতাংশ রয়েছে কৃষিজমি। এর মধ্যে প্রায় ৮০% কৃষি জমিতে ধান চাষ হয়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফসল হিসাবে এই রাজ্যে তৈলবীজ,ডাল,পাট, আখ, নারকেল ইত্যাদির চাষ করা হয়।
জাতিগত ভাবে ওড়িশা রাজ্যটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন জনজাতির পাশাপাশি নানান উপজাতি এবং আদিবাসী ও রয়েছে। তবে ওড়িশা রাজ্যে বসবাসকারী মানুষেরা উড়িয়ে নামে অধিক পরিচিত। ওড়িয়া ভাষা হল ওড়িশা রাজ্যের সরকারি ভাষা। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮২% মানুষ ওড়িয়া ভাষায় কথা বলেন। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য প্রধান কথ্য ভাষাগুলি হল কুই, সাঁওতালি, উর্দু, হিন্দি, বাংলা ইত্যাদি। ধর্মগত দিক থেকে হিন্দু ধর্ম হল এই রাজ্যের প্রধান ধর্ম। মোট জনসংখ্যার ৯৩.৬৩% মানুষ হিন্দু ধর্ম পালন করেন। এছাড়াও ২.৭৭% মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম, ২.১৭% মানুষ ইসলাম ধর্ম এবং বাকি মানুষেরা শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও অন্যান্য ধর্ম পালন করেন। শিক্ষাগত দিক থেকে ওড়িশা রাজ্যের মোট সাক্ষরতার হার ৭২.৮৭%। ওড়িশাকে বলা যেতে পারে বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দেশ। ওড়িশা রাজ্যটিতে একটি সমৃদ্ধ শৈল্পিক ঐতিহ্য রয়েছে এবং এটি ভারতীয় শিল্প ও স্থাপত্যের কিছু সেরা উদাহরণ তৈরি করে। পাথর খোদাই, কাঠ খোদাই, ম্যুরাল পেন্টিং, ভট্ট চিত্র এবং তালপাতায় বিভিন্ন চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে আজও এ রাজ্যের শৈলপিক ঐতিহ্য অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও ওড়িশা তার সূক্ষ্ম হস্তশিল্পের জন্য বিশেষ পরিচিত। ওড়িশার প্রাচীনতম ভুবনেশ্বরের পরশুরামেশ্বর মন্দির, লিঙ্গরাজ মন্দির, পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং বিশেষ করে কোনারকেল সূর্য মন্দির ওড়িশার তথা ভারতের নিখুঁত দক্ষতার সঙ্গে তৈরি অতি আশ্চর্যময় স্থাপত্যের অন্যতম উদাহরণ।
ওড়িশা রাজ্য জুড়ে বিশেষ করে ওড়িশার উপজাতীয় এলাকায় অনেক ধরণের লোকনৃত্য রয়েছে। এছাড়াও গ্রামে গ্রামে মাদল ও বাঁশির গানও প্রচলিত। ওড়িশার শাস্ত্রীয় নৃত্য ওড়িশি নৃত্যটি হল এ রাজ্যের একটি বিখ্যাত লোকনৃত্য। যা সাতশ বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে থাকা ভারতের একটি প্রাচীনতম নৃত্য শৈলী। সারা বছর ধরে জাকজমকভাবে ওড়িশায় অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসব উদযাপিত হয়। উৎসব গুলি সাধারণত প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে রঙিন শোভাযাত্রা এবং বিশাল সমাবেশ দ্বারা। রাজ্যের কয়েকটি জনপ্রিয় উৎসব হল রথযাত্রা,মহাশিবরাত্রি, বালিযাত্রা, দশেরা, দোল পূর্ণিমা, মাঘ সপ্তমী উৎসব, দোল যাত্রা ইত্যাদি। এর মধ্যে পরীর বাবা জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা ওড়িশার সবচেয়ে বড় উৎসব যা সারা বিশ্ব জুড়ে সুবিখ্যাত। ওড়িশায় রন্ধনসম্পর্কীয় ও ঐতিহ্য রয়েছে বহু শতাব্দী ধরে। অন্যান্য আঞ্চলিক ভারতীয় রন্ধনপ্রণালীর তুলনায় উড়িয়ে খাবারে কম তেল ও মশলা ব্যবহার করা হয় এবং খাবারগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে। ভাত, রুটি, ডাল, সবজি ইত্যাদি হল এ রাজ্যের প্রধান খাবার। এ ছাড়াও এ রাজ্যের কয়েকটি সুস্বাদু ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হল ডাল মা, দই বেগুন, পত্র পোড়া মাছ, কাঁকড়া জোল, মাছ, পেশার, দই বড়া, আলুর দাম, খাঁচা, চাওলা বরা, ছানা পোড়া, রসগোলা, পিঠা ইত্যাদি।
পরিবহণ ব্যবস্থা হিসাবে ওড়িশা রাজ্যটিতে উন্নত সড়ক পথ, রেলপথ এবং বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর এরও সুবিধা রয়েছে। ওড়িশার প্রধান শহরগুলি সরাসরি দৈনিক ট্রেন এবং সাপ্তাহিক ট্রেনের মাধ্যমে ভারতের সমস্ত প্রধান শহরগুলির সাথে ভালভাবে সংযুক্ত। ওড়িশার রাজধানী শহর ভুবনেশ্বরে অবস্থিত বিজু পটনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি হল ওড়িশা রাজ্যের প্রধান এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ ছাড়াও জলপথ হিসাবে পারাদ্বীপ হল ওড়িশার একমাত্র প্রধান বন্দর। ওড়িশা ভারতের একটি অন্যতম প্রধান পর্যটন স্থান, যেখানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, সমুদ্র সৈকত, মন্দির, স্মৃতিস্তম্ভ, শিল্পকলা এবং উৎসবসহ বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এখানকার কয়েকটি জনপ্রিয় প্রধান গন্তব্য স্থান হল পুরিতে অবস্থিত শ্রী জগন্নাথ মন্দির। কোনারকের সূর্য মন্দির, ভুবনেশ্বরে অবস্থিত লিঙ্গরাজ মন্দির, চিলকা লেক, পুরি সমুদ্র সৈকত, ভিতরকণিকা ন্যাশনাল পার্ক, উদয়গিরি ও খণ্ডগিরি গুহা, ধোলিগিরি পাহাড় ইত্যাদি। আরও তথ্য পেতে ক্লিক করুন Wikipedia
আই নিউজ/আর
আরও পড়ুন
- জার্মানিতে গাঁজা খাওয়ার চাকরি, বেতন ৮৮ লক্ষ টাকা!
- কিভাবে আসলো চায়ে দুধ মিশিয়ে ‘দুধ-চা’ বানানোর আইডিয়া?
- পাকিস্তান পুলিশের শীর্ষপদে প্রথম হিন্দু নারী মনীষা
- চিড়িয়াখানায় সিংহের থাবায় প্রাণ গেলো যুবকের
- সাপের দংশন ও চিকিৎসা
- বাস্তবে কি জলপরী আছে?
- বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ইতিহাস
- ওড়িশা (ODISHA)ভারতের অন্যতম রাজ্য
- বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি বঙ্গোপসাগরেই কেন?
- বিভিন্ন দেশের সূর্যগ্রহণ দেখুন ছবিতে