বিনোদন ডেস্ক
আপডেট: ১৩:১১, ১৩ এপ্রিল ২০২১
হৈমন্তী শুক্লা ও সমরজিৎ রায়ের বর্ষের শেষ লগনের গান
বর্ষ বিদায় ও বাংলা নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে আজ অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান "বর্ষের শেষ লগনের গান"। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা এবং বাংলাদেশের এই সময়ের জনপ্রিয় গুণী সঙ্গীতশিল্পী সমরজিৎ রায়।
গান গল্পের এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন পুনম ঘোষ।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে সমরজিৎ রায় এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে (www.facebook.com/samarjitroy.music) আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৩০ মিনিটে এবং ভারত সময় রাত ১০ টায়।
এর আগে করোনা সংকটের মাঝে গান প্রকাশ নিয়ে সমরজিৎ বলেছিলেন, বড্ড অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সময়টা। করোনার কারণে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়েই সবাই গৃহবন্দী। শিল্পী হিসেবে দায়িত্বের জায়গা থেকে লকডাউনের শুরু থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি ফেইসবুক এবং ইউটিউবে মানুষকে গান শোনাতে।
পুনম ঘোষের সঞ্চালনায় পরিবেশিত হবে লাইভ অনুষ্ঠান "বর্ষের শেষ লগনের গান"
হৈমন্তী শুক্লা
অন্যদিকে কিংবদন্তী শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয়। কিন্নর কণ্ঠে তিনি বৃষ্টিকে ডাকেন, “ওগো বৃষ্টি আমার চোখের পাতা ছুঁয়ো না…আমার এত সাধের কান্নার দাগ ধুয়ো না/ সে যেন এসে দেখে…”। চৈত্রের শেষ দিনে আজও হয়তো তিনি বৃষ্টিকে ডাকবেন। আগামীকাল থেকে তো বৈশাখই শুরু। বৃষ্টিকে ডাকতেই পারেন।
‘আমার বলার কিছু ছিল না’-সহ সহস্র কালজয়ী গান গেয়েছেন প্রখ্যাত এ সঙ্গীত শিল্পী।
গান নিয়ে তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল ১৯৭২ সালে ‘এতো কান্না নয় আমার’ গানটি রেকর্ডের মাধ্যমে। কিন্তু এরও বহু বছর আগে তার সঙ্গীতজীবনের শুরু। তার পিতা সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত হরিহর শুক্লা, হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তার বিচরণ ছিল। পিতার কাছেই প্রথম তালিম নিয়েছিলেন হৈমন্তী। বাবা শেখাতে ভালোবাসতেন আর মেয়ে শিখতে। এই করেই খুব তাড়াতাড়ি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে খুব ভালো করেই হাতেখড়ি হয়ে গিয়েছিল তার। তখন থেকেই বহু প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে মঞ্চে ‘খেয়াল’ গাইবার অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল। তানপুরার আকার যখন তার সামনে অনেক বিশাল হয়ে দেখা দিতো, তখন থেকেই তানপুরার সাথে সখ্য জমে উঠেছিল তার। সেই থেকে চলছে আজ অবধি তার সঙ্গীতযাত্রা। তার জীবনে শিক্ষক হয়ে আসেন প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী চিন্ময় লাহিড়ীও।
১৯৭১ সালে তিনি ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের উপর বৃত্তি পেয়েছিলেন। এবং এরও আগে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিও’র একজন নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। ১৯৭৫ সালে তাকে ভূষিত করা হয় মিয়া তানসেন পুরস্কারে।
২০১৭ সালে পেয়েছেন ভারতের একাডেমি পুরষ্কারও। তার পরিবার ছিল হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের ঐতিহ্যের অনুসারী এবং এটি তাকে একজন ক্লাসিকালি প্রশিক্ষিতা গায়িকাতে পরিণত হতে সাহায্য করেছিল। ১৯৭২ সালে তার প্রথম রেকর্ড করা গানটি ছিল এতো কান্না নয় আমার।
কিংবদন্তী শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা
সমরজিৎ রায়
আর সমরজিৎ রায় সংগীতবিশারদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সারা ভারতবর্ষে প্রথম স্থান অধিকার করায় তিনি অর্জন করেছিলেন পণ্ডিত ডি বি পলুস্কর অ্যাওয়ার্ডসহ মোট সাতটি সাম্মানিক অ্যাওয়ার্ড। অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেয়েছেন ভারতের অনেক গুণী শিল্পীর সঙ্গে, যাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন জগজিৎ সিং, অনুপ জালোটা, পণ্ডিত যশরাজ, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, অনুরাধা পাড়োয়াল। স্বর্ণযুগের প্রখ্যাত গীতিকার প্রয়াত পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, বটকৃষ্ণ দের লেখা ও প্রখ্যাত শিল্পী প্রয়াত মৃণাল চক্রবর্তী, প্রয়াত অজয় দাসের সুরে বেশ কিছু মৌলিক গান রেকর্ড করার সুযোগও তাঁর হয়েছে।
গুণী শিল্পী সমরজিৎ রায়
সমরজিৎ রায়ের প্রথম হিন্দী গানের অ্যালবাম ‘তেরা তসব্বুর’ ২০১১ সালে ভারতে জিমা অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়।
আইনিউজ/এসডি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে