শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
আপডেট: ১৫:১৬, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
গোপনে শাবি শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ আওয়ামীপন্থি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ছবি সংগৃহীত
জুলাই অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসন এবং বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি ছাড়া গোপনে বিভিন্ন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের তথ্য নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়ের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিষয়টি সামনে আসলে ক্ষোভ দেখা দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও।
জানা যায়, তিনি বেআইনিভাবে প্রশাসনের এবং বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগের অফিস থেকে গোপনে সকল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বিভাগগুলোর অফিসে অফিস সহকারীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, তিনি এসে আমাদের কাছে এসব তথ্য চাইলে আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক হিসেবে এসব তথ্য দিই। এসব তথ্য কেন নিচ্ছেন এ বিষয়ে তিনি আমাদের কোন কারণ বলেন নি। পরিচিত হিসেবে আমরাও তাকে এসব তথ্য দিয়ে দিই।
একাধিক বিভাগের প্রধানের সাথে কথা বললে তারা জানান, শিক্ষার্থীদের এসব তথ্য অত্যন্ত গোপনীয়। এসব তথ্য নিতে গেলে কমপক্ষে বিভাগের প্রধানের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি ছাড়া বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত ছাড়া কেউ এসব তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন না। হিমাদ্রী শেখর রায় এসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন আমরা সেটা পরে জানতে পেরেছি এবং অফিস সহকারীরা অনুমতি ছাড়া এসব তথ্য কেন দিয়েছেন এসব কারণও জানতে চেয়েছি অফিসিয়ালি।
তবে শিক্ষার্থীরা ধারণা করছেন আওয়ামীপন্থি এ শিক্ষকের গোপনে সংগ্রহ করা এসব তথ্য তিনি গোয়েন্দাসংস্থা বা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অন্য কোন কাজে ব্যবহার করে থাকতে পারেন।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এসব তথ্য নেবার কোন সুযোগ নেই। এছাড়াও এগুলো অত্যন্ত গোপনীয় বিষয়। এসব তথ্য নিয়ে বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারে তারা যেখানে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে যেকোনো বিপদে পড়তে পারেন এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এগুলো খুবই সেনসিটিভ বিষয়। এসব তথ্য সংগ্রহ করতে হলে কমপক্ষে বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি প্রয়োজন।
নাম না উল্লেখ করা শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, জানতে পেরেছি তিনি আমাদের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক ও হতাশাজনক। আমরা জানি না তিনি আমাদের বিরুদ্ধে কোন কাজে এসব তথ্য ব্যবহার করবেন কিনা। আমরা এসব নিয়ে শঙ্কিত।
তবে এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায় বলেন, একটি রিসার্চ প্রপোজাল এর কাজে সোশ্যাল সায়েন্সের বিভাগগুলোতে অধ্যয়নরত ছেলে মেয়ের অনুপাত দরকার ছিল। এই তথ্যের জন্য প্রথমে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে যাই। তিনি জানান, তাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই এবং কন্ট্রোলার অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। এরপর কন্ট্রোলার অফিসে যোগাযোগ করি। কিন্তু তারাও একই কথা জানান। তারা আমাকে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এরপর আমি বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। উনারা বলেন, আপনার বিভাগের পিয়ন পাঠিয়ে অফিস সহকারীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে নিয়েন। পরবর্তীতে আমাদের বিভাগের পিয়ন তথ্য কালেক্ট করেন। তবুও সবগুলো বিভাগ থেকে নয়; তিনটি বিভাগ থেকে সে তথ্য কালেক্ট করেছিল।
তবে কোন তিনটি বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কাগজপত্র দেখে বলতে হবে বলে জানান।।
অন্যদিকে, এসব তথ্য তিনি কবে সংগ্রহ করেছেন এসব বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেন নি। তিনি এ নিয়ে দুই ধরনের তথ্য প্রদান করেন। তিনি বলেছেন এক বছর আগে তথ্যের জন্য রেজিস্ট্রারকে ফোন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি আবার বলেছেন এটা এক দুই বছর আগের কথা। তবে বিভাগগুলোর সাথে যোগাযোগ করলে এসব তথ্য সম্প্রতি তিনি সংগ্রহ করেছেন বলে জানা যায়।
- মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ২০২৫
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ এর রেজাল্ট ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ | এসএসসি ফলাফল
- অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা রুটিন ২০২৩
- এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৩ কবে হবে
- চবি ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২৫
- শাবির ৭২ টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে ৫৩ টিই বিকল
- ‘বাঁচতে চাইলে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড কর’, ছাত্রীকে শাবি শিক্ষক
- ওসমানী মেডিকেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আন্দোলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা
- স্বপ্ন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হওয়া
টিউশনী করে পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেল সরকারি কলেজের সুমাইয়া