গত বুধবার দুপুর ২টা হতে শুরু করা অনশণ অবশেষে ভাঙলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের প্রচেষ্টায় বুধবার ভোর ৫টার দিকে তারা অনশন ভাঙতে রাজি হয়।

এরপর, সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে থাকা অনশনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত অনশনকারীদের সাথে একত্রিত হন। এরপর ১০টা ২১ মিনিটের দিকে  অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনশনকারী শিক্ষার্থী হামিদা আব্বাসিকে পানের মাধ্যমে অনশন ভাঙান।

এর আগে,  বুধবার ভোর ৪টার দিকে শাবি ক্যাম্পাসে এসে তিনি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত অনশনকারীদের সাথে দেখা করেন তারা। এসময় তিনি ও অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কথা শুনেন। একপর্যায়ে, আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন, অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। এসময় অনশনকারীরা তার কথা মতো অনশন ভাঙতে রাজি হন। তবে সকাল ৮টায় হাসপাতালে অবস্থানরত অনশনকারীদের সহ সবাই একসাথে অনশন করবেন বলেন তাকে জানান।

আরও পড়ুন- ৪৪তম বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ছে

এর কিছুক্ষণ পর অধ্যাপক ড. মোহম্মদ জাফর ইকবাল এক প্রেস ব্রিফিং করেন। এসময় তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমারা টের পাচ্ছো না তোমারা কি করেছো। এটাই আমার খুব দুঃখ। বাংলাদেশ ৩৪টা ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর বলেছেন যে, এই ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর যদি পদত্যাগ করেন তাহলে তারা সবাই পদত্যাগ করবেন। এই জিনিসটা দেখা খুবই শখ আমার। যে আমাদের এরকম ভাইস-চ্যান্সেলর আছেন যাদের আদর্শ এত বেশি যে উনারা অন্যর সহমর্মিতায় নিজেরা পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমার ধারণা আমার এ আশা সহজে মিটবে না। কি জন্য তারা এটা বলেছেন। কারণ ঐ ৩৪ জন ভাইস-চ্যান্সেলর তাদের ঘুম নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তোমরা যেটা করেছো, আমি আশা করি বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলোর একটা মোডিফিকেশন হয়েছে। সবাই যেন এখন নতুন করে এ্যানালাইসিস করে যে, আমি যে মানুষটাকে ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে পাঠিয়েছি সে কি আসলেই ভাইস-চ্যান্সেলর হওয়ার যোগ্য? 

তিনি আরো বলেন, আমি অনেক কিছু জানি। কিন্তু পাবলিকলি বলতে চাই না। কারণ নিজেদের দুর্বলতার কথা বলতে ভালো লাগে না। তোমাদেরকে শুধু এটুকু বলতে চাই,  তোমরা যেটা করেছো এটার কোন তুলনা নেই। যে আন্দোলনটা তৈরি করেছো বাংলাদেশের প্রত্যেকটা যুবক ছেলেমেয়ে তোমাদের সাথে আছে।

আরও পড়ুন- শাবিপ্রবির আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙার আভাস!

পুলিশের উপর শিক্ষার্থীদের গুলি ছোঁড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছাত্ররা গুলি করেছেন আমরা একটা ছবি দেখান। সবার কাছে একটা স্মার্টফোন থাকে। একটা দেখান ছবি যে ওরা গুলি করেছে।

সাবেক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা করার মামলা বিষয়ে তিনি বলেন, সব মামলা তুলে নেওয়া হবে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে।

আইনিউজ/জি এম ইমরান/এসডিপি 

আইনিউজ ভিডিও   

বৃষ্টিস্নাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

ঘুরে আসুন মৌলভীবাজারের পাথারিয়া পাহাড়