Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১০, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
আপডেট: ২১:০১, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

শাবিতে শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থী হেনস্তা

‘তোমাদের সিজিপিএ কিভাবে উঠে দেখে নিব’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) পলিটিক্যাল স্টাডিজ (পিএসএস) বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষক দ্বারা এক শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, পরীক্ষা চলাকালীন ফোনের রিং বাজাকে কেন্দ্র করে বিভাগটির অধ্যাপক ড. দিলারা রহমান কর্তৃক প্রথম বর্ষের মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠে। এসময় ওই সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সিজিপিএ কিভাবে উঠে সেটা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এ শিক্ষক। গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে পিএসএস বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ‘পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ’ (পিএসএস-১২২) কোর্সের পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে জুবেলী তাসনিম নামের এক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পোস্ট করেন। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মিজান নামে এক শিক্ষার্থীর ব্যাগে রাখা মোবাইল ফোনের রিংটোন বেজে উঠে। এসময় ওই শিক্ষার্থীর কাছে রিংটোন বেজে উঠার কারণ জানতে চান পরীক্ষক দিলারা রহমান। এসময় ওই শিক্ষার্থী নিজের ভুল স্বীকার করে নেন। তবে পরীক্ষক দিলারা রহমান ওই শিক্ষার্থীর খাতা কেড়ে নিয়ে অন্তত ২০ থেকে ২৫ মিনিট তাকে ধমকাতে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিজান এবং তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চান বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এতে ওই শিক্ষক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর উপর আরো চড়াও হয়ে মায়ের নিকট কল দিয়ে ‘পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কল দেয়ার কারণ জানতে চান। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ‘ফোন সাইলেন্ট না করার অপরাধে ও ওই শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করেছে বিষয়টি উল্লেখ করে’ একটি জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে নেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়।

ফেসবুকের ওই পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি’ আদায় শেষে পরীক্ষার হলে আরো এক শিক্ষক প্রবেশ করেন। এসময় ওই শিক্ষক ড. দিলারা রহমানের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দোষারোপ করে বলেন, ‘এই ছেলে পরীক্ষা হলে ফোন সাইলেন্ট করে নাই, ফোন বার বার বেজে উঠে। যখন জিজ্ঞেস করছি কে ফোন দিছে তখন ছেলেটি এমন ভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছিল মনে হচ্ছিল যে আমাকে খেয়ে ফেলবে, আমাকে রেপ করবে, এই ছেলেতো আমাকে রেপ করবে।’

এসময় ড. দিলারা রহমান ‘আপনারা বিভাগে চার বছর কাটাবেন। আপনাদেরকে আমি দেখে নিব। যান আপনারা গিয়ে ফেসবুকে বড় বড় পোস্ট দেন। মনে রাখবেন আপনাদের এই পরীক্ষার খাতাগুলো আমার কাছে আসবে। কয়জন পাশ করেন দেখে নিব। তোমাদের সিজিপিএ কিভাবে উঠে আমি দেখে নিব।’ ইত্যাদি বলে হুমকি দিয়েছেন বলে ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ আনা হয়।

ভোক্তভোগী শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানের কাছে ঘটনার বিবরণ চাওয়ার জন্য একাধিক বার ফোন করেও থাকে পাওয়া যায় নি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. দিলারা রহমান বলেন, ‘ওভার দ্যা ফোনে এই কথাগুলো বলা যাবে না। ওই দিনের ঘটনার বিষয়টি আমরা মিমাংসা করেছি।’

আরও পড়ুন
Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়