রাকিবুল ইসলাম রিয়াদ, জবি প্রতিনিধি
জবি সমাজকর্ম বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব নারী দিবস পালিত

নারীদের অধিকারকে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য প্রতি বছর ৮ই মার্চ পালিত হয় বিশ্ব নারী দিবস। সেই ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগের আয়োজনে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানা, নারী দিবস উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মহসিন রেজা সহ বিভাগের অন্যন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুর ১.৩০ ঘটিকায় ১৬তম আবর্তনের নবীনবরণ শেষে র্যালিটি পুরো ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবমঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে আলোচনায় জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, নারীরা আমাদের শক্তি। নারীদের ভালো অবস্থান মানে আমাদের সমাজের, দেশের ভালো অবস্থান। ইউরোপ আমেরিকার দিকে তাকালে দেখা যায়, তারা নারী পুরুষ সমান তালে চলছে। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করে আমাদের দেশের নারীদেরকেও কাজের সুযোগ করে দিতে হবে।
নারী দিবস উদযাপনের যুগ্ম আহব্বায়ক সহকারী অধ্যাপক মিফতাহুল বারী বলেন, নারী পুরুষের ভেদাভেদ দূর করতে হবে। তাহলেই দেশ এবং দশের উন্নতি সাধন সম্ভব।
আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, এবার নারী দিবসের প্রতিপাদ্য "ব্রেক দ্যা ভায়াস"।নারীরাই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি তাই কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ বাড়াতে হবে।
অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে যেসব বাঁধা রয়েছে তা দূর করতে হবে এবং নারীদেরকেও তাদের অধিকারের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
অধ্যাপক ড. মোস্তুফা হাসান তার বক্তিতায় বলেন, নারী বলেই যেন কেউ পিছিয়ে না থাকে। নারীর যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে মুল্যায়ন করতে হবে।
অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, সমাজকর্ম একটা পেশা। সেই পেশার বাস্তব প্রতিফলনই আমাদের আজকের এই র্যালি। সমাজের পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীকে এগিয়ে আনার জন্যই আমরা সমাজকর্মীরা কাজ করি। তারা যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী যেন সফল হতে পারে, নিজের সমস্যা যেন নিজেই কাটিয়ে উঠতে পারে।
সহযোগী অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন,নারীরা আমাদের উন্নয়নের হাতিয়ার কিন্তু আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদেরকে ঘরের লক্ষি,মায়বী,অবলা, ঘরের শোভা এসব নানা রকম উপমায় আখ্যায়িত করে তাদের কে ঘরে আবদ্ধ করে রেখেছে।ফলে তারা ঘর সংসার ছেড়ে মুক্ত হতে পারছে না।নারীদেরকে বেশী বেশী সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে তাদেরকে বাইরে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে আর এটা আমাদের পুরুষদেরই দায়িত্ব।
নারী দিবস উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক অধ্যাপক ড. মহসিন রেজা বলেন, নারীরা ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকব, গোটা সমাজ এবং দেশ ভালো থাকবে। আমরা যদি আমাদের পারিবারিক শিক্ষা আরও জোরদার করতে পারি, তাহলে কোন নারী আর অবহেলিত হবে না। আজকে অসহায় নারীরা বিধবা ভাতা পাচ্ছে, বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে। একইভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের বাংলাদেশ সরকার সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। সেই সুযোগ গুলো সঠিকভাবে ব্যাবহার করতে হবে এবং আমাদের পুরুষশাসিত মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
উল্লেখ্য এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য।
আইনিউজ/রাকিবুল ইসলাম/রিয়াদ
আইনিউজ ভিডিও
গ্রিসে পাঁচ বছরের ভিসা পাবে বাংলাদেশিরা
ঐতিহ্যবাহি আদিবাসি সাঁওতাল নৃত্য
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে হবে মেডিকেল কলেজ : মন্ত্রী
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৫
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৫
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- ওসমানী মেডিকেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আন্দোলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা
- স্বপ্ন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হওয়া
টিউশনী করে পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেল সরকারি কলেজের সুমাইয়া - গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩