শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুর আতঙ্ক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। ফলে, কুকুরের আক্রমণের আতঙ্কে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরিমধ্যে গত কয়েকদিনে একাধিক শিক্ষার্থী কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাম্পাসের গোলচত্বর শিক্ষার্থীদের আড্ডার অন্যতম স্থান। আর একই জায়গায় কুকুরের আশ্রয়স্থল গড়ে উঠেছে। গোলচত্বর ছাড়াও ক্যাম্পাসের বাসস্ট্যান্ড, চেতনা- ৭১, ফুডকোর্ট, ছাত্রীহল রোড, এক কিলোরোড, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের যাত্রীছাউনিসহ বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের আশপাশে কুকুর দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করে। ফলে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরা করা সংশ্লিষ্টদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে অনেক কুকুরের আনাগোনা বেশি দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা মনে করছেন কুকুরগুলো নতুন বাচ্চা দেওয়ার কারণেই এমন খ্যাপাটে হয়ে পড়েছে। 

কুকুড়ের কামড়ের শিকার হওয়া নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান হিমন বলেন, ‘গত বুধবার আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড কোর্ট-১ এ আমি  দাঁড়ানো ছিলাম তখন হঠাৎ  পিছন থেকে কুকুর এসে আমার হাটুর পিছনে কামড় দেয়। তাৎক্ষনিক ডাক্তারের কাছে গেলে আমাকে ৪টা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। 

• বশেমুরবিপ্রবি’র নতুন উপ-উপাচার্য শাবির ড. সৈয়দ সামসুল আলম

• জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পেলেন শাবির ৭৭ শিক্ষার্থী

এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান খান আইনিউজকে বলেন, ‘গত কয়েকদিনে প্রায় ৭-৮ জনকে কামড় দিয়েছে। আজ ও একজনকে মারাক্তকভাবে আহত করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা বা উদ্যোগ নিতে দেখা যায় নি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অতি দ্রুত কুকুর নিধনের আহ্বান জানান’। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সিটি কর্পোরেশনে চিঠি দিয়েছি। আর বাচ্চাসহ কুকুরগুলোকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে  অনেকে বাধা দেয়। তাই আমরা কুকুরের বাচ্চাসহ ক্যাফেটেরিয়ার পেছনে একটি নির্জন জায়গায় রেখে আসছি। যদি কোন শিক্ষার্থী ও বহিরাগত যায় তাহলে তাদেরকে কুকুরগুলো আক্রমণ করছে। আর কুকুরগুলো নিধন অথবা সরানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার যে দিকনির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী কাজ করব’।

আই নিউজ/এইচএ