আইনিউজ ডেস্ক
জেমসকে অন্যায়, অবিচার নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ শিবলীর
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী নগরবাউল খ্যাত বাংলা গানের কিংবদন্তি জেমসকে দেশে চলমান অন্যায়, অবিচার আর অনিয়ম নিয়ে কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তারুণ্যের উন্মাদনা ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রকস্টার জেমসের জন্মদিন শুক্রবার। ৫৫ পেরিয়ে ৫৬ বছরে পা দিলেন বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের অন্যতম এই কান্ডারি।
১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন জেমস। তার পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। জেমস নামটি রেখেছিলেন তার বাবা ড. মোজাম্মেল হক। তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। মা জাহানারা খাতুন ছিলেন গৃহিণী।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও জেমস প্রমাণ দিয়েছেন নিজের জাত প্রতিভার। যতই দিন যাচ্ছে ততই তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
নিভৃতচারী জেমস বরাবরই আনুষ্ঠানিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। নিজের জন্মদিনকে ঘিরেও কোনো আনুষ্ঠানিকতায় থাকের না জেমস। তবে জেমস ভক্ত দল ঠিকই দিনটি উদ্যাপন করেন নিজেদের মতো করে। এবারও সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভক্তদের উদ্যোগে হবে নানা আনুষ্ঠানিকতা। যেমনটা হয়েছে আগেও।
আর সোশ্যাল মিডিয়াতে জেমসের জন্মদিনে ভক্ত, অনুরাগী থেকে শুরু করে সংগীত জগতের মানুষ ও শুভানুধ্যায়ীরা বরাবরের মতোই জেমসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
জেমসের গাওয়া ‘জেল থেকে বলছি’, ‘নাটোর স্টেশন’, ‘গিটার কাঁদতে জানে’, ‘পালাবে কোঠায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’ এর মতো অনেক গানের গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী।
জেমসের জন্মদিনে শিবলী নিজের ভেরিফাইড ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। দেশ রূপান্তরের পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘শুভ জন্মদিন প্রিয় জেমস ভাই।
জানি আপনারে এই ভাবে শুভেচ্ছা দিয়ে লাভ নাই, আপনি এসবরে পাত্তা দেন না। এসব আপনার রকস্টার আটিচিউটের সাথে যায় না। তার পরও বছর বছর আপনার জন্মদিন আসে আমরা শুভেচ্ছা দেই। আর আপনিও যথারীতি পাত্তা দিবেন না, এটা আপনি প্রতিষ্ঠিত করেই ছেড়েছেন।
দিয়েন না পাত্তা,
তবে যেহেতু আপনি আমার বন্ধু তালিকায় আছেন তাই আশা করা যায় এই সুভেচ্ছা বানী আপনার চোখে পড়বে।
ভাবছিলাম এবার আমিই আপনারে পাত্তা দিব না, মানে হল আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর নখরামি করব না। কিন্তু আপনারে ইগ্নর করা মুশকিল। আমাদের যৌথ সৃষ্টিগুলো এমন ভাবে আমাকে আর আপনাকে জড়িয়ে রেখেছে যে চাইলেও আপনাকে পাত্তা না দিয়ে থাকা যায় না। আপনি কিভাবে আমার সাথে মিশে আছেন তার একটা উদাহারন দেই- আমি আমার উপন্যাস ‘আসমানে’ ৯০ দশকের এক তরুণের রকস্টার হয়ে উঠার গল্প লিখার সময় কোন ভাবেই আপনি আমার মাথায় ছিলেন না, কিন্তু পুরা উপন্যাসটা লিখে শেষ করার পর আমি চমকে গেছি, ৯০ দশকের এত এত রকস্টারের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতার পরও, গল্পের সেই রকস্টার তরুণটি যেন আপনারই প্রতিচ্ছবি।
‘জেল থেকে বলছি’ এ্যালবামের কাজ শুরুর আগে আমি আপনাকে আসলেই চিনতাম না। আপনি তখনও তারকা হয়ে উঠেননি। শুরুতে আপনার মিউজিক আপনাকে আমার ভালো লাগার কারন ছিল না। বরং আমি আপনার সাথে কাটানো সময়গুলো এঞ্জয় করতাম। আপনাকে দেখলে আমার মনে হত আপনি আমার সিনিয়র ভার্সন। সিদ্ধ নিষিদ্ধ কত কিছু যে আপানার সাথে ভাগাভাগি করেছি । আপনার নওগাঁ আর আমার নাটোর একই প্রাচীন বরেন্দ্র ভুমির জল মাটি কাদায় আমাদের শৈশব কৈশোরের বেড়ে উঠা, ফলে অন্যদের চাইতেও আপনাকে বোঝা আমার জন্য সহজ ছিল, যেটা পরবর্তীতে আপনার জন্য অদ্ভুত অদ্ভুত বিষয় নিয়ে গান লিখতে আমাকে সাহায্য করেছিল, আর আমিও লিরিক নিয়ে ইচ্ছে মতন এক্সপেরিমেন্ট করতে পেরেছিলাম।
‘পালাবে কোথায়’ এ্যালবামটা সেই পাগলামোর ইতিহাস। কতজন বুঝতে পেরেছে জানি না, তখন কিছুদিন আমার মাথায় কম্যুনিজমের ভুত চেপেছিল, তাই আমি ‘ভালোবাসার যৌথ খামার’ গানের ভিতরে আস্ত কম্যুনিজমকে বেঁধে ফেলেছিলাম। আর সেই এ্যালবামের ভিতর দিয়েই আপনি আমার কাছে হিরো হয়ে উঠেছিলেন। আপনার সব কিছু ছাপিয়ে আপনি এখনো আমার কাছে সেই পালাবে কোথায় এ্যালবামের জেমস। আপনার অন্য কোন গানরে আমি গুনি না। আপনি নিজেকে অনেকবার ভাংচুর করেছেন, আমার ধারনা, পালাবে কোথায় এ্যালবামের জেমসই আসল জেমস। সেই জেমসকে আমি বাকি জীবন মিস করবো।
একবার লন্ডনে এক ট্র্যাফিক সিগন্যালে রাস্তা পার হওয়ার সময় দেখলাম একদল ব্রিটিশ পোলাপান ফুল ভ্লিয়ুমে আপনার গাওয়া হিন্দি গান বাজাচ্ছে। কেন যেন আমার অভিমান হয়েছিলো, হিন্দি কেন? আপনার তো বাংলা গানের এম্বেসেডর হওয়ার কথা ছিল !
আপনার অনুমতি ছাড়াই হয়তো আপনার জীবনী লিখে ফেলব একদিন, হা হা............
আপনাকে বলার আমার অনেক কথা জমা হয়ে আছে। আজকেই সুযোগটা নিলাম, কারন আপনি এসবকে পাত্তা দেন না। আপনাকে নিয়ে গর্ব করি জেমস ভাই। আপনার অনেক বেশি জেমস হওয়ার সাথে সাথে আমিও একটু একটু শিবলী হয়েছি। আমার গীতিকবিতা গুলো ছড়িয়েছে আপনার বিস্ময়কর দরাজ কণ্ঠের ভিতর দিয়েই।
এবার একটু পাত্তা দেয়া শুরু করেন। আপনার কণ্ঠকে গনমানুষের কণ্ঠে পরিণত করেন। এই অভাগা দেশে কত কত অন্যায়, অবিচার আর অনিয়ম চলছে। সেসব নিয়ে কথা বলেন। প্রতিবাদ করেন। সেটাই আপনাকের ইতিহাসে চিরস্থায়ি জায়গা করে দেবে। জনপ্রিয়তা এক বিশাল দায়িত্ব জেমস ভাই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাটাই শ্রেষ্ঠতম চ্যারেটি।
আপনাকে অনেক ভালোবাসি জেমস ভাই।
আল্লাহ্ আপনাকে সুস্ততার সাথে দীর্ঘজীবী করুন।’
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে