বিনোদন ডেস্ক
আপডেট: ২০:১২, ১৭ জানুয়ারি ২০২১
অনুভূতি প্রকাশ করে অঝোরে কাঁদলেন সোহেল রানা
সোহেল রানা
২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক সোহেল রানা ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দা।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন সোহেল রানা।
সম্মাননা পদক গ্রহণ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন এ অভিনেতা। তিনি মনের অভিব্যক্তির কথা প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একপর্যায়ে উচ্চস্বরেই কেঁদে ফেলেন সোহেল রানা।
তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম রাষ্ট্রীয় পুরস্কার নিয়েছিলাম আজকের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে। আমি ৪৬ বছর চলচ্চিত্রের সঙ্গে আছি। এখানে কাজ করেছি। জীবনের শেষ পুরস্কারটা হয়তো পেয়ে গেছি। আর কখনোই চলচ্চিত্রের জন্য কোনো পুরস্কার আমি পাবো না। আক্ষেপ তো আছেই। শেষ পুরস্কারটা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিতে পারিনি। করোনার কারণে তা হলো না।’
‘সম্মাননা পাচ্ছি। আনন্দ তো আছেই। আনন্দ হওয়ার কথা। কিন্তু মনটা খারাপ লাগছে কেন? কেন জানি খুব দুঃখবোধ হচ্ছে। আমি জানি না কেন হচ্ছে। শুধু ভাবছি, ৪৬ বছর ধরে যা কিছু পাওনা জমিয়েছি এই শিল্পে সব বুঝি এই আজীবন সম্মাননা দিয়ে শেষ হয়ে গেল’- বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন সোহেল রানা।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সিনেমায় এসেছিলেন উল্লেখ করে সোহেল রানা বলেন, ‘দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’ আমি প্রযোজনা করেছিলাম। আমি জানিনা কেন বঙ্গবন্ধু আমাকে এত স্নেহ করতেন। সেই সিনেমাটি তিনি দেখেছিলেন। পরে আমি যখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গেলাম, উনি বললেন, ‘ভালোই তো বানাইছস। যা ওখানেই থাইকা যা।
আমি সেই গুরুবাক্যকে শিরোধার্য করে চলচ্চিত্র জগতেই রয়ে গেলাম। দ্বিতীয় ছবি করলাম ‘মাসুদ রানা’। তারপর বাকিটা ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধু যদি সেদিন না বলতেন ‘যা চলচ্চিত্রেই থেকে’ তাহলে বাংলার মানুষ, বাংলা ভাষাভাষিরা সোহেল রানাকে চিনতো না। তার জন্যই আজ আমি সোহেল রানা।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, আমার শিক্ষাগুরু, আমার রাজনৈতিক গুরু, যার নাম নিয়ে সেই ১৯৬১ সনে কলেজে ঢুকলাম তখন এই পার্টির রাজনীতি শুরু করেছিলাম সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার পায়ের কাছে আমার আজকের এই পুরস্কার আমি উৎসর্গ করলাম।’
সোহেল রানা যখন এই কথাগুলো বলছেন তখন তিনি অঝোরে কাঁদছেন। তার কান্নায় আবেগতাড়িত হয়েছেন অনলাইনে থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তাকেও দেখা গেল ঠোঁট চেপে কান্না নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টায়।
বর্ষিয়াণ এই অভিনেতা-প্রযোজকের শিশুদের মতো কান্না দেখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা অনেককেই চশমা খুলে চোখ পরিস্কার করতে দেখা গেল। শত শত মানুষের মঞ্চে ভর করেছিলো শুধুই নিরবতা।
আইনিউজ/এসডিপি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে