বিনোদন ডেস্ক
আপডেট: ১২:২১, ২১ আগস্ট ২০২১
চার বছর ধরে নেই নায়করাজ
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক নায়ক রাজ রাজ্জাকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের ২১ আগস্টের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুর এক দিন পর ২৩ আগস্ট তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। রাজ্জাককে হারিয়ে শোকে স্তব্দ হয়ে পড়েছিল দেশের গোটা অভিনয় জগত।
শনিবার খ্যাতিমান এ অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে রয়েছে বিশেষ আয়োজন। সে সব আয়োজনে দেখানো হবে নায়ক রাজের সিনেমাগুলোর বিভিন্ন মুহূর্ত এবং গান। এছাড়া একসঙ্গে কাজ করেছেন এমন কয়েকজন অভিনয়শিল্পী রাজ্জাকের সঙ্গে তাদের কাজের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করবেন। পাশাপাশি চ্যানেলগুলোতে দেখানো হবে রাজ্জাক অভিনীত কয়েকটি সিনেমা।
এদিকে, নায়ক রাজের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মরণে এফডিসিতে রয়েছে বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন। প্রতি বছরই এই আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। নায়ক রাজ্জাক এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সভাপতি ছিলেন।
নন্দিত এই অভিনেতা বাংলা চলচ্চিত্রে দীর্ঘ সাড়ে ছয় দশক ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে নায়ক রাজ উপাধি লাভ করেছিলেন। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে। ১৯৬৪ সালে তিনি পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন।
রাজ্জাক প্রথমে চলচ্চিত্রকার আবদুল জব্বার খানের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। নায়ক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ ছবিতে। সেই থেকে শুরু। একবারের জন্যও পেছন ফিরে তাকাতে হয় প্রয়াত এ কিংবদন্তিকে। ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অত্যন্ত প্রতাপের সঙ্গে তিনি নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। এছাড়া প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন ১৬টি চলচ্চিত্র।
শুধু এপার বাংলাতেই নয়, ওপার বাংলায়ও অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন নায়ক রাজ্জাক। দেশীয় সিনেমায় যখন অশ্লীলতা ভর করে, তখন ঢালিউড থেকে টলিউডে পা রাখেন তিনি। টানা পাঁচ বছর অভিনয় করেন কলকাতার ৩০টির বেশি ছবিতে। ওপার বাংলায় জন্ম নিলেও এপার বাংলার রুপালি রঙেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন নায়ক রাজ।
রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে- বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, এতুটুকু আশা, নীল আকাশের নিচে, জীবন থেকে নেয়া, নাচের পুতুল, অশ্রু দিয়ে লেখা, ওরা ১১ জন, অবুঝ মন, রংবাজ, আলোর মিছিল, গুন্ডা, অনন্ত প্রেম, অশিক্ষিত, ছুটির ঘন্টা, মহানগর, রাজলক্ষী শ্রীকান্ত, স্বরলিপি, বাদী থেকে বেগম, বাবা কেন চাকর ইত্যাদি।
দীর্ঘ ফিল্মি ক্যারিয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে সাতটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে রেকর্ড সাত বার। এছাড়াও তার ঝুলিতে আছে নামিদামি অসংখ্য পুরস্কার।
আইনিউজ/এসডি
- নিউ জার্সির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীমঙ্গলের ২ নির্মাতার ৬টি চলচ্চিত্র
- ‘হাওয়া’ দেখতে দর্শকদের ভিড়, খোদ নায়িকা সিঁড়িতে বসে দেখলেন সিনেমা
- লুঙ্গি পরায় দেওয়া হয়নি সিনেপ্লেক্সের টিকেট, সেই বৃদ্ধকে খুঁজছেন নায়ক-নায়িকা
- বিয়ে করেছেন মারজুক রাসেল!
- সেরা পাঁচ হরর মুভি
- শোকের মাসে শ্রীমঙ্গলের স্কুলগুলোতে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব আমার পিতা’
- শাকিবের সঙ্গে বিয়ে-বাচ্চা তাড়াতাড়ি না হলেই ভাল হত: অপু বিশ্বাস
- গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
- নারী বিদ্বেষীদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন যাত্রা শুরু : জয়া আহসান
- ‘ইত্যাদি’ এবার সোনারগাঁয়ে