মো. রওশান উজ্জামান রনি
আপডেট: ১৯:৪১, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
চট্টগ্রাম বোর্ড এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি রেজাল্ট পরিবর্তন
ছবি- সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বোর্ড এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩ কমেছে পাশের হার, অর্ধেকে নেমেছে জিপিএ-৫। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বোর্ড সেরা ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলা। কম সিলেটে। সিলেটে এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই কমেছে। নটর ডেম কলেজে আড়াই হাজারের বেশি জিপিএ-৫, ফেল ২০ পরীক্ষার্থী। পাসে এগিয়ে কারিগরি বোর্ড।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের বছর যা ছিল ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ। এ বছর চট্টগ্রামে বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৬ হাজার ৩৩৯ শিক্ষার্থী। আগের বছরগুলোতে পাশের হার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ বোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সেসময় করোনা থাকার কারণে সেখানে হয়তোবা সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি, স্বল্প বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। সেই কারণে তখন পাশের হার বেশি হয়েছে।
তবে এবার যেহেতু করোনার পর প্রথমবারের মতো সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে সেই কারণে পাসের হার যেখানে বলা হচ্ছে ২০১৯ সাল অর্থাৎ করোনার আগে পরীক্ষা ছিল সেই পরীক্ষার সময়ে পাশের হার ছিল এখনও সেই পাসের হারের কাছাকাছি পাশের হার। এটি কিন্তু খুব একটা খারাপ বলছেন না।অন্যদিকে ফলাফলের পরে চট্টগ্রামে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেখানে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। বিশেষ করে যদি জিপিএ ফাইভ এর কথা বলি। জিপিএ ফাইভের দিক থেকে চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুল সর্বপ্রথম হয়েছে। ডক্টর খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবার দ্বিতীয় হয়েছে। মুসলিম হাই স্কুল তৃতীয় হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রেজাল্ট বা ফলাফল প্রকাশের পর থেকে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসে মেতেছে। শিক্ষার্থীরা যেটা বলছেন যে তারা আসলে তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে তারা সন্তুষ্ট। জিপিএ-৫ এর কথা যদি বলি প্রায় ১১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রীরা বেশ এগিয়ে রয়েছে। প্রায় ছয় হাজারের বেশি ছাত্রী কিন্তু জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ৫০০০ ছাত্র তারা জিপিএ-৫ পেয়েছে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসলে সেই শিক্ষার্থীদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে ভরপুর রয়েছে।
এসএসসি রেজাল্ট ভালো হলে এসএসসি রেজাল্ট পরিবর্তন নিয়ম জেনে নিন।
এইচএসসি ২০২৩ সালের শিক্ষার্থীরাদের রেজাল্ট প্রকাশ পেয়ে গেল। এই যে রেজাল্ট প্রকাশ পেল প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী আশা করি রেজাল্ট হাতে পেয়ে গেছে। পরবর্তীতে অনেক শিক্ষার্থীর মনে হচ্ছে আমার রেজাল্ট আসলে ভালো হয়নি। অনেকে ফেল করে খুশি না। অনেকে A+ পেয়েও খুশি না। আবার অনেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে তারপরও খুশি না। সে চাচ্ছে যে আমার টোটাল নাম্বারটা জেনো বারে। অর্থাৎ প্রত্যেক শিক্ষার্থী কোনো না কোনো সমস্যা আছে। সবার ইচ্ছা আছে তাঁর মনের মতো রেজাল্ট হয়নি৷ এখন এই রেজাল্টা পরিবর্তন করতে চাই। কিন্তু রেজাল্ট আসলে কীভাবে পরিবর্তন করবেন। এই মুহূর্তে যখন আপনি খুশি না এই সুযোগ গুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে মেসেজ দিবে রেজাল্ট পরিবর্তনের জন্য। প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীরাদের বলব যে, একেবারে ওদিকে কান দেবেন না। আপনি যদি কাউকে রেজাল্ট পরিবর্তনের জন্য এক টাকাও দেন সেই টাকাটাই নষ্ট হবে। কারণ কি? বোর্ড ব্যতীত অন্য কেউ আপনার রেজাল্ট কখনও পরিবর্তন করতে পারবে না। অনেকে বলবে, আমি বোর্ডেরলোক, এটা একেবারে বিশ্বাস করবেন না। কারণ কী আজ পর্যন্ত এই রকম হয়নি এবং আজ পর্যন্ত যত সংখ্যক লোক যত সংখ্যক শিক্ষার্থী এই পরিবর্তনের জন্য কাউকে টাকা দিয়েছে টাকাটা মার খেয়েছে। জন্য প্রতি শিক্ষার্থীকে সাবধান করছি। এই ধরনের কাজ থেকে আপাতত দূরে থাকবে। তাহলে আমার রেজাল্টটা ভাল হয়নি আমি রেজাল্ট কীভাবে পরিবর্তন করব। আমি আসলে ফেল করার মতো স্টুডেন্ট ছিলাম না। এর থেকে ভাল পরীক্ষা দিয়েছিলাম। শিক্ষা বোর্ডের সুযোগ আমরা যদি কাজে লাগাই চ্যালেঞ্জ করি সেক্ষেত্রে আমাদের রেজাল্ট কি পরিবর্তন হবে। কেন হবে না, নিজের উপর কনফিডেন্স আছে তো নাকি। এর থেকে বেটার পরীক্ষা দিয়েছিলেন আপনি। অবশ্যই চ্যালেঞ্জ করবে যদি এমন কনফিডেন্ট থাকে। তাহলে অবশয় তোমার রেজাল্ট পরিবর্তন হবে। ফেল করেছ পাস করেছ এ প্লাস পেয়েছে বা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছেন যারাই বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে চান প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য সুযোগ আমাদের সর্বশেষ একটা সুযোগ। পরবর্তী আর কোনো ধরনের সুযোগ পাবে না। অবশ্যই বোর্ড চ্যালেঞ্জ করবে। বোর্ড চ্যালেঞ্জ কীভাবে করবে, নিয়ম কি, কী ভাবে করতে হয়, কোন সাবজেক্ট করলে বেটার হবে সকল তথ্য আমরা আপনাদেরকে দিয়ে দিব। যারা আসলে ভাবছে যে আমার রেজাল্টটা মনের মতো হয়নি, আমি বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে চাই বা রেজাল্ট পরিবর্তন করতে চাি তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড সর্বশেষ সুযোগ দিয়েছে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার। এবং চ্যালেঞ্জে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। ২০২৩ সালে কিন্তু তার ব্যতিক্রম হবে না। যাদের আজকে রেজাল্ট প্রকাশ পেয়েছে এর ভিতরে সবাই সঠিক রেজাল্ট পেয়েছে এমনটা নয়। এর ভিতরে অনেক শিক্ষার্থীর রেজাল্ট ভুল ছিল। এই ভুল গুলো ধরা পরবে যখন তোমরা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করবে তখন। আমাদের যে সময়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের পরীক্ষা হয়েছে তখন বিশাল পরিমান শিক্ষার্থীর বোর্ড চ্যালেঞ্জের রেজাল্ট পরিবর্তন হয়েছে। এই বছর তো সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। এই বছরে ১০০ মার্কে পরীক্ষা হয়েছে। সবকিছু কঠিন ছিল। এই বছরে কি পরিমাণ রেজাল্ট পরিবর্তন হবে কল্পনা করে দেখুন। এই জন্য আমাদের হাতে মিনিমাম যে সর্বশেষ সুযোগটা আছে এর মাধ্যমে আমরা রেজাল্ট পরিবর্তন করতে পারি। এই সুযোগটা একেবারেই মিস করবেন না। আপনি হয়ত ভাবছেন যে আপনার হয়তো রেজাল্ট পরিবর্তন হবে না, আপনার ভাগ্য খারাপ।হাজার হাজার শিক্ষার্থীর রেজাল্ট পরিবর্তন হবে। এই হাজারের লিস্টে যদি আপনার নামটা থাকে। বোর্ড চ্যালেঞ্জ না করে পরবর্তীতে আফসোস করার থেকে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে আফসোস করাটা ভালো। যে আমি বোর্ড চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। আমরা রেজাল্ট পরিবর্তন হয়নি। আমরা চাচ্ছি যে ২০২৩ সালের যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে কষ্টে আছে যে আমার রেজাল্টটা মনের মতো হয়নি। আমি পাশ করতে পারেনি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বলছি, যদি এমন আফসোসের ভিতর থাকো আফসোস করা থেকে ভালো হবে অল্প কিছু টাকা নষ্ট হবে কিন্তু তার বিনিময়ে বোর্ড চ্যালেঞ্জটা করে ফেলুন।
আপনি বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে আপনার রেজাল্ট বিবেচনা করে পুনরায় দেখা হবে কোনও ধরনের ভুল হয়েছে কিনা। যদি ভুল হয় শিক্ষা বোর্ড অবশ্য সেটা ঠিক করে দেবে। এ জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বলব যাদের রেজাল্টটা মনের মতো হয়নি ভাবছো বা ফেল আসছে বা পছন্দ হয়নি কোন কিছু না ভেবে ডাইরেক্টলি বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে ফেলুন।
আই নিউজ/আর
আরও পড়ুন
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- ওসমানী মেডিকেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আন্দোলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা
- স্বপ্ন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হওয়া
টিউশনী করে পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেল সরকারি কলেজের সুমাইয়া - গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩