বিনোদন ডেস্ক
আপডেট: ০০:০৮, ১৮ জুলাই ২০২১
ফকির আলমগীরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
ফকির আলমগীর
করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা ও গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) রাত আটটায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর মেজো ছেলে মাসুক আলমগীর রাজীব।
তিনি জানান, ‘বাবা আমাদের সঙ্গে এক ঘণ্টা আগে ভিডিও কলে কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরা আমাদেরকে জানিয়েছেন, বাবার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো অক্সিজেন দিতে হচ্ছে।’
এর আগে শুক্রবার রাত থেকে ফকির আলমগীরের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে ফকির আলমগীরের পরিবার। গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন এই শিল্পীর পরিবার।
এ বিষয়ে রাজিব বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১০টায় আমার চাচি মারা গেছেন। তাকে শনিবার সকালে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। কেউ হয়তো চাচির মৃত্যু খবর জানাতে গিয়ে ফেসবুকে লিখে দিয়েছে যে ফকির আলমগীর মারা গেছেন। এই গুজবের জন্য আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। সারা দিন শুধু ফোন রিসিভ করে সবাইকে আপডেট জানাতে হয়েছে। কোনো তথ্য ফেসবুকে দেওয়ার আগে সবার আরও সতর্ক হওয়া উচিত।’
এর আগে বুধবার ফকির আলমগীরের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফকির আলমগীরের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ ও বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া ফোন করে খবর নিয়েছেন। এ ছাড়া অনেকেই ফোন করে খবর নিচ্ছেন। সবার কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অসংখ্য মানুষ দোয়া করছেন। সবাই যেভাবে খোঁজ নিচ্ছেন, তাতে সাহস পাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।
৭১ বছর বয়সী এ শিল্পী স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীত শিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি লেখালেখিও করেন।
আইনিউজ/এসডিপি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে