কাপড়ের পাইকারি বাজার করোটিয়া হাট

বাংলাদেশের পাইকারি বাজারের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে টাঙ্গাইলের করোটিয়া। তবে শাড়ি কাপড়ের জন্য এটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় আমাদের দেশে। এইতো কয়েকদিন আগে টাঙ্গাইলের করোটিয়া তাঁত শাড়ি নিয়ে হয়ে গেল বিরাট একটি তুলকালাম।

টাঙ্গাইলের জামদানি শাড়ি নিয়ে দাবি ছিল কলকাতা। জি আই পণ্য হিসেবে পরবর্তী সময়ে স্বীকৃতি পেয়েছে টাঙ্গাইলের এই শাড়িটি। টাঙ্গাইলের জামদানি শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। আর এই জামদানি শাড়ি বেশি বিক্রি হয়েছে টাঙ্গাইলের করোটিয়া হাট থেকে। এই হাট প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও এখানে বিক্রেতারাও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে এই হাটের সংক্রান্ত যাবতীয় সকল তথ্যগুলো।

টাঙ্গাইলের করোটিয়া হাট কোথায় অবস্থিত এবং কিভাবে যেতে হয

এই হাট অবস্থিত হচ্ছে টাঙ্গাইলের করোটিয়া নামক একটি জায়গাতে। প্রতি সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এই হাট চলমান থাকে। আপনি যদি এই হাটে কেনাকাটার জন্য যান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মঙ্গলবার অথবা বুধবারে যেতে হবে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই হাটের বেচাকেনা কার্যক্রম চলমান থাকে। এখানে যাওয়ার জন্য যারা ঢাকা থেকে আসবেন তারা গাজীপুর হয়ে সরাসরি টাঙ্গাইলের রাস্তায় রাস্তা দিয়ে করোটিয়া পৌছাতে পারেন। ঢাকার সায়দাবাদ বাস স্টেশন, মহাখালী বাস স্টেশন অথবা গাবতলী বাস স্টেশন থেকে সরাসরি টাঙ্গাইলের বাস পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও ট্রেনেও আসতে পারেন একজন ব্যক্তি। টাঙ্গাইলের বাস না হলেও উত্তরগামী বাসগুলোতে চলাচল করতে পারেন।

এছাড়াও যারা অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসবেন তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করোটিয়া মোর নামক স্থানে নেমে তারপর সিএনজি অথবা অটোতে করে উক্ত স্থানে যেতে পারেন।

কাপড়ের পাইকারি বাজার করোটিয়া হাট

এখানে খুচরা এবং পাইকারি উভয় ক্যাটাগরিতে কাপড় বেচাকেনা করা হয়। বলা হয়ে থাকে প্রত্যেক সপ্তাহে প্রায় কয়েক কোটি টাকার কাপন বেচাকেনা করা হয়ে থাকে এই হাত থেকে। এখানে বাচ্চাদের কাপড় থেকে শুরু করে বয়স্কদের কাপড়-চোপড় পাওয়া যায়। অর্থাৎ শাড়ি, থ্রি পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট ইত্যাদি শুরু থেকে শুরু করে সকল ক্যাটাগরি কাপড় পাওয়া সম্ভব এখানে। যারা অনলাইনে কাপড় বিক্রির কাজ করে থাকেন তারাও এখান থেকে নিতে পারেন সুলভ মূল্যে। অর্থাৎ এখানে যাবতীয় সকল ক্যাটাগরির কাপড় পাওয়া সম্ভব।