সাগর শুভ্র, শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
আপডেট: ২৩:৩৫, ১১ নভেম্বর ২০২৩
শাবিপ্রবির প্রথম ছাত্রীহল
শাবিতে দূষিত পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন হলের ছাত্রীরা
ফাইল ছবি
দীর্ঘদিন ধরে দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রথম ছাত্রীহলের ছাত্রীরা বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের ‘এ’ ও ‘বি’ ব্লকের পানিতে নিয়মিত পোক-মাকড় পাওয়া যায়। পানিতেও রয়েছে অনেক মাত্রাতিরিক্ত আয়রন। হলে পানির ফিল্টার থাকলেও সঠিক উপায়ে পানি পরিশোধন না হওয়ার ফলে আয়রন ও পোকামাকড়যুক্ত পানি পান করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা। এসব পানি ব্যবহারের ফলে জন্ডিস, টাইফয়েড, লিভারে ইনফেকশন, খাবারে অরুচি, বমি ভাবসহ নানান ধরণের পানিবাহিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাদের শরীরে। আবার কেউ কেউ পেটে ব্যথা, জ্বর, শরীরের দুর্বলতা, ওজন কমে যাওয়াসহ না রোগে ভুগছেন বলে জানা গেছে।
জন্ডিস রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থী নিশাত আনজুম নিশু বলেন, অনেকদিন ধরে হলের পানিতে গন্ধ আসে। পানির সাথে পোকাও আসে। নতুন বোতল পানি নিলে সাত দিনেই বোতল লাল হয়ে যায়। আমার অনেকদিন ধরে হজমজনিত সমস্যা, পেটের সমস্যা লেগেই আছে। পুজোর ছুটিতে বাসায় এসে টেস্ট করে প্রথমে টাইফয়েড তারপর জন্ডিস ধরা পড়ছে।
তিনি আরো বলেন, গত ২০ দিন হচ্ছে আমি অসুস্থ, সামনে সেমিস্টার ফাইনাল। ক্লাস,টার্ম টেস্ট সব মিস হচ্ছে। ডাক্তার বলেছে পানির কারণে এমনটা হয়েছে। যেহেতু বছরের অধিকাংশ সময় আমরা হলেই থাকি আর এক সাথে এতো মেয়ে অসুস্থ সেইম সমস্যা নিয়ে তাহলে এখানে কোন কারণ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তার মাসরাবা সুলতানা বলেন, দূষিত পানি ব্যাবহার করার ফলে জন্ডিসসহ আরো অনেক পানিবাহিত রোগ হতে পারে।
টাইফয়েড ও জন্ডিস রোগে আক্রান্ত প্রথম ছাত্রী হলের শিক্ষার্থী রায়হানা ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই হলে পানির ফিল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু পানির ফিল্টারের গোলযোগ প্রতিনিয়তই আমরা ফেইস করি। যার ফলে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া সবসময় নিশ্চিত হয়ে উঠে না। গত ২৫ অক্টোবর আমি হল থেকে বাসায় আসার পরই জ্বর আসে, জ্বর দুইদিন পরেও না কমায় ডাক্তার দেখালে ডাক্তার দুইটি টেস্ট দেয়, যেখানে ধরা পরে আমার টাইফয়েডের পর জন্ডিস হয়েছে।
এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ডাক্তার বলেছে এটি ছড়িয়েছে পানি থেকেই। প্রথমে ভেবে পাচ্ছিলাম না কিভাবে হলো এই রোগ কিন্তু কিছুদিন পরে জানতে পারি হলের আরো শিক্ষার্থীরা অসুস্থ। জন্ডিস, টাইফয়েড, লিভার ইনফেকশন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর। অসুস্থ সকল শিক্ষার্থীরা এটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছে যে সমস্যাটা হলের পানি থেকেই হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন বলেন, ছাত্রীরা অভিযোগ করছেন পানির কারনে তারা জন্ডিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই পানিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের ল্যাবে টেস্ট করতে দিয়েছি। টেস্ট করা ছাড়া তো বলা কঠিন আসলে পানিতে কি সমস্যা। পানির সমস্যাটা আগে ছিলনা। গত ২ সপ্তাহ ধরে এই সমস্যাগুলো লক্ষ্য করছি।
এখন পর্যন্ত কত জন অসুস্থ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত ৪-৫ জনের অসুস্থতার খবর আমি জানি। যারা আমাকে জানিয়েছে আমি অনেককে হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছি। আরা যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যায় নাই বা আমাকে জানায়নি তাদের খবর আমি জানি না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে আমি জানতাম না। আমি উপাচার্য ও হল প্রভোস্টের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করতেছি।
আই নিউজ/এইচএ
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- ওসমানী মেডিকেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আন্দোলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা
- স্বপ্ন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হওয়া
টিউশনী করে পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেল সরকারি কলেজের সুমাইয়া - গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩