ইমরান আল মামুন
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা আজকে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। আজকের প্রতিবেদনে আপনারা জানতে পারবেন বাংলাদেশের সেরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে।
একজন শিক্ষার্থী যখন এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাকে উচ্চশিক্ষা অর্জনের প্রয়োজন হয়। এই উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এবং দেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের বাংলাদেশ নানা ধরনের সরকারি বেসরকারি, পাবলিক, প্রাইভেট অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেগুলোতে উন্নত মানের পড়াশোনা করানো হয়ে থাকে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি। কারণ এখানে সর্বোচ্চ মানের পড়াশোনা করানো হয়ে থাকে এবং খরচ এভারেজ কম। যার কারণে যতদিন যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে শীর্ষস্থানে। এই শীর্ষস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা। আসন সংখ্যা ব্যতীত কোন শিক্ষার্থীদের কে এখানে ভর্তি করানো হয় না। বাংলাদেশের যতগুলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেগুলোর তুলনায় আমাদের ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বেশি।
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
যতগুলো আসন সংখ্যা রয়েছে তার তুলনায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি। তার কারণে সবাইকে ভর্তি করানো সম্ভব হয় না। এজন্য শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হয়। অর্থাৎ ভর্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রার্থীদেরকে কিছু শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। যেমন আবেদনের ক্ষেত্রে নিজ নিজ কলেজ অনুসারে এখানে পয়েন্ট পেতে হয়। এস
এসসি পরীক্ষা এবং এইচএসসি এই দুই পরীক্ষার পয়েন্ট অনুসারে শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পান। আবার প্রতিটি কলেজের আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্ট অনুসারে এই পয়েন্টের ভিন্নতা রয়েছে। আজকে আমরা সকল বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। ভর্তির জন্য আবেদন করার পর বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। যেমন শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং অন্যান্য ধাপ করে চূড়ান্তভাবে ভর্তি হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে হবে।
বুয়েট
যদি বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুজে থাকেন তাহলে প্রথমে নাম আসে বুয়েটের কথা। কারণ বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থান দখল করে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট। অর্থাৎ বুয়েট হচ্ছে সংক্ষিপ্ত নাম এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে পুরো নাম। এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। বাংলাদেশের যতগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে এটি। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নয় দেশের বাইরে থেকেও এখানে পড়তে আসে অনেক শিক্ষার্থীরা। অনেক মানুষের ছোট থেকেই ইচ্ছে এখানে পড়াশোনা করার।
এটি বহু আগেই স্থাপন করা হয়। যেমন ১৮৭৬ সালে এটি নির্মাণ করা হলেও ১৯৬২ সালে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরিত হয়েছিল। বর্তমানে এটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে শুধুমাত্র যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে ইঞ্জিনিয়ার হতে ইচ্ছুক তাদের জন্যই এই বিশ্ব বিদ্যালয়। অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এখানে প্রায় 600 এর অধিক শিক্ষক রয়েছে যারা অভিজ্ঞতা সম্পন্নভাবে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান করে থাকেন। বর্তমান সময়ে এখানে প্রায় ১০ হাজারের মতো শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। ঢাকার মূল কেন্দ্রস্থলে প্রায় ৮৪ একর জমির মধ্যে স্থাপিত এই বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর জায়গা দখল করে রয়েছে এটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এই নামটি শুনলে মনের ভিতর চলে নানা ধরনের আবেগ এবং ভালোবাসা। প্রতিটি শিক্ষার্থীর ইচ্ছে থাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা। বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। একবার হলেও প্রায় প্রতীক শিক্ষার্থীর ইচ্ছে হয় এই কলেজটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য। কিন্তু যারা নির্দিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন এবং ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হয় তারাই কেবল এখানে ভর্তি হতে পারে। এখানে প্রায় ১০ টির মতো ডিপার্টমেন্ট রয়েছে এবং প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে আলাদা আলাদা আরো বিষয় রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় টি স্থাপন করা হয় ১৮৭৬ সালে। ১৯২১ সালে চূড়ান্তভাবে একটি প্রতিষ্ঠাতা করা হয়। একটি স্লোগান রয়েছে যেটি হচ্ছে শিক্ষাই আলো।
বর্তমানে এর মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা হচ্ছে ৩৭ হাজার ৬৪ জন। মোট শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ১৮০৫ জন। শিক্ষা প্রাঙ্গন হচ্ছে মাত্র ২৩ টি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এটি অনেক বেশি। ঢাকার রমনাতে এটি অবস্থিত। বাংলাদেশে এটি বিখ্যাত নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রয়েছে এর খ্যাতিসম্পন্নতা। বিদেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী এখানে আসে পড়াশোনা করার জন্য। এটি এশিয়ার মধ্যে ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে। প্রতিনিয়ত দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করার জন্য আসেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আপনি যদি দেশের সেরা ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজেন তাহলে এর তালিকায় পাবেন জাবি। মূলত এটি হচ্ছে সংক্ষিপ্ত রূপ । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরের স্থান রয়েছে এটি। এটি ১৯৭০ সালে স্থাপন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীর ইচ্ছে এই কলেজে ভালো ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মত এখানেও ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতীক না প্রার্থীদেরকে ভর্তি করানো হয়ে থাকে। ঢাকার সাভার অঞ্চলে অবস্থিত। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডিপার্টমেন্ট এবং চারটি ইনস্টিটিউট রয়েছে।
বর্তমানে এখানে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ১৭ হাজারের অধিক। শিক্ষক সংখ্যা কয়েক শত। এটি মূলত পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের যত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে বিশেষ একটি জায়গা দখল করে নিয়েছে এ জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়। আপনি যদি এ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে ইচ্ছুক হন তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে নিবেন।
খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের যতগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে কুয়েট। যার পুরো নাম হচ্ছে খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রয়েছে এর বেশ জায়গা। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত হচ্ছে খুলনাতে এখানে রয়েছে একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস, লাইব্রেরি, আরো কিছু ভবনসহ বিশাল আকারে বিস্তৃত এই বিশ্ববিদ্যালয়। সারা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী এখানে প্রতি বছর পড়াশোনা করার জন্য ছুটে যায়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানেও ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা কেবল ভর্তির জন্য সুযোগ পান।
বর্তমান সময়ে এখানে মোট ৩২০ জনের মতো শিক্ষক রয়েছেন। আরো অন্যান্য কর্মকর্তা রয়েছে ১৩২ জন এবং কর্মচারী রয়েছে ২৯২ জন। এছাড়াও বিশাল জায়গা দখল করে রয়েছে খুলনার বিভাগে এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ অত্যন্ত উন্নত মানের এবং পরিবেশবান্ধব। সারা বাংলাদেশ সাথে এখানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসে। এখানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ৫৯৩৪ জন। ১৯৬৭ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে পরিচিতি লাভ করে ২০০৩ সালে। এই কলেজের নীতিবাক্য হচ্ছে প্রভু আমায় জ্ঞান দাও।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের দেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান রয়েছে চট্টগ্রামের এই চুয়েট। এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নয় এটি চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করতে চান যারা তারা এই কলেজে। চট্টগ্রামের মূল শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রাউজান অঞ্চলে অবস্থিত এই ইনস্টিটিউট। যার পুরাতন নাম ছিল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি। এই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করার জন্য আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এখানে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি করানো হয়ে থাকে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ৪৫০০। এখানে প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ রয়েছে ৩৫০০ এর মত। এছাড়া রয়েছে আরও অন্যান্য কর্মকর্তা। স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য এ প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করা হয়েছে। ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম এটি তৈরি করা হয় এবং ২০০৩ সালে এর নামকরণ করা হয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজের তথ্য এবং বিস্তারিত জানতে এদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে এ অবস্থিত এই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের সবচেয়ে উন্নত মানের এবং জনপ্রিয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বাইরে থেকেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য আসে অনেক শিক্ষার্থী। আপনি জানলে অবাক হবেন 25 মিলিয়ন ইউএস ডলার ভিত্তি দান করা হয় এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দেশ-বিদেশের নানা শিক্ষার্থীরা আসে এখানে পড়াশোনার জন্য। যেকোনো বিভাগ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করতে যায় ভর্তি পরীক্ষাতে। ১৯৮৬ সালে এই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাতা করা হয়।
এখানে প্রায় দশ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিপীলিকা নামে একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেছিল যা এখন পর্যন্ত সফলভাবে চলমান রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশাপাশি জেনারেল এর কিছু বিষয় রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা খুব সহজে ভর্তি হতে পারেন। এখানে মোট ২৮ টি একাডেমিক বিভাগ রয়েছে। ৩২০ একর জমির উপর নির্মিত এই কলেজটি। এখানে মোট শিক্ষকের সংখ্যা 552 জন। এই কলেজ সম্পর্কে যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য আর্টিকেল দেখুন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সংক্ষিপ্ত বলা হয় রাবি। যদি সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা আসে তাহলে অবশ্যই সেখানে অবস্থান করবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ শুরু থেকেই দেশের জনপ্রিয়তা অর্জন করে আসছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। সুদর্শনীয় স্থান রাজশাহীর অভ্যন্তরে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটি । এর লেখাপড়ার মান যেমন উন্নত এবং আধুনিক এর পরিবেশটাও তত আধুনিক। পুরাতন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় টি প্রতিষ্ঠাতা করা। সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে বৃহত্তর দ্বিতীয় স্থানে অবদান করছে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক। এখানে সর্বমোট দশটি অনুষদে 59 ডিপার্টমেন্ট রয়েছে।
এই কলেজে মোট ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা হচ্ছে ২৬ হাজার ৪৯৫ জন। মোট ৭৫৩ একর জমিতে অবস্থিত এই বৃহত্তর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকেও শিক্ষার্থীরা ডক্টরের ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে প্রায় কয়েকশত শিক্ষক যারা ছাত্রছাত্রীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে। আমাদের দেশের অনেকেই এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানেও ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে উত্তীর্ণ হতে হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের দেশে যত সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ সেরা ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর তালিকায় স্থান দখল করে নিয়েছে এটি। এখানে উন্নত মানের লেখাপড়ার পাশাপাশি রয়েছে পড়াশোনার জন্য উন্নত মানের পরিবেশ। যেমন যতগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে আমাদের দেশে তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঘেরা হচ্ছে এই চট্টগ্রাম অর্থাৎ চবি। এখানে প্রায় 27 হাজারের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। রয়েছে ৮০০ এর বেশি শিক্ষক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় টি মোট ৮৫০ হেক্টর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে অর্থাৎ ১৯৬৬ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছিল। এটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। শুধুমাত্র বাংলা ভাষার নয় এর মধ্যে কয়েকটি ভাষায় শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়টি হাটহাজারী চট্টগ্রামে অবস্থিত। এই কলেজ সম্পর্কে আরো যারা জানতে চান তাহলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং সেখান থেকে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো জেনে নিন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে নেই। এখানেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হতে হয়। যে সকল শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হতে পারবে তারাই কেবল এখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে এখানে আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। বৃহত্তর খুলনা বিভাগে এ বিশ্ববিদ্যালয় টি অবস্থিত বলে একে বলা হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। যাকে সংক্ষিপ্ত বলা হয় খুবি।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯১ সালে। মোট ১০৬ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে 5616 জন। তবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এটি বেশ পুরনো নয়। এখান থেকে স্নাতক পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক ডক্টরেট শিক্ষার্থী প্রতিবছর পাস করেন। এ কলেজের পড়াশোনার মানের পাশাপাশি অন্যান্য পরিবেশ ও অত্যন্ত উন্নত এবং আধুনিক। দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখানে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার জন্য ছুটে আসেন।
বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শুধুমাত্র বাংলাদেশের ১০টি সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে জায়গা দখল করে নেই। এশিয়ার মধ্যে যতগুলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে স্থান রয়েছে প্রথম পর্যায়ে দেখে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এখানে পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষার্থীরা আসেন। আর এ এখানকার শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে অনেক ভালো পজিশনে চলে যান। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে এই বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আর এটি অবস্থান করছে ময়মনসিংহে।
বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মোট ১২০০ একর জমির উপর নির্মিত। ১৯৬১ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে এর ছাত্রছাত্রী সংখ্যা হচ্ছে আট হাজারের অধিক। এছাড়াও ৫০০ এর অধিক শিক্ষক রয়েছেন এখানে। বাংলাদেশের যত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার সর্বোচ্চ স্থান জায়গা দখল করে নিয়েছে। এখানে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যতীত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও পড়াশোনা করার জন্য আসে।
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট দেখুন। এখানে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা গুলো শেয়ার করা হয়েছে।
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৫
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৫
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- ওসমানী মেডিকেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আন্দোলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা
- স্বপ্ন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হওয়া
টিউশনী করে পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেল সরকারি কলেজের সুমাইয়া - গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩