বিনোদন ডেস্ক
আপডেট: ১০:৩৯, ১৪ আগস্ট ২০২১
‘একজন শিল্পীকে আঘাত করা মানে সমাজকে আঘাত করা’
বড় বোন চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে তমালিকা কর্মকার
বেশ কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার। গত বছর একবার দেশে এসেছিলেন, লকডাউনের আগেই আবার ফিরে গেছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে বসবাস করছেন তিনি। বিদেশে থাকলেও দেশের প্রতি তার টান সব সময় চোখে পড়ে। সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে শিল্পীদের প্রাপ্য সম্মান না পাওয়া নিয়েও নিজের খেদ ঝাড়লেন এই শিল্পী।
৩০ বছর অভিনয় করেও দেশ ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়া প্রসঙ্গে তমালিকা বলেন, ‘আমি খুবই স্তব্ধ , খানিকটা বিকারহীনও হয়ে পড়েছি, কেমন করে শুরু করব বুঝতে পারছি না, হয়তো কথাগুলো অগোছালো হয়ে যেতে পারে। আমি একজন শিল্পী, সেই নতুন কুঁড়ি থেকে আমার পথচলা শুরু। ২৭ বছর মঞ্চে কাজ করেছি, ৯২ সাল থেকে মঞ্চে অভিনয় শুরু করি, এতগুলো বছর আমার দেশের মানুষকে আমি অনেক গল্প, চরিত্র উপহার দিয়েছি। এইটা কিন্তু খুব সোজা কাজ নয়, যদিও আপনারা মনে করেন এটা খুবই সোজা কাজ। আজকাল যা দেখছি আমরা মিডিয়ার মানুষ খুবই হাসির পাত্র হয়ে গেছি । বলে রাখার প্রয়োজন বোধ করছি যে, ৩০ বছর অভিনয়ের সাথে যুক্ত থেকেও আমি দেশে থাকতে পারিনি, কেন পারিনি, উত্তর সোজা, অবশ্যই আমার নিজের মিডিয়াতেই আমি অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছি। সেই সব কথা এখন বলব না। বলব একটু কষ্টের কথা।’
তমালিকার সেই কষ্টের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে সাম্প্রতিক ঘটনা। তমালিকা তার বোন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাম্প্রতিক ঘটনাকে ইঙ্গিত করে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
তমালিকা বলেন, ‘‘আমার বোন চয়নিকা চৌধুরী যিনি বাংলাদেশের একজন নারী নির্মাতা, নারী নির্মাতা এ জন্যই উল্লেখ করলাম, কারণ একজন নারী হিসেবে কাজ করা আসলেই খুব সোজা না এই সমাজে। আমার বোন খুবই বোধসম্পন্ন একজন মানুষ, তাকে যদি সত্যিই আপনারা একটা ফোন করতেন, বিশ্বাস করেন সে সোজা নিজেই চলে যেত আপনাদের কাছে, তাকে যেভাবে আপনারা মিডিয়া ট্রায়াল করে নিলেন, আমার বোনের অবাক চোখগুলো আমাকে এই বিদেশে একেবারে বিকারগ্রস্ত করে ফেলেছে। আমি কি করব? কোথায় যাব, আমরা তো আসলে সমাজের পাওয়ারফুল কেউ নই, খুবই সাধারণ শিল্পী। কাকে ফোন দিব? সারা জীবন তো থিয়েটার করেছি, টেলিভিশনে অভিনয় করেছি। আমার কাছে সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ যারা থিয়েটার, নাটকের। তবুও কাউকে ফোন করার সাহস বা অবস্থা কিছুই আমার ছিল না। আমার বৃদ্ধ মা- বাবার অবস্থা আপনারা তো আপনার অবশ্যই বুঝতে পারবেন। কতটা অসহায় তারা এখনো। আমার বোন একজন সচেতন নাগরিক। তাকে যখন যেভাবে ডাকবেন তখন সেভাবেই পাবেন। কিন্তু একজন শিল্পীর যে কোন ক্ষমতা নাই, একজন শিল্পীর যে কোন সম্মান নাই সেটাই প্রমাণ হয়েছে। যে বোন আমার সবার বিপদে সবার সুখে অসুখে সব শিল্পীদের পাশে থাকার চেষ্টা করে। সবার জন্মদিনে বিশাল বিশাল কথা লেখা, একজন শিল্পীর কবরে নিয়ম করে ফুল দেয়া, হাসপাতালে ডিউটি করা, অনেকের বিপদে কোর্ট পর্যন্ত তার পাশে থাকা, অসুখে খাবার নিয়ে যাওয়া। এত কথা আর না বলি, আমার বোন সত্যিই এমনই সবার সব জায়গায় এগিয়ে যেতে পছন্দ করে। এইটা মিডিয়ার সবাই জানে। তবে আপনারা সবাই চুপ। এত এত শিল্পীদের সাথে কাজ করল তবে আমরা সবাই চুপ। কারণ আমাদের ক্ষমতা নাই। আমাদের পাওয়ার নাই। আমরা খুবই অসহায় শিল্পী। তবে একটা কথা মনে রাখা ভালো একজন শিল্পীকে আঘাত করা মানে সমাজকে আঘাত করা। যা হয় হয়তো ভালোই হয়েছে আমার বোন কিছু কাছের মানুষদের তো চিনতে পারল।’’
আইনিউজ/এসডিপি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে