রাকিবুল ইসলাম রিয়াদ, জবি প্রতিনিধি
আপডেট: ২৩:১৫, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

বসন্ত শেষে প্রকৃতিতে বইছে গ্রীষ্মের গরম হাওয়া। এ গ্রীষ্মে প্রকৃতিকে রাঙিয়েছে পলাশ, শিমুল সহ নানা রঙবেরঙের ফুল। তপ্ত গ্রীষ্মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে ডানা মেলেছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া। এ যেন কৃষ্ণচূড়ার ক্যাম্পাস। প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাসে মুগ্ধতা ছড়ায় কৃষ্ণচূড়া ফুল। যেন সূর্যের সবটুকু আলো গ্রহণ করে সহমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে নিজেকে মেলে ধরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটক, সমাজকর্ম,সামাজ বিজ্ঞান বিভাগের সামনে,ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে,ক্যাফেটেরিয়ার সামনে, মুক্তমঞ্চের আশে পাশে,সাইন্স ফ্যাকাল্টির সামনে সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণচূড়া গাছের রাঙা ফুল প্রকৃতির সব রঙকে ম্লান করে দিয়েছে। সকালে গাছের নিচে কৃষ্ণচূড়ার ঝরে পড়া রক্ত লাল পাপড়ি যেন পুষ্প শয্যা। এসব কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে শিক্ষার্থীরা আড্ডা আর খুনসুটিতে মেতে ওঠেছে।শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, পথচারী বা ক্যাম্পাসের সম্মুখের মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে যেকোনো যাত্রীরই হৃদয় কাড়ে নয়ন জুড়ানো এসব কৃষ্ণচূড়া ফুল। মনের অজান্তেই মুখে অস্ফুট স্বরে বের হয়ে আসে ‘বাহ! কী মায়াবী জাল বিস্তার করেছে আকাশের পানে।’
পুরো ক্যাম্পাস যেন কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যে শোভা পেয়েছে। কৃষ্ণচূড়ার ইংরেজি নাম ফ্লেম ট্রি। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো ‘ডেলোনিক্স রেজিয়া’। এটি ফ্যাবেসি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ, যা গুলমোহর নামেও পরিচিত। আমাদের দেশে লাল ও হলুদ রঙের ফুল দেখা গেলেও সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা কালেভদ্রে দেখা যায়।কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় ১২-১৪ মিটার হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চলব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায় উষ্ণ আবহাওয়ার প্রয়োজন হয়।
জবির ফার্মেসি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসনাইন জান্নাত ইশা বলেন " ক্যাম্পাসের লাল কৃষ্ণচূড়া আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ টাকে লাল রং এ রাঙিয়েছে।মনে হচ্ছে যেনো লাল টুকটুকে বউ,এই লাল এর মাঝে ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে" ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মোরশেদ ইসলাম বলেন, "ঈদের ছুটি কাটিয়ে এসে কৃষ্ণচূড়ায় পরিপূর্ণ লাল টুকটুকে ক্যাম্পাস দেখে মনে হচ্ছে যেন ঈদের শেষে আবার কোথাও ঘুরতে এসেছি। এমন সুন্দর দৃশ্য দেখে নিজের সবুজে ঘেরা গ্রাম ছেড়ে আসার জন্য যে মন খারাপ লাগতেছিলো তাও যেন ভুলে গেছি।"
সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী রুবাইয়া রায়হান বলেন,"পছন্দের ফুল গুলোর তালিকায় প্রথমেই স্থান পায় কৃষ্ণচূড়া। এর রক্তবর্ন রুপ- সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে বার বার। ফুলটা হাতে নিলে মনে হয় এক টুকরা সূর্যকে খুব কাছ থেকে দেখেছি,যতবার দেখি ততবারই মুগ্ধ হয়ে যাই।"
এই রুক্ষ গ্রীষ্মের রোদের খরতাপে মন মাতানো রঙিন এ সৌন্দর্যে চোখ ধাঁধানো মায়াময় টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলে ফুলে যেমনি সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি, তেমনি সবার মনেই জাগিয়েছে রক্তিম স্রোত।ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার একটাই প্রত্যাশা, কৃষ্ণচূড়ার এই অপরূপ দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যটি অমর হয়ে বেঁচে থাকুক যুগের পর যুগ। আপন মায়ার চাদর আকাশে ছড়িয়ে মেলে ধরুক স্বপ্নময় নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিক সৌন্দর্য।
আইনিউজ/রাকিবুল ইসলাম রিয়াদ/এসডিপি
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৫
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৫
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- ওসমানী মেডিকেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আন্দোলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা
- স্বপ্ন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হওয়া
টিউশনী করে পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেল সরকারি কলেজের সুমাইয়া - গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩